Prothomalo:
2025-11-03@02:03:59 GMT

আইসিইউতে এখনো ১২ জন

Published: 24th, July 2025 GMT

রাজধানীর উত্তরার মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বিমানবাহিনীর যুদ্ধবিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় গতকাল বুধবার বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন ৬৯ জন। এর মধ্যে শিশু অন্তত ৪০ জন। ১২ জন নিবিড় পরিচর্যাকেন্দ্রে (আইসিইউ) আছেন।

প্রধান উপদেষ্টার ফেসবুক পেজে গতকাল বেলা দুইটার দিকে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এই হিসাব জানানো হয়। এতে আরও বলা হয়, এই তথ্য বেলা পৌনে একটা পর্যন্ত। পরে একই ফেসবুক পেজ থেকে বলা হয়, সন্ধ্যা সোয়া সাতটা পর্যন্ত ভর্তি ৬৯ জনের মধ্যে

১৩ জনকে হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে। যদিও কোন ১৩ জনকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে, সেটা জানানো হয়নি।

গতকাল প্রেস উইং থেকে পাওয়া প্রথম তালিকা বিশ্লেষণে দেখা যায়, হাসপাতালে ভর্তি থাকা ৬৯ জনের মধ্যে ৪১ জন শিক্ষার্থী, ৫ জন শিক্ষক। এর বাইরে স্কুলের কর্মচারী ১ জন, ফায়ার সার্ভিসের কর্মী ১ জন, পুলিশের ১ জন, সেনাবাহিনীর ১৪ জন, গৃহকর্মী ১ জন, বৈদ্যুতিক মিস্ত্রি ১ জন এবং অন্যান্য আরও ৪ জন হাসপাতালে ভর্তি হন।

বয়সভিত্তিক হিসাবে দেখা যায়, ৬৯ জনের মধ্যে ৪০ জনের বয়স ১৮ বছরের নিচে। ৫ জনের বয়স ৪০–৫০ বছর। পঞ্চাশোর্ধ্ব আছেন ১ জন। ১ জনের বয়স জানা যায়নি। আহত বাকি ২২ জনের বয়স ১৮ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে।

প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং জানায়, আহতদের উল্লেখযোগ্য অংশ অগ্নিদগ্ধ হয়েছেন। এর মধ্যে ৪৪ জন জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি আছেন। তাঁদের মধ্যে ৮ জন ইনস্টিটিউটের আইসিইউতে আছেন। এর বাইরে রাজধানীর সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালের (সিএমএইচ) আইসিইউতে আছেন ৪ জন।

গতকাল বিকেল পৌনে চারটায় জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের পরিচালক ডা.

মো. নাসির উদ্দিন এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, তাঁদের প্রতিষ্ঠানে ভর্তি ৪৪ জনের মধ্যে ৮ জনের অবস্থা ক্রিটিক্যাল (আশঙ্কাজনক) ও ১৩ জনের অবস্থা সিভিয়ার (গুরুতর)। এ ছাড়া ২৩ জন ইন্টারমিডিয়েট (মাঝারি) অবস্থায় আছেন।

সিঙ্গাপুরের চিকিৎসকদের সঙ্গে গতকাল বার্ন ইনস্টিটিউটের চিকিৎসকেরা বসেছিলেন উল্লেখ করে পরিচালক বলেন, ‘আমরা ডিসিশন শেয়ার করেছি, তাঁরাও মতামত দিয়েছেন। প্রত্যেক রোগীর বিষয়ে আলাদাভাবে আলোচনা হয়েছে কে কী ওষুধ পাবে, কার অপারেশন লাগবে, কার ড্রেসিং পরিবর্তন হবে ইত্যাদি।’

ডিএনএ নমুনা দেওয়ার অনুরোধ

স্কুলে যুদ্ধবিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় গতকাল সন্ধ্যা সোয়া সাতটা পর্যন্ত ২৯ জনের মৃত্যুর খবর জানিয়েছে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং। যদিও আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) পক্ষ থেকে গত মঙ্গলবার বেলা ১২টা পর্যন্ত ৩১ জনের মৃত্যুর খবর জানানো হয়েছিল। এরপর ওই দিন রাতে বার্ন ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আরও একজন মারা যান। যে কারণে গণমাধ্যমে নিহতের সংখ্যা ৩২ উল্লেখ করা হয়েছিল। গতকাল সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়, নিহতের সংখ্যা ২৯। শুরুতে সংখ্যা নিয়ে কিছুটা বিভ্রান্তি হয়েছিল।

