রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়া পূর্বপাড়া থেকে তানিয়া আক্তার বুলু (২৬) নামে এক তরুণীর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার রাতে নিজ ঘরের ওয়ার্ডরোব থেকে তাঁর মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
তানিয়া বরিশাল বন্দর থানার রায়পুর গ্রামের দুলাল সরদারের মেয়ে। তিনি দৌলতদিয়া পূর্বপাড়া গ্রামের সরোয়ার মন্ডলের বাড়ির ভাড়াটিয়া ছিলেন। পেশায় তিনি যৌনকর্মী ছিলেন।
ওই বাড়ির ভাড়াটিয়াদের ভাষ্য, মঙ্গলবার সকালে তানিয়ার সঙ্গে তাদের সর্বশেষ কথা হয়েছে। এরপর তাকে নিজ কক্ষ বের হতে দেখেননি তারা। তানিয়ার কোনো সমস্যা হয়েছে কিনা সন্ধ্যার দিকে তাদের এ সন্দেহ হয়। এরপর তারা বাড়ির মালিক সরোয়ার মন্ডলকে খবর দেন। তিনি তানিয়ার কক্ষের ওয়ার্ডরোবের তালা ভেঙে ভেতরে তার মরদেহ দেখতে পান। পরে পুলিশকে খবর দিলে তারা গিয়ে মরদেহটি উদ্ধার করে।
গোয়ালন্দ ঘাট থানার ওসি মোহাম্মদ রাকিবুল ইসলাম জানান, ওই তরুণীকে মোবাইলের চার্জারের তার পেঁচিয়ে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িতদের শনাক্ত ও হত্যার রহস্য উদঘাটনের চেষ্টা চলছে।
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
হালুয়াঘাটে স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ
ময়মনসিংহের সীমান্তবর্তী হালুয়াঘাট উপজেলায় এক স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে এক অটোরিকশাচালকের বিরুদ্ধে। খবর পেয়ে পুলিশ তাৎক্ষণিক অভিযান চালায়। তবে অভিযুক্ত ব্যক্তিকে আটক করতে পারেনি।
পুলিশ, স্থানীয় বাসিন্দা কিশোরীর পরিবার সূত্রে জানা যায়, ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর মেয়েটি উপজেলার একটি উচ্চবিদ্যালয়ে নবম শ্রেণিতে পড়ে। সোমবার দুপুরে সে তার বন্ধুর সঙ্গে একটি পার্কে বেড়াতে যায়। বিকেলের দিকে সেখান থেকে বাড়ি পৌঁছে দিতে কিশোরীকে একটি অটোরিকশায় তুলে দেয় বন্ধু। এ সময় অটোরিকশাচালক হালুয়াঘাট উপজেলা শহরে পূজামণ্ডপ দেখানোর কথা বলে মেয়েটিকে নিয়ে ঘুরতে থাকেন। একপর্যায়ে মেয়েটিকে একটি নির্জন স্থানে নিয়ে ধর্ষণ করেন। এরপর রাত ১১টার দিকে গামারীতলা এলাকায় মেয়েটিকে নামিয়ে দিয়ে অটোরিকশাচালক চলে যায়। এরপর মেয়েটিকে স্থানীয় লোকজন উদ্ধার করে বাড়িতে নিয়ে যান।
খবর পেয়ে পুলিশ সোমবার রাতেই অভিযুক্ত আবুল বাশারের (২৫) বাড়িতে যায়। তবে তাঁকে পাওয়া যায়নি। ওই সময় পুলিশ তাঁর অটোরিকশাটি জব্দ করে থানায় নিয়ে যায়।
এ ঘটনায় মঙ্গলবার সন্ধ্যায় থানায় অভিযোগ দিতে যায় মেয়েটির পরিবার। এ বিষয়ে রাতে হালুয়াঘাট থানার ওসি হাফিজুল ইসলাম বলেন, ‘নিজেদের কমিউনিটির লোকজনের সঙ্গে আলোচনা করে মেয়েটির মা বাদী হয়ে অভিযোগ দিচ্ছেন। অভিযোগ হাতে পেলেই আমরা রাতেই মামলা হিসেবে গ্রহণ করব। অভিযুক্তকেও আমরা ধরে ফেলব।’