মুন্সিগঞ্জ-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি) মোহাম্মদ ফয়সালকে হত্যা মামলায় আরও পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। আজ শুক্রবার সকাল ১০টা ১৫ মিনিটে মুন্সিগঞ্জ আমলি আদালত-১-এর বিচারক নুসরাত শারমীন এই আদেশ দেন।

গত বছরের ৪ আগস্ট ছাত্র–জনতার আন্দোলনের সময় মুন্সিগঞ্জ শহরে আওয়ামী লীগের গুলিতে সজল মোল্লা নিহত হন। ওই ঘটনায় করা মামলায় ১ জুলাই মোহাম্মদ ফয়সালকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে হাজির করা হয়। তখন আদালত তাঁকে সাত দিনের রিমান্ডে দেন।

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ও মুন্সিগঞ্জ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) আবদুল হালীম প্রথম আলোকে বলেন, ফয়সাল গত সাত দিন রিমান্ডে ছিলেন। তখন পুলিশের তদন্তাধীন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ের জবাবে তিনি অসংলগ্ন ও বিভ্রান্তিকর কথা বলেছেন। ছাত্র–জনতার আন্দোলনে ব্যবহৃত অস্ত্র ও বিভিন্ন বিষয়ে অধিকতর জিজ্ঞাসাবাদের প্রয়োজন রয়েছে।

আজ রিমান্ড শেষে মোহাম্মদ ফয়সালকে আবার আদালতে হাজির করে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সজীব দে আরও সাত দিনের রিমান্ডের আবেদন করেন। শুনানি শেষে আদালত পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

আরও পড়ুনমুন্সিগঞ্জের সাবেক এমপি ফয়সাল ৭ দিনের রিমান্ডে০১ জুলাই ২০২৫

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে জয়ী হয়েছিলেন মোহাম্মদ ফয়সাল। তিনি মুন্সিগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মো.

মহিউদ্দিনের ছেলে। নিজ দলে কোনো পদ না থাকলেও তিনি স্থানীয় আওয়ামী লীগ রাজনীতিতে প্রভাবশালী ছিলেন।

৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর তিনি আত্মগোপনে চলে যান। গত ২২ জুন রাজধানীর মণিপুরিপাড়া এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। ২০২৩ সালের ২৮ অক্টোবর ঢাকায় বিএনপির মহাসমাবেশে যুবদল নেতা শামীম হত্যা মামলায় তাঁকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হয়। ১ জুলাই তাঁকে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে মুন্সিগঞ্জ কারাগারে পাঠানো হয়।

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: জ র কর আওয় ম

এছাড়াও পড়ুন:

রাস্তা করল উত্তর সিটি, উদ্বোধনে বিএনপি নেতা!

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) আওতাধীন বাড্ডা থানার ৩৮ নম্বর ওয়ার্ডের পূর্বাঞ্চলের সড়কের সংস্কার কাজ শেষের পথে। এর পর সড়কটি আনুষ্ঠানিকভাবে যান চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে দেবে সিটি করপোরেশন। তবে এর আগেই সড়কটি স্থানীয় বিএনপি নেতাকর্মী ও এলাকাবাসী উদ্বোধনের আয়োজন করেছে। এ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি করা হয়েছে  বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির ক্ষুদ্রঋণবিষয়ক সম্পাদক এবং ঢাকা-১১ আসনের মনোনয়নপ্রত্যাশী ড. এম এ কাইয়ুমকে।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে এলাকায় টানানো হয়েছে ব্যানার। আর এতেই স্থানীয়দের মধ্যে ব্যাপক সমালোচনা ও প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। তারা বলছেন, নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি ছাড়া বিএনপি নেতা এ সড়ক উদ্বোধন করতে পারেন কিনা?

জানা যায়, বাড্ডা থানার ৩৮ নম্বর ওয়ার্ডের পূর্বাঞ্চলের রাস্তার সংস্কার কার্যক্রম শুরু হয় ২০২৩ সালের ডি‌সেম্ব‌রে। শেখ হা‌সিনা সরকারের পতনের পর রাস্তার অসমাপ্ত কাজ সম্পন্নের উদ্যোগ নেয় উত্তর সি‌টি কর‌পো‌রেশন। এখন অল্প কিছু কাজ বাকি রয়েছে। তবে এই সড়কটি ৩৮ নম্বর ওয়ার্ড এলাকাবাসীর ব্যানারে উদ্বোধনের আয়োজন করেছেন স্থানীয় বিএনপি নেতাকর্মীরা। 

এ ওয়ার্ডের বিভিন্ন স্থানে ব্যানার টানানো নিয়ে সমালোচনা সৃষ্টি হয়েছে। ঢাকা-১১ আসনের জামায়াতের সংসদ সদস্য প্রার্থী ও শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের সেক্রেটারি অ্যাডভোকেট আতিকুর রহমান তাঁর ফেসবুক পেজে সড়কটি উদ্বোধনে প্রধান অতিথি ড. এম এ কাইয়ুম সংবলিত একটি ব্যানার শেয়ার করেছেন।

এই পোস্টে তিনি লেখেন, ‘আবারও ক্রেডিটের রাজনীতির শুভসূচনা। ঢাকা-১১ আসনের বাড্ডা থানার ৩৮ নং ওয়ার্ডের পূর্বাঞ্চলের রাস্তার সংস্কার কার্যক্রম শুরু হয় ২০২৩ সালে। ফ্যাসিবাদের পতনের পর রাস্তার অসমাপ্ত কাজ সমাপ্ত করে অন্তর্বর্তী সরকার। প্রায় দুই সপ্তাহ আগে শেষ হওয়া রাস্তার কাজ উদ্বোধনের উদ্যোগ নিচ্ছেন রাজনৈতিক নেতা। এলাকায় ঝুলিয়েছেন ব্যানার। ক্ষমতা পাওয়ার আগে ক্ষমতা দেখানোর রাজনীতি!’

ডিএনসিসির নির্বাহী প্রকৌশলী ইশতিয়াক মাহমুদ সমকালকে বলেন, এখানে উদ্বোধনের কিছু নেই। এলাকাবাসী ও স্থানীয় রাজনীতিবিদদের কেউ কেউ উদ্বোধনের আয়োজন করেছেন। এর সঙ্গে করপোরেশনের কোনো সংযোগ নেই।

এ বিষয়ে বিএনপি নেতা ড. এম এ কাইয়ুম সমকালকে বলেন, সড়কটি আগের সরকারের সময়ে তৈরি। এটি উদ্বোধন করার প্রশ্নই আসে না। আমাকে বিতর্কিত করতে কে বা কারা ব্যানারটি টানিয়েছে। তা জানার পরে নামাতে বলেছি, নামানো হয়েছে। 

সম্পর্কিত নিবন্ধ