আন্ডারওয়ার্ল্ডের ডন দাউদ ইব্রাহিম। বলিউডের সঙ্গে তার যোগাযোগ নতুন কিছু নয়। অতীতে ভারতের অনেক তারকার নাম তার সঙ্গে জড়িয়েছে। নতুন করে এ তালিকায় যুক্ত হলেন বলিউড অভিনেত্রী নোরা ফাতেহি ও শ্রদ্ধা কাপুর। 

মাদক মামলায় অভিযুক্ত মুহাম্মদ সেলিম মুহাম্মদ সুহাইল শাইখ। ভারতে নারকোটিকস চক্রে ‘ল্যাভিশ’ নামে পরিচিত তিনি। বর্তমানে মুম্বাই পুলিশের অ্যান্টিনারকোটিকস সেলে হেফাজতে রয়েছেন। তদন্তকারীদের শাইখ জানিয়েছেন, ভারতের পাশাপাশি বিদেশেও মাদক সেবনকেন্দ্রিক পার্টির আয়োজন করতেন তিনি। এসব পার্টিতে পরিচিত অভিনেতা-অভিনেত্রী ছাড়াও উপস্থিত থাকতেন গ্যাংস্টার আলী শাহ পারকার, যে সম্পর্কে দাউদ ইব্রাহিমের ভাতিজা। 

আরো পড়ুন:

তারকাবহুল পাঁচ সিনেমার বক্স অফিসে ভরাডুবি

অভিনেত্রী কামিনী মারা গেছেন

রিমান্ড কপিতে উল্লেখ করা হয়েছে, অভিযুক্ত দেশ-বিদেশে মাদক পার্টির আয়োজন করছেন এবং সেখানে মাদক সরবরাহ করছেন। এর আগে আলী শাহ পারকার, নোরা ফাতেহি, শ্রদ্ধা কাপুর ও তার ভাই সিদ্ধার্থ কাপুর, জিশান সিদ্দিকী, আব্বাস মাস্তান, লোকাসহ বহু জনকে নিয়ে দেশ-বিদেশে পার্টি আয়োজন করেছেন। 

শ্রদ্ধা কাপুর ও নোরা ফাতেহির নাম প্রকাশ্যে আসার পর আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছেন এই দুই তারকা। অন্তর্জালে তাদের নিয়ে চলছে জোর চর্চা। এ পরিস্থিতে নীরবতা ভেঙেছেন নোরা ফাতেহি। ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে দীর্ঘ একটি বিবৃতি প্রকাশ করেছেন। 

অভিযোগ অস্বীকার করে নোরা ফাতেহি বলেন, “আমি পার্টিতে যাই না…। আমি সবসময় ফ্লাইটে থাকি…। আমি কাজপাগল, আমার ব্যক্তিগত জীবন বলতে কিছু নেই…। আমি ওই ধরনের মানুষের সঙ্গে মেশি না, আর ছুটির দিনে আমি দুবাইয়ের কোনো বিচে থাকি বা আমার স্কুলজীবনের বন্ধুদের সঙ্গে থাকি!”

সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবর বিশ্বাস না করার আহ্বান জানিয়ে নোরা ফাতেহি বলেন, “আমি আমার স্বপ্ন ও লক্ষ্যপূরণের জন্য দিন-রাত কাজ করি! আপনি যা পড়ছেন, তা বিশ্বাস করবেন না। মনে হচ্ছে, আমার নাম ব্যবহার করা খুব সহজ। কিন্তু এবার আর তা হতে দেব না। আগেও একবার এমন হয়েছিল, তোমরা মিথ্যার মাধ্যমে আমাকে ধ্বংস করার চেষ্টা করেছিলে, কিন্তু তা সফল হয়নি।”  

হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে নোরা ফাতেহি বলেন, “সবাই আমার নাম কলঙ্কিত করতে চেয়েছিল। আমার সুনাম নষ্ট করে আমাকে ক্লিকবাইট হিসেবে ব্যবহার করার সর্বোচ্চ চেষ্টা করছিল, আমি তা চুপচাপ দেখে গিয়েছি। এমন পরিস্থিতিতে আমার নাম ও ছবি ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকার অনুরোধ করছি, কারণ এর সঙ্গে আমার কোনো সম্পর্ক নেই। সম্মানের সঙ্গে বলছি, এজন্য বড়, খুব বড় মূল্য দিতে হবে!”

