ইশরাক বললেন, উপদেষ্টা সজীব শপথ ভেঙেছেন, পদত্যাগ দাবি
Published: 17th, June 2025 GMT
অসত্য ও বিভ্রান্তিমূলক তথ্য গণমাধ্যমে উপস্থাপনের জন্য স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা পদে আসিফ মাহমুদ সজীব ভুঁইয়া বহাল থাকার নৈতিক অধিকার হারিয়েছেন বলে মনে করেন বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেন। তিনি বলেন, সজীব ভুঁইয়া শপথ ভঙ্গ করেছেন। শপথ ভঙ্গ করার জন্য তাঁর পদত্যাগ দাবি করেছেন ইশরাক।
আজ মঙ্গলবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রধান কার্যালয় নগর ভবনে এসে এ কথা বলেন ইশরাক হোসেন।
শপথের মাধ্যমে দায়িত্ব বুঝে না পেলেও আজও নগর ভবনের একটি মিলনায়তনে সংস্থাটির প্রায় ৭০টি ওয়ার্ডের সচিবদের নিয়ে বৈঠকে বসেছেন ইশরাক হোসেন। বেলা ১টার দিকে বৈঠকটি শুরু হয়। এর আগে গতকাল ৭০ জনের বেশি পরিচ্ছন্নতা পরিদর্শককে নিয়ে বৈঠক করেছিলেন তিনি।
ইশরাক হোসেন বলেন, ‘উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ বয়সে খুবই তরুণ। সামনে তাঁকে অনেক পথ পাড়ি দিতে হবে। কাজেই জনগণের প্রতি শ্রদ্ধাশীল আচরণ, আদালতের রায়ের প্রতি সম্মান প্রদর্শন তাঁর কাছ খেকে কাম্য। অসত্য তথ্য দিয়ে জনগণকে বিভ্রান্ত করা তাঁর কাজ নয়। কারণ, এত অত্যাচার, নির্যাতন সহ্য করে যেসব জনগণ তাঁদের নির্দিষ্ট লক্ষ্য থেকে বিচ্যুত হননি, তাঁদের তিনি বিভ্রান্ত করতে পারবেন না।’
বিএনপির এই নেতা বলেন, নির্বাচনী ট্রাইব্যুনাল আগের গেজেট বাতিল করে ইশরাক হোসেনকে মেয়র হিসেবে গেজেট প্রকাশের জন্য বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন সচিবালয়কে নির্দেশ দিয়েছে। এই নির্দেশনা অনুযায়ী নির্বাচন কমিশন ১০ দিনের মধ্যে ২৭ এপ্রিল সংশোধিত গেজেট প্রকাশ করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে স্থানীয় সরকার বিভাগে পাঠিয়ে দিয়েছে।
এই সংশোধিত গেজেট পেয়ে শপথ অনুষ্ঠানের আয়োজন ছাড়া স্থানীয় সরকার বিভাগের কিছুই করণীয় নেই বলেন ইশরাক। তিনি অভিযোগ করেন, ট্রাইব্যুনালের রায়ের বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশন আপিল করবে কি না, নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালে আরজি সংশোধনের সুযোগ নেই ইত্যাদি বিষয়ে প্রশ্ন তুলে শপথ অনুষ্ঠানের আয়োজনে দেরি করা হচ্ছে।
গতকাল স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভুঁইয়া বলেছেন, শপথ গ্রহণের বিষয়টি বিবেচনাধীন থাকা অবস্থায় গেজেটের মেয়াদ শেষ হওয়ায় শপথ পড়ানো যায়নি।
উপদেষ্টার এই বক্তব্য উল্লেখ করে ইশরাক বলেন, ‘এ কথা সত্য হলে ভবিষ্যতে কোনো নির্বাচিত প্রতিনিধি আর শপথ পড়ার সুযোগ পাবেন না।’
