সন্ত্রাসী গোষ্ঠী ইসলামিক স্টেটের (আইএসআইএস) সঙ্গে সংশ্লিষ্ট একটি গোষ্ঠী গাজায় ফিলিস্তিনিদের ওপর ইসরায়েলের পক্ষে হামলা চালাচ্ছে। শনিবার আল-জাজিরা অনলাইন এ তথ্য জানিয়েছে।

ইউরোপীয় কাউন্সিল অন ফরেন রিলেশনসের সিনিয়র ফেলো মুহাম্মদ শেহাদা আল জাজিরাকে বলেন, “আবু শাবাব নামের এই সশস্ত্র গোষ্ঠীর সিংহভাগই হয় ‘সিনাই অথবা গাজায় দণ্ডপ্রাপ্ত খুনি, চোর, মাদক ব্যবসায়ী অথবা আইএসআইএসের সদস্য।”

তিনি বলেন, সশস্ত্র গোষ্ঠীটি “ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর মতোই দুর্দশাগ্রস্ত: কর্তৃত্ব থেকে পালিয়ে আসা অপরাধী, যারা জানে যে গাজায় গণহত্যা শেষ হওয়ার সাথে সাথেই তাদের কারাগারে থাকতে হতে পারে।”

তিনি জানান, ইসরায়েলি সেনাবাহিনী এবং সশস্ত্র গোষ্ঠীর মধ্যে একটি স্পষ্ট সংযোগ রয়েছে।

শেহাদা বলেন, “ইসরায়েল রাফাহর অভ্যন্তরের যে অংশ সম্পূর্ণরূপে নিশ্চিহ্ন করে দিয়েছিল, আবু শাবাব সশস্ত্র গোষ্ঠী লুণ্ঠিত ত্রাণের বিশাল স্তূপ সংরক্ষণের জন্য সেখানে সামরিক কমপ্লেক্স এবং গুদাম তৈরি করেছে।”

ঢাকা/শাহেদ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর সশস ত র গ ষ ঠ

এছাড়াও পড়ুন:

ফ্লোটিলা বহরে ভেসে চলা একমাত্র জাহাজ ম্যারিনেট কোথায়

ফিলিস্তিনের গাজা অভিমুখে যাত্রা করা ত্রাণবাহী নৌবহর ‘গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা’-এর একটি মাত্র নৌযান এখনো আটক করতে পারেনি ইসরায়েলি বাহিনী। এই নৌযানটি হলো দ্য ম্যারিনেট।

পোল্যান্ডের পতাকাবাহী এই নৌযানে ছয়জন আরোহী রয়েছেন ।

ফ্লোটিলার লাইভ ট্র্যাকার অনুযায়ী, ম্যারিনেট আন্তর্জাতিক জলসীমায় ভেসে চলেছে। এর গতি ঘণ্টায় প্রায় ২.১৬ নট (ঘণ্টায় প্রায় ৪ কিলোমিটার) , গাজার আঞ্চলিক জলসীমা থেকে ম্যারিনেটের দূরত্ব  প্রায় ১০০ কিলোমিটার।

বৃহস্পতিবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশিত এক ভিডিওতে জাহাজটির ক্যাপ্টেন বলেন, ম্যারিনেটের ইঞ্জিনে সমস্যা হচ্ছিল। এটি  এখন সারানো  হয়েছে।

ফ্লোটিলা আয়োজকেরা বলছেন, ম্যারিনেট নৌযান এখনো স্টারলিঙ্কের মাধ্যমে সংযুক্ত। এটি যোগাযোগের আওতার মধ্যেই রয়েছে। লাইভস্ট্রিমও সক্রিয় আছে।  

ইনস্টাগ্রামে দেওয়া এক পোস্টে গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা জানিয়েছে, অন্য জাহাজগুলো আটক করলেও ম্যারিনেট এখনো ভেসে চলছে।

ম্যারিনেট ফিরে যাবে না বলেও ওই পোস্টে জানানো হয়েছে।  পোস্টে বলা হয়েছে, ‘ম্যারিনেট শুধু একটি জাহাজ নয়। ম্যারিনেট হলো ভয়, অবরোধ ও সহিংসতার বিরুদ্ধে দৃঢ়তা।’

ফ্লোটিলা আয়োজকরা আরও লিখেছেন, ‘গাজা একা নয়।’ ‘ফিলিস্তিনকে কেউ ভুলে যায়নি। আমরা কোথাও যাচ্ছি না।’

ফ্লোটিলা বহরের প্রায় সব নৌযানে থাকা অধিকারকর্মীদের আটক করেছে ইসরায়েল। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন সুইডিশ অধিকারকর্মী গ্রেটা থুনবার্গ। ইসরায়েলের এমন পদক্ষেপকে ‘সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড’ উল্লেখ করে নিন্দা জানিয়েছে অনেক দেশ। বিভিন্ন দেশে বিক্ষোভও হয়েছে।

আরও পড়ুনগাজা অভিমুখী নৌবহরে ইসরায়েলি সেনাদের আক্রমণ, ধরে নেওয়া হলো অধিকারকর্মীদের৬ ঘণ্টা আগে

সম্পর্কিত নিবন্ধ