অ্যাপলের তৈরি এআই মডেলে কি ব্যবহারকারীদের তথ্য ব্যবহার করা হয়েছে
Published: 25th, July 2025 GMT
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) মডেল তৈরি বা সেগুলোর মানোন্নয়নের জন্য ব্যবহারকারীদের তথ্য ব্যবহার করছে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান—এমন অভিযোগ করে থাকেন অনেকেই। ফলে অনলাইনে নিজেদের তথ্যের সুরক্ষা নিয়ে নতুন উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। তবে সম্প্রতি অ্যাপল জানিয়েছে, তাদের এআই মডেলের প্রশিক্ষণে ব্যবহারকারীদের ব্যক্তিগত তথ্যের বদলে কৃত্রিমভাবে তