যে মায়ের সংগ্রাম কাঁদতে বাধ্য করবে
Published: 9th, July 2025 GMT
একজন একা মা, সন্তান অসুস্থ। সন্তানের চিকিৎসার খরচ জোগাতে হিমশিম খান। দুটি চাকরি করেও মেটাতে পারছেন না সংসারের খরচ। বাসাভাড়া বাকি, বাড়িওয়ালা প্রতিদিন হুমকি দেন ঘর থেকে বের করে দেবেন। সাহায্য করার মতো পাশে কেউ নেই। তার ওপর গায়ের রঙের কারণে হতে হয় বর্ণবাদের শিকার। মেয়ের স্কুলের টিফিনের জন্য মাত্র ৪০ ডলারও দিতে পারেন না তিনি। তা নিয়ে ছোট্ট মেয়েকে কথা শুনতে হয়। সকালে স্কুলে মেয়েকে পৌঁছে দেওয়ার সময় মা বলেন, আজকেই তিনি স্কুল টিচারকে টাকাটা দিয়ে দেবেন।
একনজরেসিনেমা: ‘স্ট্র’
পরিচালক: টেইলর পেরি
গল্প ও চিত্রনাট্য: টেইলর পেরি
স্ট্রিমিং: নেটফ্লিক্স
ধরন: সাইকোলজিক্যাল ড্রামা, থ্রিলার
রানটাইম: ১ ঘণ্টা ৪৮ মিনিট
অভিনয়: তারাজি পি.
হেনসন, টেয়ানা টেইলর, শেরি শেপার্ড
মেয়ের কাছে এমন এক প্রতিজ্ঞা করে সুপারশপে কাজে যান মা জানিয়া (তারাজি পি. হেনসন)। কিন্তু একের পর এক দুর্ঘটনা বিধ্বস্ত করে দিতে থাকে তাঁকে। আপনার চিন্তাশক্তির মধ্যে একটা দিন যতটা খারাপ হওয়া সম্ভব, তার থেকেও বেশি ঘটনা ঘটতে থাকে জানিয়ার সঙ্গে। প্রথমে মেয়ের স্কুল থেকে ফোন আসে। স্কুলে রওনা দিলেও নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে কাজে পৌঁছাতে হবে। তাই জোরে গাড়ি চালাতে গেলে অতিরিক্ত গতির কারণে পুলিশ জরিমানা করে। অথচ জানিয়া একেবারেই কপর্দকশূন্য।
বাসাভাড়া আর মেয়ের স্কুলের খাবারের টাকা দেওয়ার জন্য অপেক্ষা করে আছে বেতন পাওয়ার। কিন্তু সে বেতন পাওয়া নিয়েও সমস্যা সৃষ্টি হয়। অজান্তে ঘটে যায় দুর্ঘটনা। একের পর এক হৃদয়বিদারক আর রুদ্ধশ্বাসকর ঘটনার পর জানিয়ার যখন সংবিৎ ফিরে আসে তখন তিনি দেখেন, সবাই তাঁকে ভয় পাচ্ছে। নিজের অজান্তেই তিনি হয়ে উঠেছেন এক ভয়ংকর অপরাধী।
‘স্ট্র’ সিনেমার দৃশ্য। নেটফ্লিক্সউৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
দুই মিনিটের বিতর্কিত দৃশ্য দিয়ে আলোচনায়, পরে বলিউডকে বিদায় জানান সেই অভিনেত্রী
বলিউডের ইতিহাসে এমন অনেক অভিনেত্রী আছেন, যাঁরা শূন্য থেকে শুরু করে রাতারাতি পরিচিতি পেয়েছেন; পরে আবার হঠাৎই হারিয়ে গেছেন। কিমি কাতকার তেমনই একজন। ১৯৮০-এর দশকে বলিউডে তিনি ছিলেন আলোচিত ও সাহসী অভিনেত্রীদের একজন।
কিমির উত্থান
আশির দশকটি বলিউডে সৃজনশীল ও পরিবর্তনের সময় ছিল, যেখানে অনেক প্রতিভাবান অভিনেতা-অভিনেত্রী তাঁদের ছাপ ফেলেছেন। কিমি ছিলেন সেই সময়ের অন্যতম উদীয়মান নায়িকা। পর্দায় সাহসী দৃশ্যের জন্য তিনি ব্যাপক পরিচিতি পান। যদিও তাঁর চলচ্চিত্র ক্যারিয়ার ছিল খুবই সংক্ষিপ্ত; কিন্তু এর মধ্যেই ব্যাপক আলোচনার জন্ম দেন।
মুম্বাইতে জন্ম নেওয়া কিমি ক্যারিয়ার শুরু করেছিলেন মডেল হিসেবে, পরে তিনি চলচ্চিত্রে প্রবেশ করেন। ১৯৮৫ সালে ‘অ্যাডভেঞ্চার অব টারজান’ দিয়ে আলোচিত হন তিনি। সিনেমার সাফল্য তাঁকে রাতারাতি জনপ্রিয় করে তোলে। হেমন্ত বীরজের সঙ্গে জুটি বেঁধে তিনি দর্শকদের মন মাতিয়ে দেন। তবে এ ছবিতেই একটি নগ্ন দৃশ্যে অভিনয় করে রাতারাতি আলোচনায় আসেন। দৃশ্যটি নিয়ে এক সাক্ষাৎকারে অভিনেত্রী বলেছিলেন, ‘সেই সময় আমি জানতাম না এই দৃশ্য কতটা বিতর্কিত হবে। কিন্তু অভিনয় আমার জন্য সব সময় ছিল সত্যিই একটি চ্যালেঞ্জ।’ এরপর ১৯৮০-এর দশকের শেষের দিকে অমিতাভ বচ্চন, অনিল কাপুর, গোবিন্দ ও আদিত্য পঞ্চোলির সঙ্গেও সিনেমা করেন তিনি। তাঁর নাচ ও অভিনয়ের দক্ষতা দর্শকদের কাছে তাঁকে প্রিয় করে তোলে।
‘অ্যাডভেঞ্চার অব টারজান’-এ কিমি কাতকার। আইএমডিবি