নিহতদের মধ্যে এ পর্যন্ত পরিচয় শনাক্ত হওয়া ২২ জনের মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। যদিও গতকাল প্রেস উইং ২১ জনের মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তের কথা জানায়। সেখানে নিহত পাইলট ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট তৌকির ইসলামের মরদেহ হস্তান্তরের কথা উল্লেখ নেই। যদিও বাস্তবে তাঁর মরদেহ গত মঙ্গলবারই দাফন করা হয়েছে। সেই হিসাবে শনাক্ত হওয়া মরদেহের সংখ্যা ২২।

প্রেস উইংয়ের তালিকায় এখন পর্যন্ত যাঁদের মরদেহ শনাক্ত করা হয়েছে, তাঁরা হলেন তানভীর (১৪), আফনান ফাইয়াজ (১৪), মাহরিন (৪৬), বাপ্পী (৯), মাকসুদা (৩৭), এ বি সালমান (১৪), শায়ান ইউসুফ (১৪), এরিকসন (১৩), আরিয়ান (১৩), নাজিয়া (১৩), নাফি (৯), রজনী ইসলাম (৩৭), মো. সামিউল করিম (৯), ফাতেমা আক্তার (৯), মেহনাজ আফরিন হুমাইয়া (৯), সারিয়া আক্তার (১৩), নুসরাত জাহান আনিকা (১০), সাদ সালাউদ্দিন (৯), সায়মা আক্তার (৯), জুনায়েত (৯) এবং ওমর নুর আশফিক (১১)।

এর বাইরে সাতজনের মরদেহ এখনো শনাক্ত করা যায়নি বলে প্রেস উইংয়ের তালিকায় উল্লেখ রয়েছে। তাঁদের মধ্যে ছয়জন রয়েছেন সিএমএইচে। এ ছাড়া অজ্ঞাত আরেকজনের হাসপাতাল উল্লেখ করা হয়েছে লুবনা জেনারেল হসপিটাল অ্যান্ড কার্ডিয়াক সেন্টার।

যেসব ব্যক্তির নাম আহত বা নিহতদের প্রকাশিত তালিকায় নেই, তাঁদের পরিবারের সদস্যদের মালিবাগের সিআইডি ভবনে গিয়ে ডিএনএ নমুনা দেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।

মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মো. সায়েদুর রহমান এক বিবৃতিতে এ অনুরোধ জানিয়েছেন। তিনি বলেন, এখন পর্যন্ত নিখোঁজ ব্যক্তিদের মধ্যে মাত্র একটি পরিবারের পক্ষ থেকে নমুনা দেওয়া হয়েছে। নিখোঁজ সব পরিবারের সদস্যদের ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ করা গেলে সম্ভাব্য স্বল্পতম সময়ের মধ্যেই ডিএনএ মিলিয়ে পরিচয় নিশ্চিত করা সম্ভব হবে।

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, সিএমএইচের মর্গে বর্তমানে রাখা ছয়টি মরদেহ এখনো শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি। মন্ত্রণালয়ের বিশেষজ্ঞদের তত্ত্বাবধানে ইতিমধ্যে এসব মরদেহ থেকে ডিএনএ প্রোফাইলিংয়ের জন্য নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। দ্রুততম সময়ের মধ্যে সিআইডি ল্যাবরেটরিতে ডিএনএ বিশ্লেষণ করা হবে।

দগ্ধ শিশুদের নিয়ে চিন্তা

প্রেস উইংয়ের তালিকা অনুযায়ী, বার্ন ইনস্টিটিউটে গতকাল ভর্তি থাকা ৪৪ জনের মধ্যে ৩৫ জনই ছিল শিশু। বার্ন ইনস্টিটিউট ও সিএমএইচের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন ১২ জনের মধ্যে ৭টি শিশু। এ অবস্থায় শিশুদের নিয়ে বিশেষভাবে ভাবতে হচ্ছে চিকিৎসা–সংশ্লিষ্টদের। চিকিৎসাধীন শিশুদের নিয়ে উদ্বেগে আছেন স্বজনেরাও।

মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রী আলভিরা বার্ন ইনস্টিটিউটে ৫২০ নম্বর ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন। গতকাল সন্ধ্যায় আলভিরার চাচা জাওয়ায়েদ ইমনের সঙ্গে কথা হয় প্রথম আলোর। তিনি জানান, তাঁর ভাতিজির শারীরিক অবস্থা আগের চেয়ে একটু ভালো। তবে খুবই কান্নাকাটি করছে, ছটফট করছে। পরিবারের লোকজন পর্যায়ক্রমে সারাক্ষণ তার পাশে থাকছে।

গতকাল বিকেলে বার্ন ইনস্টিটিউটের পরিচালক ডা. মো. নাসির উদ্দিন সংবাদ সম্মেলনে জানান, অগ্নিদগ্ধ রোগীদের চিকিৎসা ব্যবস্থাপনায় ঘণ্টায় ঘণ্টায় সিদ্ধান্ত পরিবর্তন হয়। শিশু ও বৃদ্ধরা সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ। শিশুদের জন্য আলাদা চিকিৎসাপদ্ধতি অনুসরণ করা হচ্ছে।

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: জন র বয়স স এমএইচ আইস ইউত পর ব র র গতক ল ব র মরদ হ জন র ম উল ল খ ড এনএ অবস থ

এছাড়াও পড়ুন:

দারফুরে ধর্ষণ-মুক্তিপণ-হত্যা: আরএসএফের ভয়াবহ নিপীড়নের বর্ণনা দিলেন পালিয়ে আসা মানুষেরা

সুদানের পশ্চিমাঞ্চলীয় দারফুর শহরে আধাসামরিক বাহিনী র‍্যাপিড সাপোর্ট ফোর্স (আরএসএফ)–এর কাছ থেকে পালিয়ে আসা ক্ষুধার্ত এবং নির্যাতিত মানুষেরা বিভিন্ন সংস্থা ও সংবাদমাধ্যমের কাছে তাঁদের ভয়ংকর অভিজ্ঞতাগুলো বর্ণনা করছেন। তবে তাঁরা পালাতে পারলেও হাজার হাজার মানুষ এখনো নিখোঁজ রয়েছেন।

উত্তর দারফুরের রাজধানী এল-ফাশের শহর ছিল রাজ্যটিতে সুদানি সেনাবাহিনীর সর্বশেষ ঘাঁটি। গত রোববার আরএসএফ বাহিনী এটির দখল নেয়। এরপর থেকে জাতিসংঘ ও বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সহায়তা সংস্থা স্থানীয় মানুষের পরিণতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে আসছে। এরই মধ্যে দারফুরে ধর্ষণ, মুক্তিপণ ও গণহত্যাসহ অন্যান্য নির্যাতনের কথা সামনে আসছে।

আলখেইর ইসমাইল নামের এক সুদানি তরুণ দারফুর থেকে প্রায় ৫০ কিলোমিটার (৩১ মাইল) দূরের তাবিলা শহরে পালিয়ে এসেছেন। তিনি বলেন, রোববার এল-ফাশের থেকে পালানোর চেষ্টার সময় ৩০০ জনকে আটক করে আরএসএফ। তিনিও ওই দলে ছিলেন। তবে আটককারীদের একজন তাঁর বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের পরিচিত হওয়ায় তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়।

ইসমাইল বলেন, ‘খার্তুমের বিশ্ববিদ্যালয়ে আমার সঙ্গে পড়াশোনা করেছেন এমন একজন তরুণ সেখানে ছিলেন। তিনি তাঁদের বললেন, “ওকে হত্যা করো না”। এরপর তাঁরা আমার সঙ্গে থাকা সব তরুণ ও আমার বন্ধুদের হত্যা করেন।’

তাবিলা এলাকায় পালিয়ে আসা অন্য নাগরিকেরাও তাঁদের ভয়াবহ অভিজ্ঞতার কথা জানিয়েছেন। তেমনই একজন তাহানি হাসান। তিনি বলেন, ‘হঠাৎ করেই তাঁরা সেখানে হাজির হলেন। কোথা থেকে এলেন জানি না। ভিন্ন ভিন্ন বয়সী তিন তরুণকে দেখা গেল। তাঁরা আকাশে গুলি ছুড়লেন এবং বললেন, ‘থামো, থামো’। তাঁরা আরএসএফের পোশাকে ছিলেন।’

