সুনামগঞ্জে পুকুরে গোসল করতে নেমে পানিতে ডুবে দুই শিশুর মৃত্যু হয়েছে। সদর উপজেলার রঙ্গারচর ইউনিয়নের হরিণাপাটি গ্রামে মঙ্গলবার দুপুরে এ ঘটনা ঘটে।

মৃত শিশু দুটি হলো বুশরা আক্তার (১০) ও ফাতেহা বেগম (৮)। তারা সম্পর্কে মামাতো-ফুফাতো বোন।

হরিণাপাটি গ্রামের বাসিন্দা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) ২ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য নিজাম উদ্দিন জানান, হরিণাপাটি গ্রামের মৃত রফিকুল ইসলামের বাড়ির পুকুরে বুশরা ও ফাতেহা গোসল করতে যায়। পরে পরিবারের লোকজন তাদের পুকুর থেকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করে। সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক দুজনকে মৃত ঘোষণা করেন।

ফাতেহা বেগম রফিকুল ইসলামের মেয়ে, আর বুশরা আক্তার রফিকুল ইসলাম বোন রেহেনা বেগমের মেয়ে। বুশরাদের বাড়ি সদর উপজেলার ধারারগাঁও গ্রামে। সে মামার বাড়িতে বেড়াতে এসেছিল।

নিজাম উদ্দিন বলেন, স্থানীয় ইউপি চেয়রাম্যানকে জানিয়ে পরিবারের লোকজন দুই শিশুর লাশ দাফন করেছেন।

সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.

আবুল কালাম বলেন, বিষয়টি তাঁদের কেউ জানায়নি।

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

বীর মুক্তিযোদ্ধা সখিনা বেগম মারা গেছেন

কিশোরগঞ্জের বীর মুক্তিযোদ্ধা সখিনা বেগম মারা গেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। বার্ধক্যজনিত কারণে মঙ্গলবার বাজিতপুর উপজেলার হিলচিয়া ইউনিয়নের বড়মাইপাড়া এলাকায় তাঁর মৃত্যু হয়। সখিনা বেগমের বয়স হয়েছিল ৯২ বছর।

তাঁর ভাগনি ফাইরুন্নেছা আক্তার বলেন, নিকলী উপজেলার গুরুই গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন সখিনা বেগম। তিনি নিঃসন্তান। মুক্তিযুদ্ধের আগেই তাঁর স্বামী কিতাব আলীর মৃত্যু হয়। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ শুরুর পর সখিনা বেগম সশস্ত্র যুদ্ধে নামেন। নিকলীতে তাঁকে দেখভাল করার কেউ না থাকায় বাজিতপুর উপজেলার হিলচিয়ার বড়মাইপাড়া এলাকায় ভাগনি ফাইরুন্নেছার সঙ্গে থাকতেন।

নিকলী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রেহানা মজুমদার মুক্তি জানান, বিকেলে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় বীর মুক্তিযোদ্ধা সখিনা বেগমকে গুরুই এলাকার কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে।

স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক কয়েকটি বইয়ের লেখা থেকে জানা যায়, ১৯৭১ সালে সখিনা বেগমের ভাগনে মতিউর রহমান সম্মুখযুদ্ধে অংশ নিয়ে পাকিস্তানি সেনা ও রাজাকারের হাতে শহীদ হন। ওই সময় সখিনা গুরুই এলাকায় বসু বাহিনীর নেতৃত্বাধীন মুক্তিযোদ্ধাদের ক্যাম্পে রাঁধুনির কাজ করতেন। কাজের ফাঁকে রাজাকারদের গতিবিধির বিভিন্ন খবর সংগ্রহ করে মুক্তিযোদ্ধাদের জানাতেন। এক পর্যায়ে তিনি পাকিস্তানি বাহিনীর হাতে ধরা পড়েন। পরে সেখান থেকে পালিয়ে যান। ধারালো দা দিয়ে নিকলীর পাঁচ রাজাকারকে কুপিয়ে হত্যা করেন সখিনা বেগম। ওই দা ঢাকার মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরে সংরক্ষিত।

সম্পর্কিত নিবন্ধ