এখন অভিনয় কমিয়ে দিয়েছেন শবনম ফারিয়া। একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করছেন। চাকরির বাইরে সময়–সুযোগ মিললে, গল্প পছন্দ হলে অভিনয় করেন। ছাত্র–জনতার আন্দোলনে সরব থাকা এই অভিনয়শিল্পী প্রত্যাশা করেছিলেন, গণ–অভ্যুত্থানের পর দেশে বড় কিছু পরিবর্তন ঘটবে। তবে সমসাময়িক কিছু ঘটনায় হতাশ এই অভিনেত্রী। ফারিয়া তাঁর সেই হতাশার কথা ফেসবুকে প্রকাশ করেছেন।

গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় নিজের ফেসবুকে দেওয়া পোস্টে তিনি তাঁর পর্যবেক্ষণ তুলে ধরেছেন। এ–ও জানিয়েছেন, বাংলাদেশের রাজনীতি নিয়ে আর কিছু লিখবেন না। এটাই তাঁর শেষ ফেসবুক পোস্ট।

শবনম ফারিয়া.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

‘রাজনীতি’র অভিশাপ থেকে আমাদের রক্ষা করো: ফারিয়া

দেশের রাজনৈতিক ও সামাজিক বিশৃঙ্খলা নিয়ে এবার মুখ খুললেন ছোটপর্দার জনপ্রিয় অভিনেত্রী শবনম ফারিয়া। নাটকে আগের মতো নিয়মিত না হলেও, সোশ্যাল মিডিয়ায় সবসময়ই সরব ফারিয়া— বিশেষ করে বিতর্কিত ও সমসাময়িক বিষয় নিয়ে। এবার এক আবেগঘন ফেসবুক পোস্টে রাষ্ট্রের নানা অনিয়ম, দলীয় ভেদাভেদ আর সাধারণ মানুষের অসহায় অবস্থান তুলে ধরলেন তিনি।

শনিবার ফেসবুক পোস্টে আক্ষেপ প্রকাশ করে শবনম ফারিয়া লিখেছেন, “এমন এক দেশে জন্ম, কার কাছে বিচার দেবো, জানি না। এক পার্টির বড়রা টাকা মেরে ভাগছে, ছোটরা অনলাইনে জুলাইকে অপমান করে সেই শোক কমায়। আর বাকিরা চাঁদাবাজি/ডোনেশন/হাদিয়া নিয়ে কামড়া-কামড়ি করে পারাপারের রাস্তা ঠিকঠাক করে!”

নিজেকে সাধারণ জনগণের প্রতিনিধি উল্লেখ করে শবনম ফারিয়া আরও লেখেন, “মাঝখানে আমরা সাধারণ মানুষ, নীরব দর্শক হয়ে রঙিন তামাশা দেখি।”

আক্ষেপ করে তিনি বলেন, “কিছু বললেই এক পক্ষ বলে, ‘ডলার খেয়েছেন, লাল স্বাধীনতা কেমন লাগে?’ আর অন্য পক্ষ বলে, ‘ফ্যাসিস্ট সরকারের দোসর! ১৬ বছর কিছু বলেননি কেন! এই সবুজ পাসপোর্টে কেউ ভিসাও দিচ্ছে না! কই যাবো আমরা?”

শেষে দেশের ভবিষ্যৎ ও রাজনীতি প্রসঙ্গে আল্লাহর কাছে প্রার্থনা জানিয়ে তিনি লেখেন, “হে আল্লাহ, রাজনীতি নামক এই অভিশাপ থেকে আমাদের প্রিয় মাতৃভূমিকে রক্ষা করো। আমিন।”

ঢাকা/রাহাত//

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • এই সবুজ পাসপোর্টে কেউ ভিসাও দিচ্ছে না...
  • ‘রাজনীতি’র অভিশাপ থেকে আমাদের রক্ষা করো: ফারিয়া