মাগুরার মহম্মদপুরে পানির পাম্পের মোটর চুরির অভিযোগে এক কিশোরের মাথা ন্যাড়া করে দেওয়া হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে উপজেলার পলাশবাড়ীয়া ইউনিয়নের চর যশোবন্তপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। বিকেলে ওই ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে। পরে পুলিশ ওই কিশোরকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গতকাল দুপুর ১২টার দিকে ওই কিশোর (১৫) উপজেলার কালিশংকরপুর বাজারে পানি তোলার একটি মোটর বিক্রি করতে আসে। বিষয়টি সন্দেহ হলে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন স্থানীয় লোকজন। এ সময় সে অসংলগ্ন উত্তর দিতে থাকে। পরে জানা যায়, ওই মোটর কয়েক দিন আগে চর যশোবন্তপুর গ্রামের একজনের বাড়ি থেকে চুরি হয়েছিল। খবর পেয়ে মোটরের মালিক ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন। এরপর ওই কিশোরের মাথার একটি অংশ ন্যাড়া করে দেওয়া হয়।

এ বিষয়ে মহম্মদপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো.

আছাদুজ্জামান আজ বুধবার বিকেলে প্রথম আলোকে বলেন, ‘মোটর চুরি যাওয়া ব্যক্তির দায়ের করা মামলায় ওই কিশোরকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আজ আদালতে পাঠানো হয়েছে। আদালত তাকে যশোরের সংশোধনাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন। এ ছাড়া তার মাথা ন্যাড়া করে দেওয়ার সঙ্গে কারা যুক্ত ছিলেন, তা তদন্তে বেরিয়ে আসবে।

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ওই ক শ র

এছাড়াও পড়ুন:

ওয়াসার এমডি ও স্থানীয় সরকার পরিচালক পদে নতুন কর্মকর্তা

ছয় দপ্তর প্রধানের দায়িত্ব থেকে বিশ্রাম দেওয়া হয়েছে খুলনার অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (সার্বিক) মো. হুসাইন শওকতকে। সমকালে সংবাদ প্রকাশের পর খুলনা বিভাগের স্থানীয় সরকার পরিচালক ও খুলনা ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক পদে উপ-সচিব আবু সায়েদ মো. মনজুর আলম অতিরিক্ত দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। বুধবার থেকে তিনি কাজ শুরু করেছেন। 

গত ১০ মাস ধরে খুলনা ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক, খুলনা জেলা পরিষদের প্রশাসক, নৌপরিবহন মালিক গ্রুপের প্রশাসক, খুলনার স্থানীয় সরকার বিভাগের পরিচালক এবং জেলা রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির প্রশাসক ও অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (সার্বিক) হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন হুসাইন শওকত। একই সঙ্গে ছয় দায়িত্ব সামলাতে গিয়ে তিনি কোথাও পর্যাপ্ত সময় দিতে পারছিলেন না। এক দপ্তরের ফাইল নিয়ে ছুটতে হচ্ছিল অন্য দপ্তরে। নিয়মিত সব অফিসে যেতে না পারায় দপ্তরগুলোর কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যে কাজে ফাঁকি, ধীরগতিসহ নানা সমস্যা দেখা দেয়।

বিষয়গুলো তুলে ধরে গত ৪ জুলাই ‘ছয় দপ্তরের দায়িত্বভার একজনের কাঁধে’ শিরোনামে সমকালে সংবাদ প্রকাশ হয়। এরপরই বিষয়টি সমাধানে কাজ শুরু করেন খুলনা বিভাগীয় কমিশনার মো. ফিরোজ সরকার।

বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয় থেকে জানা গেছে, মঙ্গলবার খুলনার অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (উন্নয়ন) আবু সায়েদ মো. মনজুর আলমকে স্থানীয় সরকার পরিচালকের দায়িত্ব দেওয়া হয়। পদাধিকার বলে তিনি খুলনা ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন। বুধবার দুটি দায়িত্বই তিনি বুঝে নিয়েছেন। 

খুলনা বিভাগীয় কমিশনার মো. ফিরোজ সরকার বলেন, ছয় দপ্তরের দায়িত্ব একজনের পক্ষে পালন করা কষ্টকর। তার দায়িত্ব কিছু কমানো হয়েছে। স্থানীয় সরকার পরিচালক পদে স্থায়ী কর্মকর্তা পদায়নের জন্য মন্ত্রণালয়ে চিঠি দিয়েছি। নতুন কাউকে পদায়ন করার আগ পর্যন্ত অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (উন্নয়ন) দুটি পদে দায়িত্ব পালন করবেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