আলখেইর ইসমাইল নামের এক সুদানি তরুণ দারফুর থেকে প্রায় ৫০ কিলোমিটার (৩১ মাইল) দূরের তাবিলা শহরে পালিয়ে এসেছেন। আলখেইর বলেছেন, রোববার এল-ফাশের থেকে পালানোর চেষ্টা করার সময় ৩০০ জনকে আটক করে আরএসএফ। তিনিও ওই দলে ছিলেন। তবে আটককারীদের একজন তাঁর বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের পরিচিত ব্যক্তি হওয়ায় তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়।

তাহানি হাসান বলেন, ‘এই তরুণেরা আমাদের বেধড়ক মারধর করেছেন। আমাদের পোশাক মাটিতে ছুড়ে ফেলেছেন। এমনকি আমি একজন নারী হওয়ার পরও আমাকে তল্লাশি করা হয়েছে। হামলাকারীরা সম্ভবত বয়সে আমার মেয়ের চেয়েও ছোট হবে।’

ফাতিমা আবদুলরহিম তাঁর নাতি–নাতনিদের সঙ্গে তাবিলাতে পালিয়ে এসেছেন। তিনি বলেন, পাঁচ দিন ধরে অনেক কষ্ট করে হেঁটে তাবিলাতে পৌঁছাতে পেরেছেন।

ফাতিমা বলেন, ‘তাঁরা (আরএসএফের সদস্যরা) ছেলেশিশুগুলোকে মারলেন এবং আমাদের সব সম্পদ কেড়ে নিলেন। আমাদের কিছুই রাখা হলো না। আমরা এখানে পৌঁছানোর পর জানতে পারলাম, আমাদের পর যেসব মেয়ে এসেছে, তাদের ধর্ষণ করা হয়েছে। তবে আমাদের মেয়েরা বেঁচে গেছে।’

পালিয়ে আসা তরুণী রাওয়া আবদাল্লা বলেছেন, তাঁর বাবা নিখোঁজ।

গত বুধবার রাতে দেওয়া এক বক্তৃতায় আরএসএফের প্রধান মোহাম্মদ হামদান দাগালো বেসামরিক নাগরিকদের সুরক্ষা নিশ্চিত করার জন্য তাঁর যোদ্ধাদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। বলেন, মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা ঘটলে বিচারের মুখোমুখি করা হবে। হামদান ‘হেমেদতি’ নামেও পরিচিত।

২০২৩ সালের এপ্রিল থেকে সুদানি সেনাদের সঙ্গে আরএসএফ সদস্যদের লড়াই চলছে। গত বৃহস্পতিবার আরএসএফ দাবি করে, নির্যাতনের অভিযোগে বেশ কয়েকজন যোদ্ধাকে আটক করেছে তারা।

তবে জাতিসংঘের মানবিক সহায়তাবিষয়ক প্রধান টম ফ্লেচার সাধারণ নাগরিকদের ওপর আরএসএফ সদস্যদের নিপীড়নের অভিযোগ তদন্তে বাহিনীটির দেওয়া প্রতিশ্রুতি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন।

বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আরএসএফের একজন উচ্চপদস্থ কমান্ডার এই ঘটনাগুলো ‘গণমাধ্যমের অতিরঞ্জন’ বলে আখ্যায়িত করেছেন। তাঁর দাবি, এল–ফাশেরে নিজেদের পরাজয় ও ক্ষয়ক্ষতি আড়াল করতে সেনাবাহিনী এবং তাদের মিত্ররা এমন অপপ্রচার চালাচ্ছে।

জাতিসংঘের তথ্য বলছে, এ সংঘাত চলাকালে আরএসএফ ও সেনাবাহিনী—দুই পক্ষের বিরুদ্ধেই অভিযোগ উঠেছে। সংঘাতে কয়েক হাজার মানুষ নিহত হয়েছে। প্রায় ১ কোটি ৪০ লাখ মানুষ বাড়িঘর ছেড়ে পালাতে বাধ্য হয়েছেন। সংঘাতকে কেন্দ্র করে ভয়াবহ মানবিক বিপর্যয় তৈরি হয়েছে। বিরাজ করছে ব্যাপক দুর্ভিক্ষের অবস্থা। পাশাপাশি কলেরা ও অন্যান্য প্রাণঘাতী রোগের সংক্রমণ বাড়ছে।

দারফুর থেকে পালিয়ে আসা লোকজন তাবিলা এলাকায় আশ্রয় নিয়েছেন। ২৯ অক্টোবর, ২০২৫

সম্পর্কিত নিবন্ধ