ঝিনাইদহের শৈলকুপায় একই দিনে কুকুরের কামড়ে নারী ও শিশুসহ ১৭ জন আহত হয়েছেন। আজ বৃহস্পতিবার ভোরে পৌর এলাকার হাবিবপুর ও ঝাউদিয়া এবং পার্শ্ববর্তী উমেদপুরা ইউনিয়নের গোবিন্দপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। আহতদের শৈলকুপা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়।

শৈলকুপা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক শাহনেওয়াজ ইবনে কাশেম বলেন, আজ বৃহস্পতিবার সকাল থেকে একের পর এক কুকুরের আক্রমণে আহত ব্যক্তি আসতে শুরু করে। এর মধ্যে নারী ও শিশু রয়েছে। আহতদের চিকিৎসা দিতে আমরা হিমশিম খাচ্ছি।

হাবিবপুর গ্রামের আমজাদ হোসেন জানান, আজ সকালে তার ছেলে বউ সুমাইয়া খাতুনকে হঠাৎ একটি কুকুর আক্রমণ করে। তাকে গুরুতর আহত অবস্থায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। 

একই গ্রামের সুজন হোসেন বলেন, আজ সকালে তার ৮ বছরের মেয়ে মারিয়া বাড়ির বাইরে খেলা করছিল। এ সময় একটি কুকুর তার ওপর আক্রমণ করে। কুকুরের কামড়ে সে গুরুতর আহত হয়। বর্তমানে সে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

গোবিন্দপুর গ্রামের মাজেদা বেগম (৪৫) জানান, তিনি ডায়াবেটিস রোগী। প্রতিদিনের মতো সকালে রাস্তায় হাঁটছিলেন। সকাল ৮টার দিকে বাড়ি ফেরার সময় একটি কুকুরটি তার ওপর আক্রমণ করে কামড়ে দেয়। তিনি শৈলকুপা হাসপাতালে ভর্তি আছেন।

ঝাউদিয়া গ্রামের শান্তি রামের ভাষ্য (৩২), বৃহস্পতিবার ভোর সাড়ে ৪টার দিকে তিনি রাস্তায় হাঁটছিলেন। হঠাৎ একটি কুকুর তাকে কামড়ে দিয়ে ছুটতে থাকে। 

হাবিবপুর গ্রামের বাসিন্দা জামাল উদ্দিন ফকির বলেন, কুকুরের কামড়ে নারী ও শিশুসহ অনেকে চিকিৎসা নিতে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ছুটে যান। কিন্তু খোঁজ নিয়ে জানা যায়, স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এক ডোজও ভ্যাকসিন নেই। এটা খুবই দুঃখজনক ঘটনা।

বিষয়টি নিশ্চিত করে শৈলকুপা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা.

রাশেদ আল মামুন বলেন, গত চার মাস ধরে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কোন র‌্যাবিস ভ্যাকসিন নেই।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) স্নিগ্ধা দাস বলেন, র‌্যাবিস ভ্যাকসিন কিনতে উপজেলা পরিষদ থেকে একটি প্রকল্প নেওয়া হয়েছে। দুই-একদিনের মধ্যে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভ্যাকসিন পৌঁছাবে বলে তিনি আশাবাদী।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ঝ ন ইদহ স ব স থ য কমপ ল ক স শ লক প উপজ ল

এছাড়াও পড়ুন:

সিলেটে পাথরবাহী ট্রাক্টরচাপায় পর্যটক নিহত, আহত ৫

সিলেটের কোম্পানীগঞ্জের ভোলাগঞ্জ সাদাপাথর পর্যটনকেন্দ্রে যাওয়ার পথে পাথরবাহী ট্রাক্টরচাপায় জিয়াউল হক (৬৫) নামে এক পর্যটকের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন ৫ জন।

শনিবার (১ নভেম্বর) দুপুরে সিলেট-ভোলাগঞ্জ মহাসড়কের ভোলাগঞ্জ পয়েন্টে এই দুর্ঘটনা ঘটে। আহতদের উদ্ধার করে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এর মধ্যে, একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।

আরো পড়ুন:

চট্টগ্রামে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে উল্টে গেল পুলিশবাহী বাস, আহত ২০

খাগড়াছড়িতে ট্রাকচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী নিহত

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, সিলেট থেকে পাঁচজন পর্যটক নিয়ে একটি সিএনজিচালিত অটোরিকশা সাদাপাথর পর্যটন কেন্দ্রে যাচ্ছিল। ভোলাগঞ্জ পয়েন্টে আসলে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি পাথরবাহী ট্রাক্টর অটোরিকশাকে চাপা দেয়। এতে অটোরিকশার চালকসহ ৬ জন আহত হন। স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক জিয়াউল হককে মৃত ঘোষণা করেন। পরে আহতদের সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হয়।

কোম্পানীগঞ্জ থানার ওসি রতন শেখ বলেন, ‘‘ভোলাগঞ্জ সাদাপাথর পর্যটনকেন্দ্রে যাওয়ার পথে পাথরবাহী ট্রাক্টরচাপায় এক পর্যটকের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় পরবর্তী আইনি কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন।’’

ঢাকা/নূর/রাজীব

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সব কমিটি পুনর্বহাল
  • সিলেটে পাথরবাহী ট্রাক্টরচাপায় পর্যটক নিহত, আহত ৫