মায়ের রান্না খাওয়া হলো না সদ্য বিবাহিত নাহিদের
Published: 17th, June 2025 GMT
গাইবান্ধায় ট্রেনে কাটা পড়ে নাহিদ (২৩) নামে এক যুবক নিহত হয়েছে। মঙ্গলবার (১৭ জুন) দুপুর ১২টার দিকে সদর উপজেলার নশরৎপুর এলাকায় করতোয়া এক্সপ্রেস ট্রেনের নিচে কাটা পড়েন তিনি।
নিহত নাহিদ সদর উপজেলার রামচন্দ্রপুর ইউনিয়নের রহমতপুর গ্রামের শহিদুল ইসলামের ছেলে। তিনি ঢাকায় পোশাক কারখানায় চাকরি করতেন।
পরিবারের বরাত দিয়ে বোনারপাড়া রেলওয়ে পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খাইরুল ইসলাম তালুকদার মোবাইল ফোনে জানান, মাত্র সাত দিন আগে বিয়ে করেন নাহিদ। আজ মঙ্গলবার (১৭ জুন) রাতে তার ঢাকা যাওয়ার কথা ছিল। সেই কারণে ট্রেনের টিকিট কাটতে গাইবান্ধা স্টেশনে যান তিনি। স্টেশন থেকে বাড়িতে ফোন করে তার মাকে রান্না হয়েছে কি-না জানতে চান। মা জানান রান্না হয়েছে। এরপর ট্রেনে কাটা পড়ে মৃত্যুর খবর পান নাহিদের পরিবার।
ওসি আরো বলেন, দুদিন ধরে নাহিদ ঘরে ঢুকলেই দুর্গন্ধ পাওয়ার কথা বলতেন। এ নিয়ে তিনি তার স্ত্রী ও মাকেও বারবার জিজ্ঞেস করতেন এবং তার অস্বস্তির কথা জানাতেন। সেকারণে ঠিকমতো খেতেও পারেননি তিনি।
তবে কী কারণে, কীভাবে নাহিদ ট্রেনে কাটা পড়ে মারা গেলেন, সেই বিষয়ে এখনো কিছু জানা যায়নি। পরিবারের কাছে লাশ হস্তান্তর করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।
ঢাকা/মাসুম/বকুল
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
বাঁশখালীতে পরিত্যক্ত ভবনে মিলল যুবকের লাশ
চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে একটি পরিত্যক্ত ভবন থেকে মো. মামুন নামে এক যুবকের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গতকাল রোববার রাত নয়টার দিকে উপজেলার পুকুরিয়া ইউনিয়নের চাঁদপুর বাজার এলাকা থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়।
নিহত মো. মামুন উপজেলার পুকুরিয়া ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের মৃত বাদশা মিয়ার ছেলে। তিনি পেশায় ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার চালক। তাঁর লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ।
পুলিশ জানায়, পরিত্যক্ত ভবনে লাশটি দেখে স্থানীয় বাসিন্দারা থানায় অবহিত করেন। এরপর পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশটি উদ্ধার করে। নিহত যুবকের শরীরে আঘাতের একাধিক ফোলা চিহ্ন রয়েছে। তবে তা কীসের আঘাত সেটি নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
বাঁশখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন পেলে ওই যুবকের মৃত্যুর কারণ নিশ্চিত হওয়া যাবে। নিহতের পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।