ঢাকা/শান্ত

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর চলচ চ ত র

এছাড়াও পড়ুন:

অসম প্রেমের গল্প: বক্স অফিসে কতটা জমেছে অজয়-রাকুলের রসায়ন?

পরিচালক আকিব আলী নির্মিত হিন্দি সিনেমা ‘দে দে পেয়ার দে’। সিনেমাটিতে জুটি বেঁধে অভিনয় করেন অজয় দেবগন, টাবু ও রাকুল প্রীত সিং। ২০১৯ সালের ১৭ মে প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পায় এটি। বক্স অফিসেও দারুণ সাড়া ফেলেছিল সিনেমাটি। 

দীর্ঘ ছয় বছর পর নির্মিত হয়েছে ‘দে দে পেয়ার দে টু’। আকিব আলীর পরিবর্তে দ্বিতীয় পার্ট পরিচালনা করছেন অংশুল শর্মা। নির্মাতা বদলে গেলেও সিনেমাটিতে ৩৫ বছর বয়সি রাকুলের সঙ্গে ফের জুটি বেঁধেছেন ৫৬ বছর বয়সি অজয়। তবে সিনেমাটিতে নেই টাবু। গত ১৪ নভেম্বর বিশ্বের সাড়ে ৩ হাজার পর্দায় মুক্তি পেয়েছে ‘দে দে পেয়ার দে টু’। চলুন জেনে নিই, দুই দিনে কত টাকা আয় করেছে সিনেমা। 

আরো পড়ুন:

দাউদ ইব্রাহিমের সঙ্গে নাম জড়াল নোরার, অভিনেত্রীর কড়া হুঁশিয়ারি

তারকাবহুল পাঁচ সিনেমার বক্স অফিসে ভরাডুবি

বলি মুভি রিভিউজ জানিয়েছে, মুক্তির প্রথম দিনে ‘দে দে পেয়ার দে টু’ সিনেমা আয় করেছে ৮.৫ কোটি রুপি, দ্বিতীয় দিনে আয় করেছে ১২ কোটি রুপি। দুই দিনে সিনেমাটির মোট আয় দাঁড়িয়েছে ২০.৫ কোটি রুপি।

স্যাকনিল্প এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, দুই দিনে ‘দে দে পেয়ার দে টু’ সিনেমা বিশ্বব্যাপী আয় করেছে ২৯.২৫ কোটি রুপি (বাংলাদেশি মুদ্রায় ৪০ কোটি ২৭ লাখ টাকা)।  

বক্স অফিসে খুব একটা সাড়া ফেলতে পারেনি ‘দে দে পেয়ার দে টু’। তবে দর্শক-সমালোচকরা মিশ্র প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন। ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের চলচ্চিত্র সমালোচক শুভ্রা গুপ্তা বলেন—“সিনেমাটির দৈর্ঘ্য আমাকে অস্থির করে ফেলেছে।” পাঁচে আড়াই রেটিং দিয়েছেন তিনি। ইন্ডিয়া টুডের বিনীতা কুমার বলেন, “দে দে পেয়ার দে টু’ একটি মজাদার, হালকা রম-কম, যা হাস্যরস, পারিবারিক নাটকীয়তাকে একত্রিত করেছে। কাস্টিং কিছুটা অস্বস্তিকর হলেও সিনেমাটি নিরাশ করেনি।” পাঁচে ৩ রেটিং দিয়েছেন তিনি।  

‘দে দে পেয়ার দে’ সিনেমার গল্প যেখানে শেষ হয়েছিল, সেখান থেকেই শুরু দ্বিতীয় পার্টের গল্প। এতে ২৮ বছর বয়সি আয়েশার প্রেমে পড়বেন ৫২ বছর বয়সি আশীষ। এ দুটো চরিত্রে অভিনয় করেছেন রাকুল প্রীত সিং ও অজয় দেবগন।  

সিনেমাটির দ্বিতীয় পার্টের বিভিন্ন চরিত্রে দেখা যাবে—আর মাধবন, জাভেদ জাফেরি, ইশিতা দত্ত, সঞ্জীব শেঠ প্রমুখ। প্রথম পার্ট নির্মাণে ব্যয় হয়েছিল ৭৮ কোটি রুপি, আর দ্বিতীয় পার্টে ব্যয় হয়েছে ১০০ কোটি রুপি। এটি প্রযোজনা করেছেন লাভ রঞ্জন, অঙ্কুর গার্গ, ভুষণ কুমার, কৃষ্ণ কুমার।

ঢাকা/শান্ত

সম্পর্কিত নিবন্ধ