প্রফেসর এম জুবায়দুর রহমান ইসলামী ব্যাংকের চেয়ারম্যান নির্বাচিত
Published: 23rd, July 2025 GMT
ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসির চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন প্রফেসর ড. এম জুবায়দুর রহমান।
আজ (২৩ জুলাই) ব্যাংকের বোর্ড সভায় তিনি চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। এর আগে তিনি ইসলামী ব্যাংকের স্বতন্ত্র পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
ড. এম জুবায়দুর রহমান ১৯৭৫ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিন্যান্স বিভাগে প্রভাষক হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন। পরে তিনি যুক্তরাজ্যের ইউনিভার্সিটি অব ম্যানচেস্টার থেকে ফিন্যান্স বিষয়ে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন। তিনি ঢাকার জেডএনআরএফ ইউনিভার্সিটি অব ম্যানেজমেন্ট সায়েন্সেস (জুমস)-এর প্রতিষ্ঠাতা ভাইস চ্যান্সেলর।
বিশ্বব্যাংকের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা প্রফেসর রহমান উন্নয়নশীল ও উদীয়মান অর্থনীতির দেশসমূহে বিভিন্ন কোম্পানি, সরকারি এবং আন্তর্জাতিক সংস্থার একজন অভিজ্ঞ স্বতন্ত্র উপদেষ্টা। তিনি কৌশলগত পরামর্শ এবং পরিবর্তন ব্যবস্থাপনা প্রক্রিয়া নিয়ে কাজ করে থাকেন। আর্থিক জবাবদিহিতা এবং কর্পোরেট গভর্ন্যান্স বিষয়ক ব্যবস্থাপনায় তার দক্ষতা রয়েছে। তার কাজের কেন্দ্রবিন্দু ছিল প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা বৃদ্ধিমূলক কার্যক্রম, যার মাধ্যমে বিশ্ব ব্যাংকের সদস্য দেশগুলোকে আর্থিক স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা এবং গভর্ন্যান্সের ভিত্তি শক্তিশালী করতে সহায়তা করা। তার কার্যক্রম সংশ্লিষ্ট অনেক দেশে দীর্ঘমেয়াদি ইতিবাচক প্রভাব ফেলেছে।
বিশ্বব্যাংকে থাকাকালীন, প্রফেসর রহমান আন্তর্জাতিক আর্থিক কাঠামোকে শক্তিশালী করতে ‘স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড কোডস ইনিশিয়েটিভ’ নামে একটি কর্মসূচি ডিজাইন ও বাস্তবায়নে নেতৃত্ব দেন। এ কার্যক্রমের আওতায় তিনি বিভিন্ন দেশের উচ্চপর্যায়ের সরকারি কর্মকর্তাদের সঙ্গে নীতিনির্ধারণী সংলাপে অংশগ্রহণ করেন, বিভিন্ন অভ্যন্তরীণ ও বাইরের অংশীজনদের সঙ্গে অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে সম্পর্ক গড়ে তোলেন এবং প্রতিষ্ঠানিক সক্ষমতা বৃদ্ধির কার্যক্রম গ্রহণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন।
ঢাকা/রাহাত
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
জকসুসহ তিন দফা দাবি মেনে নিল প্রশাসন, ৩২ ঘণ্টা পর অনশন ভাঙলেন শিক্ষার্থীরা
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জকসু) নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা ও সম্পূরক বৃত্তিসহ আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের তিন দফা দাবি মেনে নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এর পরিপ্রেক্ষিতে প্রশাসনের আশ্বাসে ৩২ ঘণ্টা পর অনশন ভেঙে কর্মসূচি প্রত্যাহার করে নিয়েছেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।
বুধবার রাত দশটার দিকে প্রশাসনের পক্ষে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর মুহাম্মদ তাজাম্মুল হক দাবি মেনে নেওয়ার ঘোষণা দিলে আন্দোলন প্রত্যাহার করে নেন শিক্ষার্থীরা। এ সময় অনশনরত শিক্ষার্থীদের ফলের রস খাইয়ে অনশন ভাঙানো হয়। শিক্ষার্থীদের অনশন ভঙ্গ করান করান বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর মুহাম্মদ তাজাম্মুল হক ও সিন্ডিকেট সদস্য বিলাল হোসাইন।
এর আগে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক শেখ গিয়াসউদ্দিন স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, আগামী ২৭ নভেম্বর জকসু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। সেই মোতাবেক নির্বাচনের রূপরেখাও ঘোষণা করা হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, আগামী জানুয়ারি থেকে আবাসন ভাতা পাবেন শিক্ষার্থীরা। সেই সঙ্গে বৃত্তির জন্য উপযুক্ত শিক্ষার্থীদের নভেম্বরের মধ্যে যাচাই-বাছাই করার কাজ শেষ করা হবে।
অনশনকারী শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে প্রক্টর মুহাম্মদ তাজাম্মুল হক বলেন, শিক্ষার্থীদের দাবি অনুযায়ী ২৭ নভেম্বরের আগেই কেন্দ্রীয় পাঠাগারে শীতাতপ নিয়ন্ত্রণযন্ত্র স্থাপন করা হবে। ক্যাফেটেরিয়ার খাবারের মানোন্নয়নে প্রশাসন কাজ করবে।
আরও পড়ুনতিন দাবিতে ২৪ ঘণ্টা ধরে ৪ শিক্ষার্থীর অনশন, দুজন অসুস্থ১২ ঘণ্টা আগেএ সময় অনশনে বসা উদ্ভিদ বিজ্ঞানের বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী এ কে এম রাকিব বলেন, আমাদের যৌক্তিক দাবি মেনে নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছে প্রশাসন। জকসুর রোডম্যাপ ঘোষণা করা হয়েছে। আবাসন ভাতার জন্য প্রতিশ্রুত সময়ও দিয়েছে প্রশাসন। কেন্দ্রীয় পাঠাগারে শীতাতপ নিয়ন্ত্রণযন্ত্র স্থাপনের ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। এ কারণে আমরা অনশন ভেঙে আন্দোলন প্রত্যাহার করেছি।
সতর্ক করে দিয়ে এ কে এম রাকিব আরও বলেন, যদি প্রশাসন ঘোষিত সময়ের মধ্যে আমাদের দাবিগুলো পূরণ করতে ব্যর্থ হয়, তাহলে সমস্ত দায় মাথায় নিয়ে সম্পূর্ণ প্রশাসনকে পদত্যাগ করতে হবে।
এর আগে তিন দফা দাবি আদায়ে গত মঙ্গলবার বেলা দুইটায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাষাশহীদ রফিক ভবনের নিচে অনশন শুরু করেন চারজন শিক্ষার্থী। সোমবার এক সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের (বাগছাস) পক্ষ থেকে অনশন কর্মসূচি শুরুর কথা জানানো হয়। অনশনে বসা চার শিক্ষার্থীর মধ্যে তিনজন বাগছাসের নেতা।
আরও পড়ুনজকসু নির্বাচনের রূপরেখা ঘোষণা, ভোট ২৭ নভেম্বর২ ঘণ্টা আগে