ফেনী-নোয়াখালী আঞ্চলিক সড়কের পাঁচগাছিয়া এলাকায় দাঁড়িয়ে থাকা একটি পিকআপভ্যানকে দ্রুতগতির একটি বাস পেছন থেকে সজোরে ধাক্কা দিলে ঘটনাস্থলেই সহদোর দুই ভাইয়ের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছেন আরও একজন। 

শুক্রবার (২৫ জুলাই) দিবাগত রাত ৩টার দিকে ফেনী সদর উপজেলার পাঁচগাছিয়া ইউনিয়নের পাঁচগাছিয়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন- পাঁছগাছিয়া ইউনিয়নের লক্ষিয়ারা উজালিয়া কাজি বাড়ির শাহআলমের ছেলে মোশারফ হোসেন (২৯) ও একরাম হোসেন (১৮)। 

আহত ব্যক্তির নাম হাবিব (৩০), তিনি নওগাঁ জেলার মল্লিকপুর গ্রামের মতিউর রহমানের ছেলে। গুরুতর আহত অবস্থায় হাবিবকে তাৎক্ষণিকভাবে হাসপাতালে পাঠানো হয়।

পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, একটি পিকআপভ্যান রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে ছিল। হঠাৎ একটি দ্রুতগামী বাস পিকআপটিকে পেছন দিক থেকে সজোরে ধাক্কা দেয়। এতে পিকআপটি দুমড়ে-মুচড়ে যায়। সেসময় দুই ভাই গুরুতর আহত হন। স্থানীয়রা তাৎক্ষণিকভাবে আহতদের উদ্ধার করে ফেনী জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে দায়িত্বরত চিকিৎসক মোশারফ হোসেনকে মৃত ঘোষণা করেন। অপর ভাই একরাম হোসেনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হচ্ছিলো। পথেই তার মৃত্যু হয়।

নিহতদের জেঠাতো ভাই মো.

সুজন জানান, মোশারফ ‘আলভী এন্টারপ্রাইজ’ নামে একটি কোম্পানিতে চাকরি করতেন। কোম্পানির একটি পিকআপভ্যান রাস্তার পাশে পড়ে গেলে, কোম্পানির মালিক তাকে গাড়িটি উদ্ধার করতে বলেন। রাত ৩টার দিকে ছোট ভাই একরাম হোসেনকে সঙ্গে নিয়ে মোশারফ ঘটনাস্থলে যান। 

গাড়িটি তুলে রাস্তার পাশে দাঁড় করানোর পর, মোশারফ পিছনের চাকার ব্যবস্থা করতে যান। হঠাৎ নোয়াখালীগামী ‘লালসবুজ’ পরিবহনের একটি বাস পেছন থেকে পিকআপটিকে সজোরে ধাক্কা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই মোশারফের মৃত্যু হয় এবং একরাম গুরুতর আহত হন। পরে চট্টগ্রাম নেওয়ার পথে তারও মৃত্যু হয়।

এ ব্যাপারে মহিপাল হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হারুনুর রশীদ বলেন, “রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে থাকা একটি পিকআপভ্যানকে পেছন থেকে অজ্ঞাত একটি বাস সজোরে ধাক্কা দেয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে একজনের মরদেহ উদ্ধার করে। গুরুতর আহত অপরজনকে ফেনী জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হলে অবস্থার অবনতি হওয়ায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হচ্ছিলো। পথে তার মৃত্যু হয়।”

ঢাকা/সাহাব উদ্দিন/এস

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর একর ম

এছাড়াও পড়ুন:

দুই মিনিটের বিতর্কিত দৃশ্য দিয়ে আলোচনায়, পরে বলিউডকে বিদায় জানান সেই অভিনেত্রী

বলিউডের ইতিহাসে এমন অনেক অভিনেত্রী আছেন, যাঁরা শূন্য থেকে শুরু করে রাতারাতি পরিচিতি পেয়েছেন; পরে আবার হঠাৎই হারিয়ে গেছেন। কিমি কাতকার তেমনই একজন। ১৯৮০-এর দশকে বলিউডে তিনি ছিলেন আলোচিত ও সাহসী অভিনেত্রীদের একজন।

কিমির উত্থান
আশির দশকটি বলিউডে সৃজনশীল ও পরিবর্তনের সময় ছিল, যেখানে অনেক প্রতিভাবান অভিনেতা-অভিনেত্রী তাঁদের ছাপ ফেলেছেন। কিমি ছিলেন সেই সময়ের অন্যতম উদীয়মান নায়িকা। পর্দায় সাহসী দৃশ্যের জন্য তিনি ব্যাপক পরিচিতি পান। যদিও তাঁর চলচ্চিত্র ক্যারিয়ার ছিল খুবই সংক্ষিপ্ত; কিন্তু এর মধ্যেই ব্যাপক আলোচনার জন্ম দেন।

মুম্বাইতে জন্ম নেওয়া কিমি ক্যারিয়ার শুরু করেছিলেন মডেল হিসেবে, পরে তিনি চলচ্চিত্রে প্রবেশ করেন। ১৯৮৫ সালে ‘অ্যাডভেঞ্চার অব টারজান’ দিয়ে আলোচিত হন তিনি। সিনেমার সাফল্য তাঁকে রাতারাতি জনপ্রিয় করে তোলে। হেমন্ত বীরজের সঙ্গে জুটি বেঁধে তিনি দর্শকদের মন মাতিয়ে দেন। তবে এ ছবিতেই একটি নগ্ন দৃশ্যে অভিনয় করে রাতারাতি আলোচনায় আসেন। দৃশ্যটি নিয়ে এক সাক্ষাৎকারে অভিনেত্রী বলেছিলেন, ‘সেই সময় আমি জানতাম না এই দৃশ্য কতটা বিতর্কিত হবে। কিন্তু অভিনয় আমার জন্য সব সময় ছিল সত্যিই একটি চ্যালেঞ্জ।’ এরপর ১৯৮০-এর দশকের শেষের দিকে অমিতাভ বচ্চন, অনিল কাপুর, গোবিন্দ ও আদিত্য পঞ্চোলির সঙ্গেও সিনেমা করেন তিনি। তাঁর নাচ ও অভিনয়ের দক্ষতা দর্শকদের কাছে তাঁকে প্রিয় করে তোলে।

‘অ্যাডভেঞ্চার অব টারজান’-এ কিমি কাতকার। আইএমডিবি

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • দুই মিনিটের বিতর্কিত দৃশ্য দিয়ে আলোচনায়, পরে বলিউডকে বিদায় জানান সেই অভিনেত্রী
  • ‘সাংস্কৃতিক জাগরণেই মুক্তি’
  • যদি ঠিক পথে থাকো, সময় তোমার পক্ষে কাজ করবে: এফ আর খান
  • বিবাহবিচ্ছেদ ও খোরপোষ নিয়ে ক্ষুদ্ধ মাহি
  • ফতুল্লায় দুই ট্রাকের মাঝে পড়ে যুবকের মৃত্যু
  • ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় দুই পক্ষের সংঘর্ষে ২০ মামলার আসামি নিহত, গুলিবিদ্ধ ৩
  • নামতে গেলেই চালক বাস টান দিচ্ছিলেন, পরে লাফিয়ে নামেন
  • তানজানিয়ার বিতর্কিত প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ফের বিজয়ী সামিয়া
  • আমার স্ত্রী খ্রিষ্টধর্ম গ্রহণ করছেন না: জেডি ভ্যান্স
  • নির্বাচন সামনে রেখে সরকারের ৩১ বিভাগকে প্রস্তুতির নির্দেশ ইসির