চট্টগ্রামে চাকার ত্রুটিতে ৪০০ যাত্রী নিয়ে রানওয়েতে আটকা বিমান
Published: 5th, July 2025 GMT
চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণের পর চাকার ত্রুটির কারণে ৪০০ জন হজযাত্রী নিয়ে রানওয়েতে আটকা পড়েছে বাংলাদেশ বিমানের একটি ফ্লাইট।
আজ শনিবার (৫ জুলাই) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের ফ্লাইট বিজি–১৩৮ রানওয়ের-২৩ প্রান্তে এসে থেমে যায় বলে জানিয়েছে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ।
শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের প্রকৌশলী মোহাম্মদ ইব্রাহীম খলিল ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, জেদ্দা থেকে প্রায় ৪০০ জন হজযাত্রী নিয়ে গতকাল শুক্রবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে চট্টগ্রামের উদ্দেশ্যে যাত্রা করে। শনিবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে বৃষ্টির মধ্যে চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে। অবতরণের পর বিমানটি রানওয়েতে ইউটার্ন নেওয়ার সময় চাকায় ত্রুটির কারণে রানওয়েতে আটকে যায়। এতে অন্যান্য বিমান উড্ডয় ও অবতরণে বিঘ্ন সৃষ্টি হচ্ছে।
বিমানবন্দরের প্রকৌশল বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, চাকার ত্রুটি সারিয়ে বিমানটিতে রানওয়ে থেকে সরিয়ে নিতে কাজ চলছে। দ্রুত সময়ের মধ্যেই বিমানটি সরিয়ে নেওয়া সম্ভব হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
এদিকে, হজ থেকে ফিরতি পথে চট্টগ্রামে অবতরণ করেও দুই ঘণ্টার বেশি সময় ধরে বিমানের ভিতর আটকে আছেন ৪০০ যাত্রী। তারা এই মুহূর্তে দুর্ভোগে আছেন বলে অনেক যাত্রী অপেক্ষমান স্বজনদের ফোন করে জানাচ্ছেন।
ঢাকা/রেজাউল/এস
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
সাগরে এক ট্রলারে ৪০ লাখ টাকার ইলিশ
সাগরে এফবি সাফাওয়ান-৩ ট্রলারের জেলেদের জালে ধরা পড়েছে ১৭০ মণ ইলিশ মাছ। দক্ষিণ পশ্চিম বঙ্গোপসাগরের কুয়াকাটা থেকে ৬০ কিলোমিটার গভীর সমুদ্রে এই ইলিশ মাছ ধরা পড়েছে।
শুক্রবার (৩১ অক্টোবর) সকালে বরগুনার পাথরঘাটা বিএফডিসি মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে সাইফ ফিশ আড়তে এই মাছ বিক্রির উদ্দেশ্যে ওঠানো হয়। মাছগুলো ডাকের মাধ্যমে বিক্রি হয় ৪০ লাখ টাকায়। ট্রলারটিতে জায়গা সংকুলান না হওয়ায় তাদেরই আরেকটি ট্রলার সাইফ-২ এ আরো কয়েক মণ ইলিশ তুলে দেওয়া হয়।
মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের সূত্রে জানাগেছে, পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের সাইফ কোম্পানির এফবি সাফওয়ান-৩ মাছ ধরার ট্রলার গত ২৯ অক্টোবর সকালে পাথরঘাটা থেকে ১৯ জন জেলে নিয়ে সমুদ্রে মাছ ধরতে যায়।
ওই দিন বিকেলে কুয়াকাটা থেকে ৬০ কিলোমিটার দূরে গভীর সমুদ্রে জাল ফেলার পরই রাতে মাছগুলো ধরা পড়ে। ট্রলারটিতে জায়গায় সংকুলান না হওয়ায় তাদেরই আরেকটি ট্রলার সাইফ-২ এ আরো কয়েক মণ তুলে দেওয়া হয়। জেলেরা বলছে, সব মিলিয়ে ১৭০ থেকে ১৭৫ মণ ইলিশ ধরা পড়েছে।
এফবি সাফাওয়ান-৩ ট্রলারের মাঝি রুবেল হোসেন বলেন, “আমরা ২৯ অক্টোবর সাগরে যাই। বিকেলে লম্বা জাল (ইলিশ জাল) ফেলার পর রাত আটটার দিকে জালের অবস্থা দেখে বুঝতে পারি প্রচুর মাছ ধরা পড়েছে। রাত আটটা থেকে জাল টানা শুরু করে পরদিন দুপুর দেড়টা পর্যন্ত জাল ট্রলারে উঠানো শেষ হয়।”
সাইফ ফিশিং কোম্পানির ব্যবস্থাপক মনিরুল হক মাসুম জানান, অনেক দিন ধরে সাগরে খুব কম মাছ ধরা পড়ছিল। ইলিশ মৌসুমে কাঙ্খিত মাছ ধরা না পড়ায় আমাদের লোকসান গুনতে হচ্ছিল। সাগরে অবৈধ ট্রলিং বোট বন্ধ করা হলে জেলেদের জালে প্রচুর মাছ ধরা পড়বে।
পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের আড়তদার মোস্তফা আলম বলেন, “মাছগুলো আমার আড়তে বিক্রি হয়েছে। ইলিশের প্রকারভেদ ২৭ হাজার, ২২ হাজার, ১২ হাজার টাকায় মণ দরে সব মিলিয়ে ৩১ লক্ষ ৫০ হাজার টাকায় এই মাছ বিক্রি হয়।”
বাংলাদেশ মৎস্যজীবী ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি গোলাম মোস্তফা চৌধুরী বলেন, “২২ দিনের অবরোধ শেষে জেলেরা সাগরে গিয়েই মাছ পেয়েছে- এটা খুশির খবর। তবে দীর্ঘদিন ধরে কাঙ্ক্ষিত ইলিশের দেখা মেলেনি। হঠাৎ এক ট্রলারে ১৪০ মণ ইলিশ পাওয়ায় আমরাও খুশি।”
বরগুনা জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. মহসীন রাইজিংবিডিকে বলেন, “মা ইলিশ সংরক্ষণের ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা শেষে প্রচুর ইলিশ ধরা পড়ছে জেলেদের জালে।”
তিনি বলেন, “জেলেরা সরকারের দেওয়া বিধিনিষেধ মানলে এবং অবৈধ জাল বন্ধ তাদের জেলেদের সুদিন ফিরবে।”
ঢাকা/ইমরান/এস