ঢাকার অদূরে আশুলিয়ার শিমুলিয়ায় স্থানীয়দের চলাচলের রাস্তা বন্ধ করে দেওয়াকে কেন্দ্র করে জমির মালিকপক্ষ ও গ্রামবাসীর মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এতে অন্তত আটজন আহত হয়েছেন।

শুক্রবার (২০ জুন) সন্ধ্যায় শিমুলিয়া বাজার এলাকায় এ সংঘর্ষ হয়। আহত ব্যক্তিদের ধামরাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

আহতরা হলেন—শফিকুর রহমান, অজিত সূত্রধর, তারা মিয়া, মোশাররফ হোসেন, শহিদুল ইসলাম, আবুল হোসেন, আল মারুফ এবং জহিরুল ইসলাম। তারা ধামরাই ও আশুলিয়ার বাসিন্দা।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানিয়েছেন, শিমুলিয়া বাজার থেকে শ্মশানঘাট পর্যন্ত একটি সরু কাঁচা রাস্তা দীর্ঘদিন ধরে ব্যবহার করছেন ওই এলাকার বাসিন্দারা। রাস্তার কিছু অংশ ব্যক্তিমালিকানাধীন জমির ওপর হওয়ায় সম্প্রতি মালিক আবুল হোসেন ওই অংশে দেয়াল নির্মাণের চেষ্টা করেন। এতে রাস্তা বন্ধ হয়ে যায়। শুক্রবার বিকেলে এলাকাবাসী স্থানীয় ইউপি সদস্যদের উপস্থিতিতে ওই দেয়াল ভেঙে ফেলেন।

এ নিয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা তৈরি হয়। সন্ধ্যার দিকে জমির মালিক আবুল হোসেনের লোকজন এলাকাবাসীর ওপর হামলা চালায় বলে অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগীরা। এ সময় পুলিশের উপস্থিতিতেই হয় ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষ।

আশুলিয়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মুজিবর রহমান বলেছেন, “বিকেলে জরুরি সেবা নম্বর ৯৯৯-এ ফোন পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। তখনই আবুল হোসেনের লোকজন হামলা চালায়। পরে উভয় পক্ষের সংঘর্ষে অন্তত আটজন আহত হন।”

সংঘর্ষের ঘটনায় উভয় পক্ষ থানায় পাল্টাপাল্টি অভিযোগ দায়ের করেছেন। এ বিষয়ে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

ঢাকা/আরিফুল/রফিক

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর স ঘর ষ

এছাড়াও পড়ুন:

সৌদি আরবে এক দিনে আটজনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর

সৌদি আরবে এক দিনে আটজনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে। দেশটিতে সম্প্রতি মাদক-সংক্রান্ত অপরাধে মৃত্যুদণ্ডের হার বেড়েছে। এই পরিস্থিতিতে উপসাগরীয় দেশটিতে এক দিনে এত বেশি মানুষের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হলো।

রাষ্ট্রায়ত্ত সংবাদ সংস্থা সৌদি প্রেস এজেন্সি (এসপিএ) বলেছে, গত শনিবার দক্ষিণাঞ্চলীয় নাজরান এলাকায় সোমালিয়ার চারজন ও ইথিওপিয়ার তিনজন নাগরিকের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে। তাঁদের বিরুদ্ধে সৌদিতে হাশিশ (গাঁজার মতো একধরনের মাদকদ্রব্য) চোরাচালানের অভিযোগ ছিল।

মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হওয়া অন্য ব্যক্তি হলেন সৌদি আরবের নাগরিক। মাকে হত্যার দায়ে তাঁকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

এএফপির হিসাব অনুযায়ী, চলতি বছরের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত সৌদি আরবে ২৩০ জনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে। এর মধ্যে ১৫৪ জনের বিরুদ্ধে মাদক–সংক্রান্ত অপরাধের অভিযোগ ছিল।

এই হারে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হতে থাকলে চলতি বছর দেশটিতে ২০২৪ সালের রেকর্ড ছাড়িয়ে যাবে। গত বছর দেশটিতে ৩৩৮ জনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছিল।

বিশ্লেষকদের মতে, ২০২৩ সালে শুরু হওয়া ‘মাদকবিরোধী যুদ্ধের’ কারণেই মূলত সৌদি আরবে মৃত্যুদণ্ডের সংখ্যা বাড়ছে। এ অভিযানের সময় যাদের আটক করা হয়েছিল, এখন বিচারপ্রক্রিয়া শেষে তাদের অনেকের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হচ্ছে।

প্রায় তিন বছর বন্ধ রাখার পর ২০২২ সালের শেষ দিক থেকে মাদক–সংক্রান্ত অপরাধে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর আবার শুরু করে সৌদি আরব।

সৌদি আরবে ২০২২ সালে মাদক-সম্পর্কিত অপরাধে ১৯ জন, ২০২৩ সালে ২ জন এবং ২০২৪ সালে ১১৭ জনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে।

অধিকারকর্মীরা বলছেন, মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের এই ধারাবাহিকতা সৌদি আরবের ‘উন্মুক্ত ও সহনশীল সমাজ’ গঠনের প্রচেষ্টাকে ক্ষুণ্ন করছে। অথচ এটাই ছিল যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের ঘোষিত ভিশন ২০৩০ সংস্কার কর্মসূচির মূল ভিত্তি।

তবে সৌদি কর্তৃপক্ষের দাবি, জনশৃঙ্খলা রক্ষার জন্য মৃত্যুদণ্ড অপরিহার্য এবং সব ধরনের আপিলপ্রক্রিয়া সম্পন্ন হওয়ার পরই এই ধরনের সাজা কার্যকর করা হচ্ছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • সৌদি আরবে এক দিনে আটজনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর