ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ে ডার্ক ম্যাটার নিয়ে সেমিনার
Published: 20th, June 2025 GMT
ডার্ক ম্যাটার এক রহস্যময় ও অদৃশ্য পদার্থ, যা মহাবিশ্বের মোট ভরের প্রায় ২৭ ভাগ গঠন করে আছে বলে ধারণা করা হয়। ডার্ক ম্যাটার আলো বা অন্য কোনো তড়িৎ চুম্বকীয় বিকিরণ শোষণ, প্রতিফলিত বা নির্গত করে না। আর তাই ডার্ক ম্যাটার সরাসরি দেখা যায় না। বিজ্ঞানীরা এর অস্তিত্ব অনুমান করতে নানা ধরনের পরীক্ষা করছেন। বিজ্ঞানীরা কীভাবে ডার্ক ম্যাটারের অদৃশ্য উপস্থিতি অনুমান করেন, তা জানাতে গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ে হয়ে গেল বিজ্ঞানবিষয়ক এক সেমিনার। ‘মেরুল বাড্ডা টকস ইন ম্যাথ অ্যান্ড ফিজিকস’ সেশনের অংশ হিসেবে আয়োজিত এই সেমিনারে ডার্ক ম্যাটার নিয়ে আলোচনা করেন যুক্তরাষ্ট্রের রাইস ইউনিভার্সিটির পদার্থবিজ্ঞান ও জ্যোতির্বিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মোস্তফা আমিন। সেমিনারে ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা অংশ নেন।
অধ্যাপক মোস্তফা আমিন তাঁর বক্তব্যে ডার্ক ম্যাটারের ধারণা দেন। ডার্ক ম্যাটারের অস্তিত্বের প্রমাণ ও আধুনিক জ্যোতির্বিজ্ঞানে এর ভূমিকা নিয়ে আলোচনা পাশাপাশি তিনি ব্যাখ্যা করেন কীভাবে বিজ্ঞানীরা মহাবিশ্বের বিভিন্ন গ্যালাক্সি, গ্যালাক্সি ক্লাস্টার ও কসমিক মাইক্রোওয়েভ ব্যাকগ্রাউন্ডের পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে ডার্ক ম্যাটারের অদৃশ্য উপস্থিতি অনুমান করেন। তিনি গবেষণার বিভিন্ন ফলাফল ও ডার্ক ম্যাটার শনাক্তকরণের জন্য চলমান বিভিন্ন পরীক্ষামূলক প্রচেষ্টা সম্পর্কেও আলোকপাত করেন।
সেমিনারে শিক্ষার্থীরা ডার্ক ম্যাটারের প্রকৃতি, ভবিষ্যৎ গবেষণা ও মহাবিশ্বের গঠন–সম্পর্কিত বিভিন্ন প্রশ্ন করেন। জবাবে অধ্যাপক মোস্তফা আমিন বলেন, ‘বর্তমানে ডার্ক ম্যাটারের অস্তিত্ব প্রমাণিত। আমরা এখন ডার্ক ম্যাটার আসলে কী নিয়ে গঠিত, তা জানার চেষ্টা করছি।’
সেমিনারে ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সৈয়দা তাসনুভা বলেন, ‘একজন আন্তর্জাতিক মানের গবেষকের কাছ থেকে সরাসরি ডার্ক ম্যাটার সম্পর্কে জানতে পারা আমাদের শিক্ষার্থীদের জন্য অসাধারণ অভিজ্ঞতা। এই ধরনের সেমিনার শিক্ষার্থীদের মধ্যে বৈজ্ঞানিক কৌতূহল বাড়াতে এবং গবেষণার প্রতি আগ্রহী করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।’
সেমিনারের আয়োজক ও ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিত প্রোগ্রামের পরিচালক অধ্যাপক সৈয়দ হাসিবুল হাসান চৌধুরী বলেন, ‘অধ্যাপক আমিন ডার্ক ম্যাটারের ওপর একটি অসাধারণ বক্তৃতা দিয়েছেন আমাদের শিক্ষার্থীদের জন্য। ভবিষ্যতে ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের এ রকম আয়োজন আরও করা হবে।’
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
ডি ব্রুইনা-সিটির পুনর্মিলনীতে হলান্ডের দ্রুততম ‘ফিফটি’
ম্যানচেস্টার সিটি ২-০ নাপোলি
ইতিহাদ ছেড়ে গিয়েছিলেন গত জুনে। তারপর এবারই তাঁর প্রথম ফেরা বড় সাধের এই স্টেডিয়ামে। ম্যানচেস্টার সিটির দর্শকেরা তাঁকে নায়কের মর্যাদায় বরণও করে নিলেও কোথায় যেন একটা অতৃপ্তি থেকে গেল। কেভিন ডি ব্রুইনা এখন হতে পারেন প্রতিপক্ষ, তবু ম্যাচের মাত্র ২৬ মিনিটে তাঁর বদলি হয়ে মাঠ ছাড়ার সময় সিটির দু-একজন সমর্থকদের মুখটা শুকনো দেখা গেল। ক্লাব কিংবদন্তিকে উঠে দাঁড়িয়ে তাঁরা সম্মান দেখিয়েছেন, তবে মাঠে আরও কিছুক্ষণ দেখতে চেয়েছিলেন নিশ্চয়ই!
কৌশলগত কারণে মাঠ ছাড়তে হয় ডি ব্রুইনাকে। নাপোলি কোচ আন্তোনিও কন্তে অবশ্য তাতে হার এড়াতে পারেননি। বিরতির পর আর্লিং হলান্ড ও জেরেমি ডকুর গোল হজম করতে হয়। সিটির ২-০ গোলের এ জয়ে দারুণ এক রেকর্ডও গড়েন হলান্ড।
৫৬ মিনিটে তাঁর গোলটির উৎস সিটি মিডফিল্ডার ফিল ফোডেন। লব করে দারুণভাবে বলটা তুলে সামনে বাড়িয়ে দেন, হেডে চ্যাম্পিয়নস লিগে নিজের ৫০তম গোল তুলে নেন হলান্ড। সেটা আবার এই প্রতিযোগিতার ইতিহাসে দ্রুততম। ৪৯ ম্যাচে ‘ফিফটি’ পাওয়া হলান্ড পেছনে ফেললেন রুদ ফন নিষ্টলরয়কে (৬২ ম্যাচ)।
ডকুর গোলটি দেখার মতো। ৬৫ মিনিটে বক্সের বাইরে থেকে বল পেয়ে ভেতরে ঢুকে গোল করার পথে নাপোলির তিন খেলোয়াড় মিলেও তাঁকে থামাতে পারেননি। সিটির এই দুই গোলে এগিয়ে যাওয়া আসলে একটি সুবিধার ফল। ২১ মিনিটে বক্সে হলান্ডকে ফাউল করে লাল কার্ড দেখেন নাপোলি অধিনায়ক ও রাইট ব্যাক জিওভান্নি ডি লরেঞ্জো। এরপর ১০ জনে পরিণত হওয়া ইতালিয়ান ক্লাবটির ওপর চেপে বসে সিটির আক্রমণভাগ।
গোল করলেন জেরেমি ডকু