এর আগে বেলা ১১টা থেকে নগর ভবন প্রাঙ্গণে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন ইশরাকের সমর্থক ও ঢাকা দক্ষিণ সিটির কর্মচারীরা। পূর্বঘোষণা অনুযায়ী, তাঁরা বেলা ১টা পর্যন্ত অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন। ইশরাক হোসেনকে ঢাকা দক্ষিণ সিটির মেয়রের দায়িত্ব বুঝিয়ে দেওয়ার দাবিতে ১৪ মে থেকে নগর ভবনের সামনে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করছেন তাঁর সমর্থকেরা। পরদিন ১৫ মে থেকে তাঁরা নগর ভবনের সব ফটকে তালা ঝুলিয়ে দেন। ঢাকাবাসীর ব্যানারে তাঁরা এ কর্মসূচি পালন করছেন। সেদিন থেকে এখন পর্যন্ত নগর ভবনের সব ফটকে তালা ঝুলছে।
আরও পড়ুনশপথ না নিয়েই মেয়রের ‘দায়িত্ব’ পালন ইশরাকের১৩ ঘণ্টা আগেতবে শপথ না নিয়ে ইশরাক হোসেন কীভাবে নগর ভবনে সভা করছেন এবং কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নির্দেশনা দিচ্ছেন, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ইশর ক হ স ন নগর ভবন র ন ইশর ক উপদ ষ ট সরক র অবস থ
এছাড়াও পড়ুন:
দুই মিনিটের বিতর্কিত দৃশ্য দিয়ে আলোচনায়, পরে বলিউডকে বিদায় জানান সেই অভিনেত্রী
বলিউডের ইতিহাসে এমন অনেক অভিনেত্রী আছেন, যাঁরা শূন্য থেকে শুরু করে রাতারাতি পরিচিতি পেয়েছেন; পরে আবার হঠাৎই হারিয়ে গেছেন। কিমি কাতকার তেমনই একজন। ১৯৮০-এর দশকে বলিউডে তিনি ছিলেন আলোচিত ও সাহসী অভিনেত্রীদের একজন।
কিমির উত্থান
আশির দশকটি বলিউডে সৃজনশীল ও পরিবর্তনের সময় ছিল, যেখানে অনেক প্রতিভাবান অভিনেতা-অভিনেত্রী তাঁদের ছাপ ফেলেছেন। কিমি ছিলেন সেই সময়ের অন্যতম উদীয়মান নায়িকা। পর্দায় সাহসী দৃশ্যের জন্য তিনি ব্যাপক পরিচিতি পান। যদিও তাঁর চলচ্চিত্র ক্যারিয়ার ছিল খুবই সংক্ষিপ্ত; কিন্তু এর মধ্যেই ব্যাপক আলোচনার জন্ম দেন।
মুম্বাইতে জন্ম নেওয়া কিমি ক্যারিয়ার শুরু করেছিলেন মডেল হিসেবে, পরে তিনি চলচ্চিত্রে প্রবেশ করেন। ১৯৮৫ সালে ‘অ্যাডভেঞ্চার অব টারজান’ দিয়ে আলোচিত হন তিনি। সিনেমার সাফল্য তাঁকে রাতারাতি জনপ্রিয় করে তোলে। হেমন্ত বীরজের সঙ্গে জুটি বেঁধে তিনি দর্শকদের মন মাতিয়ে দেন। তবে এ ছবিতেই একটি নগ্ন দৃশ্যে অভিনয় করে রাতারাতি আলোচনায় আসেন। দৃশ্যটি নিয়ে এক সাক্ষাৎকারে অভিনেত্রী বলেছিলেন, ‘সেই সময় আমি জানতাম না এই দৃশ্য কতটা বিতর্কিত হবে। কিন্তু অভিনয় আমার জন্য সব সময় ছিল সত্যিই একটি চ্যালেঞ্জ।’ এরপর ১৯৮০-এর দশকের শেষের দিকে অমিতাভ বচ্চন, অনিল কাপুর, গোবিন্দ ও আদিত্য পঞ্চোলির সঙ্গেও সিনেমা করেন তিনি। তাঁর নাচ ও অভিনয়ের দক্ষতা দর্শকদের কাছে তাঁকে প্রিয় করে তোলে।
‘অ্যাডভেঞ্চার অব টারজান’-এ কিমি কাতকার। আইএমডিবি