চলচ্চিত্রকর্মীদের দীর্ঘদিনের দাবির মুখে সেন্সর বোর্ড যুগের ইতি ঘটে। বাংলাদেশের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো ‘বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সার্টিফিকেশন বোর্ড’ গঠন করে সরকার। রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর ১৭ সেপ্টেম্বর সেন্সর বোর্ড পুনর্গঠন করা হয়। গত ১০ মাসে সার্টিফিকেশন বোর্ড থেকে সনদ পেয়েছে ৯৪টি চলচ্চিত্র। আজ বৃহস্পতিবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়।

আরও পড়ুনসেন্সর বোর্ড যুগের ইতি, সার্টিফিকেশন বোর্ড গঠন২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪

বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, ৯৪টি চলচ্চিত্রের মধ্যে ৩৮টি পূর্ণদৈর্ঘ্য বাংলা চলচ্চিত্র, ২৯টি ইংরেজি চলচ্চিত্র, ১২টি স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র এবং ১৫টি প্রামাণ্যচিত্রকে জনসমক্ষে প্রদর্শনের জন্য সনদ দিয়েছে সার্টিফিকেশন বোর্ড। এ ছাড়া বিভিন্ন দূতাবাস থেকে পাঠানো এবং ফিল্ম ক্লাব ও চলচ্চিত্র সংসদ কর্তৃক আয়োজিত উৎসবে প্রদর্শনের জন্য মোট ৪৮৪টি চলচ্চিত্রকে পরীক্ষণপূর্বক বিশেষ সনদ দেওয়া হয়েছে।

আরও পড়ুনসার্টিফিকেশন বোর্ড কী করছে১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

এর পাশাপাশি চলচ্চিত্র সার্টিফিকেশন বোর্ড ১৯টি বাংলা ও ইংরেজি চলচ্চিত্রের ট্রেলারকে সনদ প্রদান করেছে। বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়েছে, বর্তমান চলচ্চিত্র সার্টিফিকেশন বোর্ডে সনদ গ্রহণের জন্য কোনো চলচ্চিত্রের আবেদন অপেক্ষমাণ নেই।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: চলচ চ ত র স চ ত রক

এছাড়াও পড়ুন:

রাজউক সার্ভারে ঢুকে নকশা অনুমোদন, গ্রেপ্তার ৩

রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) ইসিপিএস সার্ভার হ্যাক করে অনুপ্রবেশের মাধ্যমে জালিয়াতি করে নকশা অনুমোদনের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। মতিঝিল এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। গতকাল বৃহস্পতিবার রাজউকের সহকারী পরিচালক মো. আব্দুল্লাহ আল মারুফ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

গত ১৯ মে নকশা অনুমোদন-সক্রান্ত ইসিপিএস সার্ভারে অনুপ্রবেশ করে মাত্র ১৭ মিনিটে একটি ভবনের অনুমোদন পাশের ঘটনাটি নজরে আসে রাজউক কর্তৃপক্ষের। 
জলাভূমি ও হাইট রেস্ট্রিকশন থাকা ভূমিতে ১৫ তলাবিশিষ্ট ১৮৫ ইউনিটের এই সুউচ্চ ভবনটির নকশা সব বিধিকে পাশ কাটিয়ে সম্পূর্ণ অবৈধভাবে পাস করিয়ে নেয় অনুপ্রবেশকারীরা। পরে রাজউক কর্তৃপক্ষ ঘটনাটি জানতে পেরে প্রাথমিক তদন্তে একই উপায়ে আরও তিনটি ভবনের নকশা অনুমোদন শেষ পর্যায়ে প্রক্রিয়াধীন অবস্থায় পায়। তৎক্ষণাৎ সার্ভারটি বন্ধ করে মতিঝিল থানায় সেদিনই একটি জিডি করা হয়।

পাস করা নকশার সূত্র ধরে রাবেয়া বারী নামক এক প্রকৌশলীর সন্ধান পায় রাজউক, যার স্বাক্ষর নকশাগুলোতে পাওয়া যায়। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদে বেরিয়ে আসে মতিঝিলের নীলনকশা নামের একটি কম্পিউটারের দোকান ও সেখানকার এক কর্মচারী স্বপনের নাম। এর পরিপ্রেক্ষিতে রাজউকের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মনির হোসেন হাওলাদারের নেতৃত্বে গত ২২ মে একটি মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হয় মতিঝিলের নীলনকশা নামক দোকানটিতে। দোকানটির সঙ্গে অননুমোদিত নকশা অনুমোদনের সম্পৃক্ততা পাওয়া যায়। একই সঙ্গে দোকানটির মালিক এনামুলের ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করে রাজউকের নির্ধারিত ফি পরিশোধের প্রমাণ পাওয়া যায়।

এ ছাড়াও দোকানের কয়েকটি কম্পিউটারে ওই অবৈধ ভবনগুলোর নকশা পাওয়া যায়। এতে দোকানের মালিক এনামুল ও কর্মচারী স্বপনের সম্পৃক্ততা প্রতীয়মান হয়। মোবাইল কোর্ট চলাকালে তাদের কাউকেই না পাওয়া যাওয়ায় সংশ্লিষ্ট অন্য কর্মচারীদের পুলিশের আওতায় নেওয়া হয়।

রাজউকের সহকারী পরিচালক মো. আব্দুল্লাহ আল মারুফ বলেন, এমন সংবেদনশীল বিষয়ে রাজউক চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার মো. রিয়াজুল ইসলাম সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেন এবং তাঁর নির্দেশনায় ৬ জুন রাজউক বাদী হয়ে সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশ ধারাসহ দণ্ডবিধির ধারায় উত্তরা পূর্ব থানায় মামলা করেন। 

তিনি বলেন, মামলার এজাহারনামীয় ২১ নম্বর আসামি জালিয়াতির সঙ্গে জড়িত প্রতিষ্ঠান ‘নীলাভ নকশাঘর’ এর মালিক মো. জাহাঙ্গীর আলমসহ এজাহারনামীয় ২২ ও ২৩ নম্বর আসামি সজীব ও মুকুলকে পুলিশ মতিঝিল এলাকায় অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