মেজর লিগ সকারের (এমএলএস) মর্যাদাপূর্ণ অল-স্টার ম্যাচে অনুপস্থিত থেকে বিতর্কে জড়িয়েছেন ইন্টার মায়ামির দুই তারকা লিওনেল মেসি ও জর্ডি আলবা। বৃহস্পতিবার যুক্তরাষ্ট্রের অস্টিন শহরের কিউ২ স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ম্যাচে এমএলএস অল-স্টাররা ৩-১ গোলে পরাজিত করে মেক্সিকোর লিগা এমএক্স অল-স্টার দলকে। তবে আলোচনার কেন্দ্রে খেলোয়াড়দের পারফরম্যান্স নয়, বরং মাঠের বাইরে ছিলেন দুই বিশ্বখ্যাত তারকার অনুপস্থিতি।

এমএলএস অল-স্টার দলে নির্বাচিত হওয়া সত্ত্বেও শেষ মুহূর্তে ম্যাচ থেকে নিজেকে সরিয়ে নেন মেসি ও আলবা। বিষয়টি লিগ কর্তৃপক্ষকে জানায় ইন্টার মায়ামি। তবে তৎক্ষণাৎ কোনো ব্যাখ্যা দেওয়া হয়নি। আর এতেই তৈরি হয়েছে নতুন বিতর্ক। নিয়ম অনুযায়ী, যৌক্তিক কারণ ছাড়া অল-স্টার ম্যাচ এড়িয়ে যাওয়া খেলোয়াড়দের জন্য এক ম্যাচ নিষেধাজ্ঞার বিধান রয়েছে।

এখন প্রশ্ন উঠেছে— এই নিয়ম কি প্রয়োগ হবে মেসির ওপরও? এ বিষয়ে এমএলএস কমিশনার ডন গারবার সরাসরি কিছু না বললেও ইঙ্গিত দিয়েছেন, সিদ্ধান্ত আসতে পারে আগামী সপ্তাহে। তার ভাষায়, ‘‘আগামী সপ্তাহে কী হবে, তা নিয়ে এখনই কোনো মন্তব্য করছি না।’’ তবে তিনি এটাও মেনে নিয়েছেন যে, ইন্টার মায়ামি লিগের অন্য দলগুলোর চেয়ে অনেক বেশি ম্যাচ খেলেছে গত এক মাসে।

আরো পড়ুন:

গোলের রাজ্যে নতুন সম্রাট মেসি, রোনালদোকে টপকে গড়লেন অনন্য কীর্তি

মেসির পাশে এবার ডি পল, ইন্টার মায়ামিতে নতুন চমক

গত ২৫ দিনে মেসি মাঠে নেমেছেন ৯ বার। ৪টি ক্লাব বিশ্বকাপ ও ৫টি এমএলএস ম্যাচে। যার প্রতিটিতেই তিনি খেলেছেন পুরো ৯০ মিনিট। এমন ব্যস্ত সূচির কারণে হয়তো বিশ্রামের প্রয়োজন ছিল তার, যদিও কোনো চোটের খবর পাওয়া যায়নি। সর্বশেষ ম্যাচে নিউইয়র্ক রেড বুলসের বিপক্ষে জোড়া গোল করেন তিনি।

কমিশনার গারবার বলেছেন, ‘‘আমরা মেসিকে এই ম্যাচে দেখতে চেয়েছিলাম। যারা মনোনীত হয়, তাদের সবাইকে নিয়ে দর্শকদের প্রত্যাশা থাকে।’’ পাশাপাশি তিনি আক্ষেপও করেছেন, ইন্টার মায়ামি যদি আরও আগেই অনুপস্থিতির তথ্য জানাত, তবে প্রস্তুতিতে কিছুটা সুবিধা হতো।

