চিনাবাদাম আকৃতির গ্রহাণুর প্রথম ছবি
Published: 5th, July 2025 GMT
মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার বিজ্ঞানীরা মেইন–বেল্ট গ্রহাণু হিসেবে ডোনাল্ডজোহানসন নামের একটি গ্রহাণুর প্রথম উচ্চ রেজল্যুশনের ছবি প্রকাশ করেছেন। ছবিতে অনন্য এক চিনাবাদাম আকৃতির গ্রহাণুর খোঁজ মিলেছে। এ বছরের ২০ এপ্রিল সৌরজগতের প্রধান গ্রহাণু বেল্টে নাসার লুসি খেয়াযানের সঙ্গে গ্রহাণুর সাক্ষাৎ হয়।
মহাকাশযানটি চিনাবাদাম আকৃতির মহাকাশ শিলার সবচেয়ে কাছে পৌঁছানোর কয়েক মিনিট আগে এই ছবি তোলে। ছবি তোলার জন্য ল’লরি ইমেজার ব্যবহার করা হয়। ছবিতে দেখা যায়, গ্রহাণু ডোনাল্ডজোহানসনের আকৃতি কিছুটা দীর্ঘ। ছবিতে রুক্ষ ও খাদযুক্ত পৃষ্ঠ দেখা যায়। ছবি থেকে বিভিন্ন তথ্য সংগ্রহ করছেন বিজ্ঞানীরা। গ্রহাণুটি আগের ধারণার চেয়ে বেশ বড়। প্রায় ৮ কিলোমিটার লম্বা ও ৩ দশমিক ৫ কিলোমিটার প্রশস্ত এই গ্রহাণু। গ্রহাণুটি খুব ধীরে ধীরে ঘুরছে। একটি ঘূর্ণন সম্পন্ন করতে ২৫১ ঘণ্টা সময় লাগে। লুসি মিশনের মাধ্যমে বিজ্ঞানীরা গ্রহাণুটির গঠন ও গড়ন আরও ভালোভাবে বোঝার চেষ্টা করছেন।
ছবিটি শেয়ার করে নাসা জানিয়েছে, লুসি মহাকাশযানটি ২০২৫ সালের ২০ এপ্রিল গ্রহাণুর নিকটতম স্থানে পৌঁছানোর প্রায় ৩ দশমিক ২ মিনিট আগে ছবি তোলে। ছবি তোলার সময় যানটির অবস্থান ছিল প্রায় ১ হাজার ৭০০ মাইল দূরে। সূর্য লুসির প্রায় পেছনে বলে কিছুটা অন্ধকার রয়েছে ছবিতে। গ্রহাণুটির নামকরণ করা হয়েছে নৃবিজ্ঞানী ডোনাল্ড জোহানসনের নামে। তিনি আদি মানব পূর্বপুরুষের জীবাশ্ম কঙ্কাল লুসি আবিষ্কার করেছিলেন।
লুসি খেয়াযানের জন্য এই ছবি তোলা একধরনের পরীক্ষা। এই মহাকাশযানের মূল লক্ষ্য জুপিটার ট্রোজান গ্রহাণু অন্বেষণ। সৌরজগতের মেইন গ্রহাণু বেল্টের মধ্য দিয়ে ৩০ হাজার মাইল প্রতি ঘণ্টার বেশি গতিতে ভ্রমণ করছে। লুসি যখন ট্রোজান গ্রহাণুতে পৌঁছাবে, তখন চারটি গ্রহাণুর মুখোমুখি হবে সে। ১৫ মাসের কম সময়ের মধ্যে কমপক্ষে ছয়টি গ্রহাণু পর্যবেক্ষণ করবে লুসি। ২০২৭ সালের আগস্টে গ্রহাণু ইউরিবেটসের সঙ্গে প্রথম দেখা হবে লুসির।
সূত্র: এনডিটিভি
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: গ রহ ণ ট ন গ রহ ণ গ রহ ণ র
এছাড়াও পড়ুন:
আজ প্রথম প্রেম দিবস
বেশিরভাগ ক্ষেত্রে প্রথম প্রেম পূর্ণতা পায় না। কিন্তু প্রথম প্রেমের মিষ্টিমধুর সময়টা মনে গেঁথে থাকে। কখনও কবিতায়, কখনও গানে সেই প্রেমের স্মৃতি ফিরে পায় মানুষ। আজ প্রথম প্রেম দিবস। আজ ১৮ সেপ্টেম্বর, প্রথম প্রেম দিবস। ২০১৫ সালে যুক্তরাষ্ট্রে দিবসটি পালন করা হয়।এরপর থেকে প্রতিবছরই উদ্যাপিত হচ্ছে দিবসটি।
প্রথম প্রেম মানুষ ভোলে না কেন?
মানুষ প্রথম প্রেমে পড়ে কৈশোর কিংবা প্রথম তারুণ্যে। এ সময় শরীরে হ্যাপি হরমোনের প্রভাব থাকে প্রবল। যার ফলে ভালোবাসার মানুষের প্রতি আকর্ষণ থাকে বেশি।
আরো পড়ুন:
আজ বিশ্ব বাঁশ দিবস
কাজাকিস্তানের যাযাবর জাতির করুণ ইতিহাস
ভালো লাগার মুহূর্তগুলোত মানুষকে সুখের অনুভূতি দেয়। যাকে ভাবলে এই সুখ অনুভূতি হয়, যে কাছে থাকলে নিজেকে পৃথিবীর সেরা সুখী মানুষ মনে হয়-সেই মানুষটিকে কোনো কারণে হারিয়ে ফেললেও ভোলা যায় না।
আক্ষরিক অর্থে কেউ কাউকে ভালোবাসা শেখায় না, কিন্তু ভালোবাসার উপলক্ষ্য এনে দেয়। ভালোবাসার অনুভূতিগুলো যাকে প্রথম বলা যায়, তাকে তো ভোলার কথা না!
ন্যাশনাল ডে ক্যালেন্ডার অবলম্বনে
ঢাকা/লিপি