পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র অনুদান কমিটি থেকে নিজের নাম প্রত্যাহার করে নিয়েছেন অভিনেত্রী জাকিয়া বারী মম। গত ২৫ মে পদত্যাগপত্র জমা দেন তিনি। তবে বিষয়টি মঙ্গলবার ৩২টি চলচ্চিত্রকে ১৩ কোটি টাকা অনুদান প্রদানের পর প্রকাশ্যে এসেছে। বিষয়টি নিশ্চিত করে গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেছেন এ অভিনেত্রী।

মম বলেন, ‘আমি পদত্যাগ বেশ আগেই করেছি। ২৫ মে তথ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব বরাবর পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছি। জানিয়েছি, ব্যক্তিগত ও পেশাগত কারণে আমি আর এখানে সময় দিতে পারছি না।’

জুলাই বিপ্লবে শিল্পী অধ্যায়ে জাকিয়া বারী মম অন্যতম ফ্রন্ট লাইনার ছিলেন। বরাবরই যার ভেতরে ছিলো দেশাত্মবোধ। তিনি ছিলেন সংস্কারের দাবি তোলা অন্যতম অভিনেত্রী। রাষ্ট্রের ডাকে, চলচ্চিত্রের উন্নয়নের লক্ষ্যে, সংস্কারের আশায়, নিজের শুটিং ব্যস্ততা ফেলে, রাজপথ থেকে অনুদান কমিটিতে যুক্ত হয়েছিলেন হাসিমুখে।

কমিটি ছাড়ার প্রসঙ্গে অভিনেত্রী আরও জানান, ‘আমার যেহেতু ব্যক্তিগত কোনও চাওয়া পাওয়া নাই ক্ষমতার কাছে, শুধু কাজটাই করতে চেয়েছিলাম। কিন্তু সেটা ঠিকঠাক করতে পারিনি। তাই ভাবলাম আমার ছেড়ে দেয়া পদে অন্য কেউ এসে অনেক কাজ করলে সেটা ভালো হবে কমিটির জন্য।’

‘পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র অনুদান কমিটি’র বাকি সদস্যদের মধ্যে রয়েছেন পদাধিকার বলে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (চলচ্চিত্র), তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সচিব, বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন কর্পোরেশনের (বিএফডিসি) ব্যবস্থাপনা পরিচালক, চলচ্চিত্র নির্মাতা ও প্রযোজক খান শারফুদ্দীন মোহাম্মদ আকরাম (আকরাম খান), চলচ্চিত্র নির্মাতা ও চিত্রনাট্যকার নার্গিস আখতার এবং রেইনবো চলচ্চিত্র সংসদের সভাপতি আহমেদ মুজতবা জামাল।

আর এই কমিটির সভাপতি হিসেবে আছেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মাহফুজ আলম। শুরুতে যে পদে ছিলেন সাবেক উপদেষ্টা মো.

নাহিদ ইসলাম।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: জ ক য় ব র মম চলচ চ ত র

এছাড়াও পড়ুন:

পুকুরের সৌন্দর্যবর্ধন প্রকল্পে অনিয়ম

‘পানি শুকানোর আগে জেলে এনে মাছ ধরা হয়েছে। পরে পানি শুকিয়ে আরেক দফা মাছ ধরেছে। পুকুরের মাটিও কাটেনি। পুকুরের পাড় দৃষ্টিনন্দন করার জন্য টাকা বরাদ্দ হয়েছিল। কাজ না করেই টাকা লুট করা হচ্ছে। পুকুরচুরি নয় যেন সাগরচুরি হয়েছে এখানে।’
নাম না প্রকাশের অনুরোধ জানিয়ে এসব কথা বলছিলেন সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলা ছাত্রদলের একজন সাবেক নেতা। বললেন, ‘যারা কাজ করেছে তারা, আর আমরা একদল করি। এজন্য নামটা না ছাপালেই ভালো হয় ভাই।’
উপজেলা পরিষদের পাশে ইউএনওর বাসার সামনের সরকারি পুকুরে উন্নয়নকাজের নামে করা অকাজ হচ্ছে বলে জানিয়ে ওই ছাত্রদল নেতা বলেন, বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় মানুষ ক্ষুব্ধ। 
জানা গেছে, এলজিইডির ‘খাল খনন-পুকুর খনন’ প্রকল্পের মাধ্যমে প্রায় ৬০ লাখ টাকায় পুকুরটির উন্নয়নকাজ বাস্তবায়ন হচ্ছে। কাজটি পেয়েছে আরতী এন্টারপ্রাইজ নামের একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। কিন্তু উপঠিকাদার হিসেবে প্রকল্পের কাজ বাস্তবায়ন করছেন যুবদল ও ছাত্রদলের কয়েকজন প্রভাবশালী নেতা। 
স্থানীয়দের অভিযোগ, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের কোনো লোককে সেখানে দেখা যায়নি। উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক তুজাম্মিল হক নাছরুম এবং উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক আবুল হাসনাত রাসেলসহ কয়েকজন ছাত্র ও যুবদলের নেতারা পুকুরের উন্নয়নকাজ করছেন। এই কাজ করতে গিয়ে তারা পুকুরের আরও বেশি ক্ষতি করেছেন। 
স্থানীয় বাসিন্দা একজন সরকারি চাকরিজীবী বললেন, পুকুরে আগে থেকেই তিনটি ঘাটলা ছিল। নতুন আরও দুটি ঘাটলা করার কথা ছিল। দুই পাড়ে ওয়াকওয়ে এবং পশ্চিম কোণে দৃষ্টিনন্দনভাবে বসার স্থান করার কথা ছিল। এছাড়া পুকুরের মাটি খনন করে পাড় ভরাট ও সৌন্দর্যবর্ধন করা হবে জানিয়েছিল কর্তৃপক্ষ। একটি ঘাটলা নামকাওয়াস্তে করা ছাড়া, আর কিছুই এখানে হয়নি। 
অনিয়মের অভিযোগ অস্বীকার করে উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক আবুল হাসনাত রাসেল বললেন, ‘আমরা প্রকল্পে কয়েকজন মিলে কাজ করেছি। পুকুরের পাড়ে মাটি ভরাটও করেছি। কিন্তু মাটি আটকানোর কোনো ব্যবস্থা প্রকল্পে উল্লেখ না থাকায়, বৃষ্টির পানিতে কিছু মাটি পুকুরে গেছে। অন্য ঘাটলাগুলো সংস্কার করা হয়েছে। ওই পুকুরে তেমন কোনো মাছ ছিল না।’
ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান আরতী এন্টারপ্রাইজের পরিচালক সহিবুর রহমানের দাবি, তিনি নিজেই কাজ করছেন। প্রাক্কলনে যেভাবে ঘাটলা করার কথা বলা হয়েছে, সেভাবেই তারা করেছেন। 
উপজেলা প্রকৌশলী জাহিদুল ইসলামের ভাষ্য, পুকুরের পানি শুকানোর চেষ্টা করা হয়েছিল। ৩০ ফুটের মতো গভীর থাকায়, পানি একেবারে শুকানো যায়নি। তবে পুকুর থেকে মাটি কেটে তোলা হয়েছে।
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