ছিনিয়ে নেওয়া এক আসামিসহ পাঁচজন গ্রেপ্তার
Published: 6th, July 2025 GMT
লালমনিরহাটের পাটগ্রাম থানায় হামলা, ভাঙচুর ও আসামি ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনার মামলায় আরও পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এই পাঁচজনের মধ্যে থানা থেকে ছিনিয়ে নেওয়া ভ্রাম্যমাণ আদালতে এক মাসের সাজাপ্রাপ্ত আসামি বেলাল হোসেনও রয়েছেন। আজ রোববার উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার অন্য চার আসামি হলেন পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ড যুবদলের সভাপতি খাইরুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক লাজু হোসেন, সদস্য মিজানুর রহমান এবং সন্দেহভাজন আসামি জুলফিকার আলী। এর আগে গত শনিবার ভ্রাম্যমাণ আদালতে এক মাসের সাজাপ্রাপ্ত ছিনিয়ে নেওয়া অপর পলাতক আসামি সোহেল রানাকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁর বাড়ি পাটগ্রাম পৌরসভার মির্জারকোর্ট গ্রামে।
গত বুধবার রাতে পাটগ্রাম থানায় হামলা চালানো হয়। ওই সময় সাজাপ্রাপ্ত দুই আসামি বেলাল হোসেন ও সোহেল রানাকেও ছিনিয়ে নেওয়া হয়। পরে এ ঘটনায় গত বৃহস্পতিবার রাতে পাটগ্রাম থানার উপপরিদর্শক হামিদুর রহমান বাদী হয়ে ২৭ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেন।
মামলায় সরকারি কাজে বাধা, হত্যার উদ্দেশ্যে সরকারি কর্মচারীকে মারধর, সরকারি সম্পদের ক্ষতি ও চুরি এবং ভয়ভীতি দেখানোর অভিযোগ আনা হয়। ওই রাতেই অভিযান চালিয়ে চারজন শনিবার তিনজন এবং আজ পাঁচজনসহ এ নিয়ে মোট ১২ জনকে গ্রেপ্তার করা হলো।
পাটগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মিজানুর রহমান বলেন, গ্রেপ্তার করা আসামিদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে। অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: গ র প ত র কর
এছাড়াও পড়ুন:
অমর একুশে বইমেলা ফেব্রুয়ারিকে স্পর্শ করুক
অমর একুশে বইমেলা বাংলাদেশের মানুষের প্রাণের মেলা। মূলত প্রকাশকদের উদ্যোগে মুক্তিযুদ্ধ উত্তর বাংলাদেশে এই বইমেলার সূত্রপাত। সম্প্রতি এই বইমেলা নানা কারণে-অকারণে ডিসেম্বরে করার কথা শোনা যাচ্ছে। এ প্রেক্ষিতে সুস্পষ্টভাবে বলতেই হচ্ছে -ডিসেম্বরে কিছুতেই মেলা করা যাবে না। কারণ সেসময় সারাদেশে শিক্ষার্থীদের বার্ষিক পরীক্ষা চলবে।
বইমেলার প্রধান পাঠক আমাদের শিক্ষার্থী। তারা ডিসেম্বরে কিছুতেই মেলায় আসতে পারবে না। প্রধান পাঠকই যদি মেলায় আসতে না পারে তাহলে মেলা প্রাণহীন হয়ে পড়বে। বইমেলায় অংশগ্রহণকারি প্রকাশকরাও ভয়াবহ ক্ষতির মুখে পড়বে। তাছাড়া একুশের চেতনাকে ধারণ করে যে অমর একুশে বইমেলা, সেটা ফেব্রুয়ারিকে স্পর্শ করুক। ভাষা শহীদদরর প্রতি বইমেলার মাধ্যমে আমাদের যে শ্রদ্ধাঞ্জলি, তা অক্ষুন্ন থাকুক।
আরো পড়ুন:
রাজশাহীতে বইপড়ায় কৃতিত্বের পুরস্কার পেল ২৩০৩ শিক্ষার্থী
‘গল্পকারের পছন্দের ৫০ গল্প’ গ্রন্থ প্রকাশিত
সর্বোপরি ৫ জানুয়ারি থেকে ৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, এই সময়ে বইমেলা হতে কোন সমস্যা হওয়ার কথা নয়। অথবা তারিখ দুই একদিন এদিক-সেদিক করে নেয়া যেতে পারে। এ সময়ে রোজা নেই, নির্বাচনও নেই। নির্বাচনী ক্যাম্পেইন চলবে। এই মাঠে বইমেলা চলাকালীন সর্বদলীয় সিদ্ধান্তে কেউ সভা-সমাবেশ না করার সিদ্ধান্ত নিলে অনায়াসে এই সময়টাতে বইমেলা করা যেতে পারে। আমার বিশ্বাস- সব দলই অমর একুশে বইমেলার জন্য এই ছাড়টুকু দেবেন।
প্রায় পঞ্চাশ বছরের অধিক সময়ের প্রচেষ্টায় অমর একুশে বইমেলা মহিরুহ হয়ে আমাদের কাছে আবির্ভূত, হঠকারি কোন সিদ্ধান্তে তা যেনো ধ্বংস হওয়ার উপক্রম না হয়। জেনে শুনে বাঙালির এতো বড় একটি সাংস্কৃতিক উৎসবকে ভয়াবহভাবে ক্ষতিগ্রস্থ না করে বরং তা যে কোন মূল্যে আমাদের রক্ষা করা উচিত।
জানুয়ারিতে বাণিজ্যমেলায়ও হয়ে থাকে। এতে অমর একুশে বইমেলার ওপর কোনো বিরূপ প্রভাব পড়বে বলে আমি তা মনে করি না। বইমেলার প্রধান পাঠক শিক্ষার্থী। তারা বইমেলায় আসার জন্য মুখিয়ে থাকে। বাণিজ্য মেলায় যাওয়ার লোকজন বেশির ভাগই আলাদা। তবে অনেকেই বইমেলা এবং বাণিজ্যমেলা দুটোতেই যান। এটা তারা ম্যানেজ করে নিতে পারবেন বলে আমার বিশ্বাস।
আমি বলেছি শুধুমাত্র মেলার মাঠ প্রাঙ্গনে সভা-সমাবেশ না করার মাধ্যমে যদি সর্বদলীয় একটা সিদ্ধান্ত গৃহীত হয় তাহলে জানুয়ারি- ফেব্রুয়ারি মিলিয়ে বইমেলা করা সম্ভব।আমার মনে হয়, বইমেলা চলাকালীন এই মাঠ কোন দলকে সভা-সমাবেশের জন্য সরকার বরাদ্দ না দিলে, অথবা বইমেলা চলাকালীন দলগুলো নিজের থেকেই এই মাঠের বরাদ্দ না চাইলে সমস্যা আর থাকে না।
লেখক: প্রকাশক পাঞ্জেরী পাবলিকেশন্স লিমিটেড
ঢাকা/লিপি