থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়ার বিতর্কিত সীমান্তে শুক্রবার দ্বিতীয় দিনের মতো গুলি বিনিময় হয়েছে। দুই দিনের সংঘাতে এক ডজনেরও বেশি মানুষ নিহত এবং এক লাখেরও বেশি বেসামরিক লোককে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে বলে উভয় দেশের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।

দক্ষিণ-পূর্ব এশীয় প্রতিবেশীদের মধ্যে কয়েক মাস ধরে তাদের ৫০০ মাইল (৮০০ কিলোমিটার) স্থল সীমান্তের বিতর্কিত অংশ নিয়ে উত্তেজনা চলছে। এই অংশটি কম্বোডিয়ার সাবেক ঔপনিবেশিক শাসক ফ্রান্স আংশিকভাবে চিহ্নিত করেছিল। এই এলাকাটি উভয় দেশ দাবি করে আসছে।

থাই সেনাবাহিনীর উপ-মুখপাত্র কর্নেল রিচা সুকসুওয়ানন সিএনএনকে জানিয়েছেন, কম্বোডিয়া ছোট অস্ত্র এবং ভারী অস্ত্র ব্যবহার করে গুলি চালানো শুরু করার পর শুক্রবার স্থানীয় সময় ভোর ৪টা ৩০ মিনিটে সংঘর্ষ শুরু হয়। থাই সেনাবাহিনী কামানের গোলা দিয়ে জবাব দিয়েছে।

থাই সেনাবাহিনী জানিয়েছে, উবোন রাতচাথানি প্রদেশে দুটি এবং সুরিন প্রদেশে একটি স্থানে সংঘর্ষ চলছে। জনসাধারণকে এলাকাগুলো এড়িয়ে চলার জন্য সতর্ক করা হয়েছে। কম্বোডিয়া থেকে ভারী অস্ত্র এবং রকেট হামলার খবর পাওয়া গেছে। তাদের বাহিনী বৃহস্পতিবার কম্বোডিয়ার রকেট হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত কান্থারালাক জেলা থেকে বোমা নিষ্ক্রিয়করণ অভিযান পরিচালনা করছে এবং মৃতদেহ উদ্ধার করছে।

বৃহস্পতিবারের থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়ার মধ্যে ছোট অস্ত্র এবং রকেট হামলা হয়। থাইল্যান্ড পরে এফ-১৬ যুদ্ধবিমান পাঠিয়ে কম্বোডিয়ার অভ্যন্তরে সামরিক লক্ষ্যবস্তুতে বোমাবর্ষণ করে।

ঢাকা/শাহেদ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর কম ব ড য

এছাড়াও পড়ুন:

এটাই হয়তো আমার শেষ নির্বাচন: মির্জা ফখরুল

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনই নিজের শেষ নির্বাচন হতে পারে বলে জানিয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) দুপুরে ভেরিফায়েড ফেসবুক পোস্টে এ তথ্য জানান। 

আরো পড়ুন:

২৩৭ আসনে বিএনপির প্রার্থী ঘোষণা, ৩টি আসনে লড়বেন খালেদা জিয়া

ফখরুলের কণ্ঠ নকল, সতর্ক করল বিএনপি

ঠাকুরগাঁও-১ আসনে দলীয় মনোনয়ন পাওয়ার পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেওয়া এক বার্তায় তিনি রাজনীতি জীবনের দীর্ঘ পথচলা, পরিবারের ত্যাগ এবং সহকর্মীদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। এছাড়া, যারা মনোনয়ন পাননি তাদের ধর্য্য ধরারও আহ্বান জানান। 

মির্জা ফখরুল ইসলাম লেখেন, “মহান আল্লাহর রহমতে বিএনপি আমাকে ঠাকুরগাঁও ১ আসনে মনোনীত করেছে! আমি বেগম খালেদা জিয়া, তারেক রহমান, এবং সকল নেতা এবং নেত্রীকে আমার কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জানাই। দলের সকল কর্মীকে জানাই আমার আন্তরিক ধন্যবাদ আজীবন আমার সাথে থাকার জন্য!”

তিনি বলেন, “আমরা যারা সারাজীবন রাজনীতি করেছি, জেলে গেছি, আমাদের নিজেদের একটা গল্প থাকে! অনেকেই তা জানে না! আমি যখন ১৯৮৭ তে সিদ্ধান্ত নেই, আবার রাজনীতিতে ফিরব, আমার মেয়ে দুটো একদমই ছোট ছিলো! ঢাকায় পড়ত। আমার স্ত্রীর বয়স অনেক কম ছিলো! সে প্রথমে স্তম্ভিত হয়ে গিয়েছিল! বুঝতে পারছিল কি ভয়াবহ অনিশ্চিত জীবনে পা দিতে যাচ্ছে!”

“আমার মেয়ে দুটোর হাত ধরে সেই নিয়ে গেছে স্কুলে, ডাক্তারের কাছে! মনে পরে আমার বড় মেয়ের একটা অপারেশন হবে, আমি সারা রাত গাড়িতে ছিলাম, ঢাকার পথে! যাতে মেয়ের পাশে থাকতে পারি! গল্পগুলো অন্য কোনও দিন বলব যদি আল্লাহ চান! এরকম গল্প আমাদের হাজার হাজার নেতা কর্মীর আছে!”

তিনি আরো বলেন, “এই নির্বাচন হয়তো আমার শেষ নির্বাচন!  যারা মনোনয়ন পায়নি, বিশ্বাস রাখুন, ইনশাআল্লাহ দল আপনাদের যথাযথ দায়িত্ব ও সম্মান দিবে! ”

সবার কাছে দোয়া চেয়ে তিনি লেখেন, “আপনারা সবাই আমার জন্য দুআ করবেন, আমাদের দলের প্রতিটি নেতা কর্মীর জন্য দুআ করবেন! আমরা সবাই মিলে আপনাদের পাশে থাকব এবং কাজ করবো ইনশাআল্লাহ! বিএনপির সেই যোগ্যতা আছে দেশকে মর্যাদার সাথে সামনে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার! ইনশাআল্লাহ!  আপনারা পাশে থেকেন।” 

ঢাকা/ইভা 

সম্পর্কিত নিবন্ধ