চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) গাঁজা সেবনরত অবস্থায় তিন ছাত্রীসহ নয় শিক্ষার্থীকে হাতেনাতে আটক করেছেন প্রক্টরিয়াল বডি ও নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা।

বুধবার (২৫ জুন) রাত ৮টার পর চবি প্রক্টরিয়াল বডির নিয়মিত অভিযানে বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা অনুষদের ক্যান্টিন এবং কলা ঝুপড়ির পার্শ্ববর্তী স্থান থেকে তাদের আটক করা হয়েছে। 

প্রক্টরিয়াল বডি সূত্রে জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা অনুষদের ক্যান্টিন এবং কলা ঝুপড়ির পার্শ্ববর্তী স্থানে পৃথক অভিযানে তাদের আটক করা হয়েছে। পৃথক দুই গ্রুপে আটক হয়েছেন মোট নয়জন। এর মধ্যে ছয়জন ছাত্র ও তিনজন ছাত্রী। এক গ্রুপে পাঁচজন এবং আরেক গ্রুপে চারজন ছিল। তাদের মধ্যে একজন পোর্ট সিটি ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থী।

আরো পড়ুন:

গাইবান্ধায় মাদক পাচারকালে শাশুড়ি-জামাই আটক

কভার্ডভ্যানে মিলল ১৬০ বোতল ভারতীয় মদ

বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) বিষয়টি নিশ্চিত করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর নাজমুল হোসাইন। তিনি বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয় বর্তমান প্রশাসন মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি অনুসরণ করছে। এরই ধারাবাহিকতায় প্রক্টরিয়াল বডির নিয়মিত অভিযানে গতকাল (বুধবার) দুইটি স্থান থেকে মাদক সেবনরত অবস্থায় তাদের আটক করা হয়। পরে মুচলেকা নিয়ে কাউন্সিলিংয়ের জন্য তাদের নিজ নিজ বিভাগে প্রেরণ করা হয়েছে।”

আটক শিক্ষার্থীদের নাম-পরিচয় জানতে চাইলে তিনি বলেন, “তাদের নাম-পরিচয় আমরা গণমাধ্যম দিচ্ছি না। আমরা চাচ্ছি, উপযুক্ত কাউন্সিলিয়ের মাধ্যমে তাদের মাদক থেকে সরিয়ে আনতে। তারা আমাদের কাছে মুচলেকাও দিয়েছে। আমরা আপাতত সরাসরি অ্যাকশনে না গিয়ে কাউন্সিলিং করছি “

ঢাকা/মিজান/মেহেদী

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর আটক

এছাড়াও পড়ুন:

সবুজবাগে ব্যবসায়ীকে লক্ষ্য করে দুর্বৃত্তের ছোড়া গুলিতে পথচারী আহত

রাজধানীর সবুজবাগের বাইগদিয়া নুনের টেক এলাকায় দুর্বৃত্তদের গুলিতে মনির হোসেন (৪৬) নামে এক নিরাপত্তাকর্মী আহত হয়েছেন। রোববার সন্ধ্যায় এ ঘটনা ঘটে। পুলিশ বলছে, ব্যবসা নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে গুলির ঘটনা ঘটেছে। এতে একজন পথচারী গুলিবিদ্ধ হয়েছেন।

পুলিশ সূত্র জানায়, আহত মনির হোসেন খিলগাঁওয়ের দক্ষিণ গোড়ান এলাকায় থাকেন। পেশায় তিনি একজন নিরাপত্তাকর্মী।

মনিরকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসেন একই এলাকার বাসিন্দা সাইদুল ইসলাম। তিনি জানান, বিকেলে কয়েকজন মিলে গোসল করার জন্য বাইগদিয়া এলাকায় যান মনির। সেখান থেকে হেঁটে ফেরার পথে মোটরসাইকেলে করে আসা অজ্ঞাতনামা কয়েকজন গুলি ছোড়ে। এতে তাঁর কোমরে গুলি লাগে।

সাইদুল আরও জানান, ঘটনাস্থলের পাশেই তখন গন্ডগোল চলছিল। গুরুতর আহত অবস্থায় মনিরকে প্রথমে স্থানীয় একটি হাসপাতালে এবং পরে মুগদা জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে রাত সাড়ে ৯টার দিকে তাঁকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

ডেমরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহমুদুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, জাহাঙ্গীর নামের একজন ড্রেজার ব্যবসায়ীকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়া হয়। প্রাণ বাঁচাতে তিনি পানিতে লাফ দেন। তখন গুলি এসে নিরাপত্তারক্ষী মনিরের গায়ে লাগে। ওসি বলেন, এ ঘটনায় ছয়জনকে চিহ্নিত করা হয়েছে। তাদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