কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলায় যৌথ অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ চায়না জাল উদ্ধার করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সদস্যরা। যার মূল্য প্রায় দুই কোটি টাকা।
বুধবার (৯ জুলাই) দুপুরে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছেন ৪৭ বিজিবির কুষ্টিয়া ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মাহবুব মুর্শেদ রহমান।
লেফটেন্যান্ট কর্নেল মাহবুব মুর্শেদ রহমান জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে দৌলতপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আব্দুল হাই সিদ্দিকীর নেতৃত্বে মানিকের চর এবং বাংলাবাজার খারিজাথাক এলাকায় সোমবার (৭ জুলাই) থেকে মঙ্গলবার (৮ জুলাই) সকাল ১১টা পর্যন্ত দফায় দফায় যৌথ অভিযান পরিচালনা করে ৮ হাজার ৫০০ কেজি অবৈধ চায়না জাল, ৩ হাজার ৫০০ কেজি বেহুন্দী জাল, ১৫টি বড় সাইজের ড্রাম এবং ৪ হাজার কেজি জাল তৈরির যন্ত্রাংশ উদ্ধার করা হয়।
আরো পড়ুন:
আটক ৮ বাংলাদেশিকে হস্তান্তর করল বিএসএফ
চুয়াডাঙ্গা সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি আহত
তিনি আরো জানান, উদ্ধারকৃত মালামালের আনুমানিক বাজার মূল্য ১ কোটি ৮৪ লাখ ৪৫ হাজার টাকা। মালামালগুলো উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নেতৃত্বে ধ্বংস করা হয়।
এ সময় অবৈধ মৎস্য আহরণ ও জালের অপব্যবহারের অপরাধে তিনজনকে ১৩ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
ঢাকা/কাঞ্চন/বকুল
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
সুন্দরবনের ভারতীয় অংশের বিএসএফের হাতে আটক ১৯ বাংলাদেশি মৎস্যজীবী
অবৈধভাবে ভারতীয় জলসীমায় প্রবেশের অভিযোগে ১৯ জন বাংলাদেশি মৎস্যজীবীকে গ্রেপ্তার করেছে ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ।
বিএসএফ সূত্রে জানানো হয়েছে, সুন্দরবনের ভারতীয় অংশের উত্তাল নদীতে দীর্ঘক্ষণ ধাওয়া করে তাদের আটক করা হয়। ধৃত মৎসজীবীরা বাংলাদেশের বরিশাল বিভাগের ভোলা জেলার পুরালিয়া গ্রামের বাসিন্দা। মাছ ধরার ট্রলার ও জালসহ তাদেরকে আটক করা হয়।
আরো পড়ুন:
কলকাতায় সম্মিলিত সেনা সম্মেলন উদ্বোধন নরেন্দ্র মোদির
অবৈধ অভিবাসীদের প্রতি নরম হওয়ার দিন শেষ: ট্রাম্প
বিএসএফ জানায়, রবিবার সীমান্তের সুন্দরবন অংশে রুটিন টহল দেয়ার সময় গোসাবা রেঞ্জের বাঘমারি জঙ্গল এলাকায় বাংলাদেশি অবৈধ ট্রলারের উপস্থিতি নজরে আসে বিএসএফ জওয়ানদের। বিএসএফ জওয়ানদের পেট্রোল বোট ট্রলারটির কাছে যাওয়ার চেষ্টা করতেই ট্রলারটি পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। দ্রুততার সঙ্গে ট্রলারের পিছু ধাওয়া করা হয়। দীর্ঘক্ষণ ধাওয়া করে পরবর্তীতে পাকড়াও করা হয় বাংলাদেশি ট্রলারটিকে। অবৈধ অনুপ্রবেশ এর অভিযোগে আটক করা হয় এতে থাকা ১৯ জন বাংলাদেশি মৎস্যজীবীকে। বাজেয়াপ্ত করা হয় ট্রলারটি।
বিএসএফ আরো জানায়, আটকের পর দীর্ঘ জিজ্ঞাসাবাদে অভিযুক্তরা অবৈধ অনুপ্রবেশের অভিযোগের বিপরীতে কোনো যুক্তিসঙ্গত কারণ দেখাতে পারেনি। ফলে জিজ্ঞাসাবাদের পরে তাদের স্থানীয় সুন্দরবন কোস্টাল থানার পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়। আজ সোমবার তাদের আলিপুর আদালতে তোলা হবে।
ঢাকা/সুচরিতা/ফিরোজ