দু’দিনের ব্যবধানে চবির আরও এক শিক্ষার্থীর মৃত্যু
Published: 9th, July 2025 GMT
দুই দিনের ব্যবধানে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) আরও এক শিক্ষার্থী মারা গেছেন। সাগরে ডুবে দুই শিক্ষার্থীর মৃত্যুর পর এবার টিউবারকুলোসিসে (টিবি) আক্রান্ত হয়ে না ফেরার দেশে গেলেন প্রাণিবিদ্যা বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী সানজিদা আক্তার। তার বাড়ি নড়াইল জেলার লোহাগড়া উপজেলার বড়দিয়া গ্রামে।
বুধবার ভোর ৪টার দিকে রাজধানীর নিউরো সায়েন্স হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সানজিদার মৃত্যু হয়। তিনি প্রাণিবিদ্যা বিভাগে স্নাতক শেষ করে ফিশারিজ বিভাগে স্নাতকোত্তরে ভর্তি হয়েছিলেন।
সহপাঠীরা জানান, দীর্ঘদিন ধরে সানজিদা জ্বর, কাশি, ঠান্ডা ও বুকে ব্যথাজনিত সমস্যায় ভুগছিলেন। বাড়ি থাকলে কিছুটা সুস্থ থাকলেও ক্যাম্পাসে এলেই তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হতো। খাবার খেতে পারতেন না, প্রায় সময়ই চিকিৎসা নিতে হতো চবি মেডিকেল সেন্টারে।
তার বন্ধু মেহেদী হাসান আকিব সমকালকে বলেন, গত সোমবার সানজিদার পরিবার আমাদের এক ক্লাসমেটকে জানায়- সে ছয় দিন ধরে অচেতন অবস্থায় আছে, কাউকে চিনতে পারছে না। পরে তার ব্রেইনে টিবি ধরা পড়ে। গত নভেম্বরে অনার্সের চূড়ান্ত পরীক্ষা শুরু হয়। সে মাঝেমধ্যেই অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হতো।
এদিকে মাত্র দু’দিনের ব্যবধানে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের তিন শিক্ষার্থী প্রাণ হারালেন। এর আগে মঙ্গলবার (৮ জুলাই) কক্সবাজারের হিমছড়ি সৈকতে ভেসে ওঠে নিখোঁজ দুই শিক্ষার্থীর মরদেহ। তারা ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
বাংলাদেশ ক্রিকেটের সমস্যা কী, সমাধান কোথায়: শুনুন তামিমের মুখে
এই মুহূর্তে বাংলাদেশ ক্রিকেটে সবচেয়ে বড় সমস্যা কী? কোন বিষয়টি সবার আগে সমাধান করা উচিত?
দুটি প্রশ্নের উত্তরে অনেকেই অনেক কথাই বলবেন। বাংলাদেশ ক্রিকেটের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত কারও বিষয়টি ভালো জানার কথা। যেমন তামিম ইকবাল। প্রথম আলোর প্রধান ক্রীড়া সম্পাদক উৎপল শুভ্র তামিমের সামনে দুটি প্রশ্ন রেখেছিলেন। তামিমের উত্তর, ‘আমার কাছে মনে হয় যে আমাদের ফ্যাসিলিটিজ (অনুশীলনের পর্যাপ্ত সুযোগ–সুবিধা) নাই।’
প্রথম আলোর কার্যালয়ে উৎপল শুভ্রকে দেওয়া বিশেষ সাক্ষাৎকারে আড্ডার মেজাজে তামিম বাংলাদেশের ক্রিকেট নিয়ে অনেক কথাই বলেছেন। নিজের ক্যারিয়ার, ভবিষ্যৎ লক্ষ্য—এসব নিয়েও বেশ খোলামেলা কথা বলেন সাবেক এই ওপেনার।
আলাপচারিতার একপর্যায়েই বাংলাদেশ ক্রিকেটে এ মুহূর্তের সমস্যার প্রসঙ্গ উঠেছিল। অনুশীলনের পর্যাপ্ত সুযোগ–সুবিধার অভাবকে সামনে টেনে এনে তামিম বলেছেন, ‘একটা আন্তর্জাতিক ক্রিকেট দলের যে ফ্যাসিলিটিজ দরকার হয় কিংবা বাংলাদেশের মতো দেশে সবচেয়ে জনপ্রিয় খেলার একটি (ক্রিকেট), যে ফ্যাসিলিটিজ থাকা উচিত, তার আশপাশেও নেই। পৃথিবীর তৃতীয়, চতুর্থ ধনী বোর্ডের যে ফ্যাসিলিটিজ থাকা উচিত, আমরা এর আশপাশেও নেই।’
তামিম বিষয়টি ভালোভাবে ব্যাখ্যা করলেন, ‘ক্রিকেট দলের প্রতি ভক্তদের যে প্রত্যাশা, সেটা পূরণের জন্য যে ফ্যাসিলিটিজ দরকার, আমরা তার আশপাশেও নেই। আপনি মাঝারি মানের ক্রিকেটার হতে পারেন কিংবা মাঝারি মানের ব্যাটসম্যান হতে পারেন, সঠিক অনুশীলনের মাধ্যমে কিন্তু আপনি মাঝারি মান থেকে দুই ধাপ ওপরে উঠতে পারবেন।’
মুশফিকুর রহিম