চট্টগ্রাম নগরীর স্টেশন রোড, নিউ মার্কেট মোড় ও রিয়াজুদ্দিন বাজার এলাকায় ফুটপাত দখল করে গড়ে ওঠা দোকানপাট উচ্ছেদ করেছে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন (চসিক)। অভিযানে ট্রেড লাইসেন্স না থাকা দোকানিদের তাৎক্ষণিকভাবে জরিমানাও করা হয়।

বৃহস্পতিবার (৩ জুলাই) দিনব্যাপী এ অভিযানে নেতৃত্ব দেন চসিকের আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা প্রণয় চাকমা। একইদিন বিকালে চকবাজার এলাকায় ফুটপাত দখল করে ব্যবসা পরিচালনাকারীদের সতর্ক করতে অভিযান পরিচালিত হয়। এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা মৌমিতা দাশ, মেয়রের একান্ত সহকারী মারুফুল হক চৌধুরী (মারুফ) সহ কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।

চসিকের আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা প্রণয় চাকমা জানান, মেয়র ডা.

শাহাদাত হোসেন নির্দেশনায় ফুটপাত দখলদারদের বিরুদ্ধে নিয়মিত অভিযান চালানো হচ্ছে। আজকের অভিযানে ১২টি মামলায় ১২ জন দোকানিকে ১৭ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। 

আরো পড়ুন:

হাবিপ্রবিসাসের অফিসে ছাত্রদলের হামলা, বিচার দাবি চবিসাসের

চাকসুর নাম ‘জোবরা ভাতঘর অ্যান্ড কমিউনিটি সেন্টার’

তিনি আরো বলেন, যাদের ট্রেড লাইসেন্স নেই, তাদের অবশ্যই তা সংগ্রহ করতে হবে। অন্যথায় আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে। এছাড়া হকারদের দুপুর ৩টার আগে ব্যবসা না করার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। হকাররা চাইলে চাকাযুক্ত ভ্রাম্যমাণ গাড়ির মাধ্যমে ব্যবসা চালাতে পারবেন, তবে কোনো স্থায়ী স্থাপনা নির্মাণ করা যাবে না।

চসিক সূত্রে জানা যায়, নগরবাসীর স্বাভাবিক চলাচল নিশ্চিত করতে নগরীর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।
 

ঢাকা/রেজাউল/বকুল

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর কর মকর ত এল ক য় ব যবস

এছাড়াও পড়ুন:

কংগ্রেসে ট্রাম্পের আলোচিত ‘বিগ বিউটিফুল বিল’ পাস

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের আলোচিত ‘বিগ বিউটিফুল বিল’ দেশটির কংগ্রেসে চূড়ান্ত বাধা পেরিয়েছে। কংগ্রেসের রিপাবলিকান নিয়ন্ত্রিত নিম্নকক্ষ প্রতিনিধি পরিষদে স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার অল্প ব্যবধানে কর হ্রাস ও সরকারি ব্যয়ের বিশাল এই প্যাকেজ পাস হয়।

প্রতিনিধি পরিষদে ২১৮-২১৪ ভোটের ব্যবধানে বিলটি পাস হয়েছে। পরে এতে সই করেন স্পিকার মাইক জনসন। আলোচিত এই বিলটি কংগ্রেসে পাস হওয়া প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের জন্য বড় জয় হিসেবে দেখা হচ্ছে।

বিলটি নিয়ে ট্রাম্পের নিজ দলেও প্রবল বিরোধিতা ছিল। শেষ পর্যন্ত বিলটি পাস হওয়ায় রিপাবলিকান পার্টির জ্যেষ্ঠ সদস্যদের ধন্যবাদ জানিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। এখন তিনি সই করলেই বিলটি আইনে পরিণত হবে।

এর আগে মঙ্গলবার কংগ্রেসের উচ্চকক্ষ সিনেটে বিলটি বিলটি কোনোরকম উতরে যায়। সিনেটে বিলটি ৫১-৫০ ভোটে পাস হয়। বিলের পক্ষে-বিপক্ষে সমান ভোট পড়ায় মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট জে ডি ভ্যান্স ‘টাই’ ভেঙে বিলের পক্ষে ভোট দেন। বিলটির বিপক্ষে ভোট দেওয়া ডেমোক্র্যাটদের ৪৭ সদস্যের সঙ্গে ৩ জন রিপাবলিকানও যোগ দেন।

এই বিলে কর কমানো, সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচিতে বরাদ্দ কমানো, সেনাবাহিনীর সক্ষমতা বাড়ানো ও অভিবাসন নিয়ন্ত্রণে খরচ বাড়ানোর কথা বলা হয়েছে।

বিলটি ২০১৭ সালে প্রেসিডেন্ট হিসেবে ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদকালে দেওয়া কর ছাড়েরই সম্প্রসারিত রূপ। পাশাপাশি সেনাবাহিনী ও অভিবাসন নিয়ন্ত্রণে খরচও বাড়ানো হবে।

এই বিলে কম আয়ের মার্কিন নাগরিকদের জন্য মেডিকেইড নামের স্বাস্থ্য কর্মসূচি ও খাদ্যসহায়তা কর্মসূচির খরচ থেকে প্রায় ৯৩ হাজার কোটি ডলার কাটাছাঁটের কথা বলা হয়েছে। এতে লাখ লাখ আমেরিকান স্বাস্থ্য বিমার বাইরে চলে যাবেন।

আরও পড়ুনযুক্তরাষ্ট্রের সিনেটে মাত্র এক ভোটের ব্যবধানে পাস হলো ট্রাম্পের আলোচিত ব্যয় বিল ০২ জুলাই ২০২৫

সম্পর্কিত নিবন্ধ