দাঁড়িয়ে থাকা পিকআপভ্যানে বাসের ধাক্কা, প্রাণ গেল দুই ভাইয়ের
Published: 25th, July 2025 GMT
ফেনী-নোয়াখালী আঞ্চলিক সড়কের পাঁচগাছিয়া এলাকায় দাঁড়িয়ে থাকা একটি পিকআপভ্যানকে দ্রুতগতির একটি বাস পেছন থেকে সজোরে ধাক্কা দিলে ঘটনাস্থলেই সহদোর দুই ভাইয়ের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছেন আরও একজন।
শুক্রবার (২৫ জুলাই) দিবাগত রাত ৩টার দিকে ফেনী সদর উপজেলার পাঁচগাছিয়া ইউনিয়নের পাঁচগাছিয়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন- পাঁছগাছিয়া ইউনিয়নের লক্ষিয়ারা উজালিয়া কাজি বাড়ির শাহআলমের ছেলে মোশারফ হোসেন (২৯) ও একরাম হোসেন (১৮)।
আহত ব্যক্তির নাম হাবিব (৩০), তিনি নওগাঁ জেলার মল্লিকপুর গ্রামের মতিউর রহমানের ছেলে। গুরুতর আহত অবস্থায় হাবিবকে তাৎক্ষণিকভাবে হাসপাতালে পাঠানো হয়।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, একটি পিকআপভ্যান রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে ছিল। হঠাৎ একটি দ্রুতগামী বাস পিকআপটিকে পেছন দিক থেকে সজোরে ধাক্কা দেয়। এতে পিকআপটি দুমড়ে-মুচড়ে যায়। সেসময় দুই ভাই গুরুতর আহত হন। স্থানীয়রা তাৎক্ষণিকভাবে আহতদের উদ্ধার করে ফেনী জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে দায়িত্বরত চিকিৎসক মোশারফ হোসেনকে মৃত ঘোষণা করেন। অপর ভাই একরাম হোসেনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হচ্ছিলো। পথেই তার মৃত্যু হয়।
নিহতদের জেঠাতো ভাই মো.
গাড়িটি তুলে রাস্তার পাশে দাঁড় করানোর পর, মোশারফ পিছনের চাকার ব্যবস্থা করতে যান। হঠাৎ নোয়াখালীগামী ‘লালসবুজ’ পরিবহনের একটি বাস পেছন থেকে পিকআপটিকে সজোরে ধাক্কা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই মোশারফের মৃত্যু হয় এবং একরাম গুরুতর আহত হন। পরে চট্টগ্রাম নেওয়ার পথে তারও মৃত্যু হয়।
এ ব্যাপারে মহিপাল হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হারুনুর রশীদ বলেন, “রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে থাকা একটি পিকআপভ্যানকে পেছন থেকে অজ্ঞাত একটি বাস সজোরে ধাক্কা দেয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে একজনের মরদেহ উদ্ধার করে। গুরুতর আহত অপরজনকে ফেনী জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হলে অবস্থার অবনতি হওয়ায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হচ্ছিলো। পথে তার মৃত্যু হয়।”
ঢাকা/সাহাব উদ্দিন/এস
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
নিউ ইয়র্কে নিহত বাংলাদেশি পুলিশ কর্মকর্তা সম্পর্কে যা জানা গেলো
যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্কের সেন্ট্রাল ম্যানহাটনে একটি বহুতল অফিসে বন্দুক হামলায় নিহত হয়েছেন নিউ ইয়র্ক পুলিশের কর্মকর্তা দিদারুল ইসলাম (৩৬)। জানা গেছে, তিনি বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত অভিবাসী ছিলেন। খবর রয়টার্সের।
নিহত কর্মকর্তা দিদরুল ইসলামকে একজন ‘বীর বাংলাদেশি অভিবাসী’ হিসেবে উল্লেখ বর্ণনা করেছেন নিউ ইয়র্কের মেয়র এবং নিউ ইয়র্কের পুলিশ কমিশনার। তারা বলেছেন, ওই কর্মকর্তা নিজের জীবন ঝুঁকিতে ফেলে অন্যদের জীবন রক্ষা করেছিলেন।
সোমবার ম্যানহাটনের মিডটাউন অফিস টাওয়ারের ভেতরে এক বন্দুকধারী হামলা চালিয়ে পুলিশ কর্মকর্তা দিদারুল ইসলাম (৩৬) সহ চারজনকে হত্যা করে। হামলাকারী পরবর্তীতে আত্মহত্যা করেছে বলে পুলিশ কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
আরো পড়ুন:
পুতিনকে এবার ১২ দিনের আল্টিমেটাম দিলেন ট্রাম্প
নিউ ইয়র্কে বন্দুকধারীর গুলিতে নিহত ৪
নিউ ইয়র্কের মেয়র এরিক অ্যাডামস এক প্রেস ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের বলেন, “ভয়াবহ একটি বন্দুক সহিংসতার ঘটনায় আমরা চারটি প্রাণ হারিয়েছি, যার মধ্যে নিউ ইয়র্ক সিটি পুলিশ বিভাগের একজন সদস্য ‘অফিসার ইসলাম’ রয়েছেন।
অ্যাডামস জানান, নিহত অফিসার তিন বছরেরও বেশি সময় ধরে নিউ ইয়র্ক পুলিশে কর্মরত ছিলেন এবং তিনি বাংলাদেশ থেকে আসা একজন অভিবাসী।
মেয়র বলেন, “হামলার সময় অফিসার ইসলাম অন্যদের জীবন রক্ষা করছিলেন, তিনি নিউ ইয়র্কবাসীদের রক্ষা করছিলেন। তিনি এই শহরকে ভালোবাসতেন এবং আমরা যাদের সাথে কথা বলেছি তারা সবাই বলেছেন যে, তিনি একজন সৎ মানুষ ও ঈশ্বরে বিশ্বাসী ব্যক্তি ছিলেন।”
মেয়র আরো জানিয়েছেন, সোমবার রাতে তিনি অফিসর ইসলামের পরিবারের সঙ্গে দেখা করেছেন।
মেয়র আরো বলেন, “আমি তাদেরকে বলেছি, অফিসার ইসলাম একজন একজন বীর এবং আমরা তার ত্যাগের প্রশংসা করি।”
নিউ ইয়র্কের পুলিশ কমিশনার জেসিকা টিশ সংবাদ সম্মেলনে জানান, অফিসার ইসলাম বিবাহিত ছিলেন এবং তার দুটি সন্তান ছিল। তার স্ত্রী তৃতীয় সন্তানের মা হতে চলেছেন।
পুলিশ কমিশনার বলেন, “অফিসার ইসলাম নিজেকে ঝুঁকির মুখে ফেলেছিলেন। তিনি চূড়ান্ত ত্যাগ স্বীকার করেছিলেন, তাকে ঠান্ডা মাথায় গুলি করে হত্যা করা হয়েছিল।”
ঢাকা/ফিরোজ