নুরু-রাশেদের বিরুদ্ধে মামলা নিতে আদালতের নির্দেশ
Published: 4th, July 2025 GMT
বরিশালে জাতীয় পার্টির (জাপা) অফিস ভাঙচুরের ঘটনায় গণঅধিকার পরিষদের নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। দ্রুত বিচার আইনের এ মামলায় প্রধান আসামি করা হয়েছে গণঅধিকারের কেন্দ্রীয় সভাপতি নুরুল হক নুর ও সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খানকে।
মামলার আইনজীবী ও জাপার জেলা সাধারণ সম্পাদক এমএ জলিল বলেন, গত ৩১ মে রাতে গণঅধিকার পরিষদের নেতাকর্মী নগরে ফকিরবাড়ি সড়কে জাপার কার্যালয় ভাঙচুর করেন। ঘটনার পর দলটির নেতাকর্মী থানায় মামলা দিতে গেলে পুলিশ তা গ্রহণ করেনি। পরে আদালতে অভিযোগ দেন। গতকাল বৃহস্পতিবার আদালত অভিযোগটি এজাহারভুক্ত করতে কোতোয়ালি থানার ওসিকে নির্দেশ দেন।
জলিল জানান, বেলা ১১টায় আদালতের আদেশসহ অভিযোগ থানায় পাঠানো হয়েছে। এ সময়ে দায়িত্বরত ডিউটি অফিসার এসআই ডলি কাগজপত্র গ্রহণ করেন। মামলায় নুর, রাশেদ ছাড়াও গণঅধিকারের জেলা সভাপতি এইচএম শামীম রেজা, সাধারণ সম্পদাক এইচএম হাসান, মহানগরের সাধারণ সম্পাদক ফরহাদ হোসেনসহ দলটির বিভিন্ন স্তরের ২৫ জন নামধারী ও অজ্ঞাত ৭০-৮০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
তবে কোতোয়ালি থানার ওসি মো.
গত ৩১ মে নগরীতে জাপার মিছিলে হামলা করে গণঅধিকার পরিষদ। তখন জাপার পাল্টা প্রতিরোধে গণঅধিকারের কর্মীদের বেদম মারধর করা হয়। রাত ৯টার দিকে গণঅধিকার ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন জোটবদ্ধ হয়ে জাপা কার্যালয় ভাঙচুর করে।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: বর শ ল ন র ল হক ন র গণঅধ ক র
এছাড়াও পড়ুন:
নওগাঁয় শ্বশুরবাড়িকে গুদাম বানিয়ে ৫০০ বস্তা চাল মজুত ব্যবসায়ীর
নওগাঁর বদলগাছী উপজেলার নিমতলী গ্রামে শ্বশুরবাড়িকে আতপ চালের গোপন গুদামে পরিণত করেছিলেন এক ব্যবসায়ী। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে পরিচালিত এক ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে ৫০০ বস্তা আতপ চাল জব্দ করা হয়। বৈধ কোনো কাগজপত্র না থাকায় চাল মজুতকে অবৈধ ঘোষণা করেছে প্রশাসন। অভিযুক্তের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের প্রক্রিয়া চলছে।
অভিযান পরিচালনা করেন বদলগাছী উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আতিয়া খাতুন। তিনি বলেন, ‘চাল মজুতের বৈধতা নিশ্চিত করতে অভিযানে যাই। কিন্তু কোনো কাগজপত্র দেখাতে না পারায় এগুলো জব্দ করা হয়। প্রাথমিকভাবে চালগুলো বদলগাছী থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।’
স্থানীয় সূত্র জানায়, শিবলু নামের এক ব্যবসায়ী তার শ্বশুর জাহিদুল ইসলামের বাড়িকে মজুতঘরে রূপান্তর করে দীর্ঘদিন ধরে আতপ চাল মজুত করে আসছিলেন। বাইরের দৃষ্টিতে এটি একটি সাধারণ বসতবাড়ি হলেও ভেতরে তৈরি করা হয়েছিল একটি গোপন গুদামঘর।
জানা গেছে, শিবলুর মূল ব্যবসা কীটনাশক বিক্রি হলেও তিনি দীর্ঘদিন ধরে চাল ব্যবসায় জড়িয়ে পড়েন। এলাকাবাসীর অভিযোগ, বাজারে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে অধিক লাভের আশায় তিনি এই মজুত কার্যক্রম চালিয়ে আসছিলেন। আতপ চালের প্রতিটি বস্তা ছিল উন্নত জাতের, যা স্থানীয় বাজারে উচ্চ দামে বিক্রি হতো।
উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কর্মকর্তা মিজানুর রহমান বলেন, ৫০০ বস্তা আতপ চাল সিলগালা করা হয়েছে। তদন্ত শেষে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
অভিযানে উপজেলা প্রশাসনের পাশাপাশি জেলা খাদ্য বিভাগ, বদলগাছী থানা পুলিশ এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা অংশ নেন।
এ ঘটনায় স্থানীয়দের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। অনেকেই প্রশাসনের এমন পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়েছেন। তাদের দাবি, বাজার নিয়ন্ত্রণে রাখতে এমন অভিযান আরও জোরদার করা দরকার।