এক মিনিট ইন্টারনেট ব্ল্যাকআউট কর্মসূচি থেকে সরল সরকার
Published: 3rd, July 2025 GMT
সমালোচনার মুখে ‘জুলাই পুনর্জাগরণ অনুষ্ঠানমালা’ থেকে ইন্টারনেট বন্ধের পরিকল্পনা থেকে সরে এসেছে অন্তর্বর্তী সরকার। বৃহস্পতিবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে নিজের ভেরিফায়েড পেজে এক পোস্টে এ কথা জানিয়েছেন সংস্কৃতিবিষয়ক উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী।
তিনি লিখেছেন, ‘জুলাই কোমেরেশন প্রোগ্রামের একটা কর্মসূচি নিয়ে আমাদের পরিকল্পনা পর্যায় থেকেই দ্বিধা ছিল। একটা মাত্র কর্মসূচি আমরা কয়েকবার কেটেছি, আবার যুক্ত হয়েছে। আমরা অনেকেই একমত ছিলাম ‘এক মিনিট ইন্টারনেট ব্ল্যাকআউট’ গ্রেট আইডিয়া না সম্ভবত। পরে আবার নানা আলোচনায় এটা ঢুকে পড়েছে কর্মসূচিতে। অনেক বড় কর্মসূচি এবং বড় একটা দল কাজ করলে এ রকম দু-একটা ভুল চোখের আড়ালে থেকে যায়। যাই হোক, আমরা কৃতজ্ঞ আপনাদের কাছে, সেই কর্মসূচি নিয়ে আপনাদের মতামত জানানোর জন্য।
‘আপনাদের অবগতির জন্য জানাচ্ছি, আমরা নিজেদের মধ্যে দ্রুত সভা করে সিদ্ধান্ত নিয়েছি—এক মিনিট প্রতীকী ইন্টারনেট ব্ল্যাকআউট কর্মসূচি থাকছে না। সংশোধিত স্লাইড শেয়ার করে হয়েছে। এর বাইরে সব কর্মসূচি অপরিবর্তিত থাকছে। লেটস রিকানেক্ট, রিগ্রুপ অ্যান্ড রিগনাইট দ্য ভেরি জুলাই ফায়ার।’
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
‘জুলাই স্মরণে’ ইন্টারনেট ব্ল্যাকআউট কর্মসূচি বাতিল
জুলাই গণঅভ্যুত্থানের বছরপূর্তি উপলক্ষে ৩৬ দিনব্যাপী বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করবে সরকার। তবে ১৮ জুলাই ১ মিনিটের প্রতীকী ইন্টারনেট ব্ল্যাকআউট কর্মসূচি বাতিলের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৩ জুলাই) সকাল পৌনে ১০টার দিকে ফেসবুক স্ট্যাটাসে এ তথ্য জানান সংস্কৃতি উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী।
সেখানে তিনি লেখেন, “জুলাই কোমেমোরেশন প্রোগ্রামের একটা কর্মসূচি নিয়ে আমাদের পরিকল্পনা পর্যায় থেকেই দ্বিধা ছিলো। একটা মাত্র কর্মসূচিই আমরা কয়েকবার কেটেছি, আবার যুক্ত হয়েছে। আমরা অনেকেই একমত ছিলাম “এক মিনিট ইন্টারনেট ব্ল্যাক আউট” গ্রেট আইডিয়া না সম্ভবত। পরে আবার নানা আলোচনায় এটা ঢুকে পড়ে কর্মসূচিতে। অনেক বড় কর্মসূচি এবং বড় একটা দল কাজ করলে এরকম দুয়েকটা ভুল চোখের আড়ালে থেকে যায়। যাই হোক, আমরা কৃতজ্ঞ আপনাদের কাছে, সেই কর্মসূচি নিয়ে আপনাদের মতামত জানানোর জন্য। আপনাদের অবগতির জন্য জানাচ্ছি, আমরা নিজেদের মধ্যে দ্রুত সভা করে সিদ্ধান্ত নিয়েছি- এক মিনিট প্রতীকী ইন্টারনেট ব্ল্যাক আউট কর্মসূচি থাকছে না। সংশোধিত স্লাইড শেয়ার করে হচ্ছে।”
এর বাইরে সব কর্মসূচি অপরিবর্তিত থাকছে জানিয়ে তিনি লেখেন, লেটস রিকানেক্ট, রিগ্রুপ এন্ড রিইগনাইট দ্য ভেরি জুলাই ফায়ার (চলুন, আমরা আবার যুক্ত হই, সংগঠিত হই এবং সেই জুলাই আগুনকে নতুন করে জ্বালিয়ে তুলি)।
এর আগে গত ২৫ জুন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে পাঠানো এক বার্তায় ৩৬ দিনের কর্মসূচির বিস্তারিত জানানো হয়।
এসব কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে– ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে জুলাই শহীদের স্মরণ, পোস্টারিং, ডকুমেন্টারি প্রদর্শন, গ্রাফিতি, সব জেলায় জুলাই স্মরণে স্মৃতিস্তম্ভ স্থাপন, আলোচনা অনুষ্ঠান প্রভৃতি। ৫ আগস্ট মানিক মিয়া অ্যাভিনউ অভিমুখে বিজয় মিছিলসহ আরও কিছু আয়োজনের মাধ্যমে কর্মসূচি শেষ হবে।
ঢাকা/ইভা