সবমিলিয়ে, অল-স্টার ম্যাচে মেসির না খেলা এখন শুধু একটি ক্রীড়া ঘটনা নয়; এটি হয়ে উঠেছে নীতিমালার প্রয়োগ ও খেলোয়াড় ব্যবস্থাপনার একটি বড় পরীক্ষা।

ঢাকা/আমিনুল

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ফ টবল অল স ট র ম য চ ইন ট র ম য় ম

এছাড়াও পড়ুন:

মেসি গোল করেছেন, তবে জেতেনি মায়ামি

ইন্টার মায়ামি কখনো মেজর লিগ সকারের (এমএলএস) প্লে–অফ কনফারেন্স সেমিফাইনালে ওঠেনি। আজ লিওনেল মেসিদের সামনে ছিল সেই সুযোগ। কিন্তু নাশভিলের মাঠ জিওডিস পার্কে সুযোগটা কাজে লাগাতে পারেনি মায়ামি। ম্যাচের ৯০ মিনিটে মেসি গোল করলেও তার আগে দুই গোল হজম করে ইন্টার মায়ামি হেরেছে ২-১ ব্যবধানে।

এই হারের পরও অবশ্য মায়ামির কনফারেন্স সেমিফাইনালে খেলার সম্ভাবনা শেষ হয়ে যায়নি। ৮ নভেম্বর আবারও মুখোমুখি হবে মায়ামি-নাশভিল। সে ম্যাচের জয়ী দল পরের ধাপে উঠবে।

জিওডিস পার্কের ম্যাচটিতে মায়ামি গোল হজম করেছে ৯ ও ৪৫ মিনিটে। এর মধ্যে ৯ মিনিটে স্যাম সারিজের গোলটি ছিল পেনাল্টি থেকে। মায়ামি গোলকিপার রোকো রিওস ফাউল করলে পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি।

তবে ম্যাচ শেষে এ নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেন মায়ামি কোচ হাভিয়ের মাচেরানো, ‘পেনাল্টিটা আমাদের একটা ধাক্কা দিয়েছে। কারণ, ততক্ষণ পর্যন্ত আমরা ভালো খেলছিলাম। আমার মনে হয় সিদ্ধান্তটা বিতর্কিত। রেফারিং নিয়ে কথা বলা আমার পছন্দ নয়। কিন্তু এখন বলতে হচ্ছে পেনাল্টির সিদ্ধান্তের বিষয়টি ভিএআরে না যাওয়াটা অদ্ভুত লেগেছে।’ প্রথমার্ধের শেষ দিনে নাশভিলের দ্বিতীয় গোলটি করেন জশ বাউয়ের।

ম্যাচের শেষ দিকে গোলের জন্য মরিয়া হয়ে ওঠে মায়ামি। আর তাতেই ৯০ মিনিটে বক্সে ঢুকেই কোনাকুনি শটে বল জালে পাঠান মেসি। যোগ করা সময়ে দ্বিতীয় গোলের চেষ্টা চালিয়ে গেলেও নাশভিলের জমাট রক্ষণের বিপক্ষে সেটা আর সম্ভব হয়নি। মায়ামিকে মাঠ ছাড়তে হয় হার নিয়ে।

এমএলএস প্লে-অফে প্রথম রাউন্ডের খেলা হয় ‘বেস্ট অব থ্রি–সিরিজ’ হিসেবে। এর মধ্যে প্রথম দুটি ম্যাচ একই দল জিতে গেলে তৃতীয় ম্যাচ খেলার দরকার পড়ে না। ইন্টার মায়ামি প্রথম ম্যাচ ৩-১ গোলে জেতায় আজই কনফারেন্স সেমিফাইনাল নিশ্চিত করার সুযোগ ছিল। কিন্তু নাশভিল জেতায় প্রথম রাউন্ডের মীমাংসা গড়াল তৃতীয় ম্যাচে। যে ম্যাচটি হবে ৮ নভেম্বর চেজ স্টেডিয়ামে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • মেসি গোল করেছেন, তবে জেতেনি মায়ামি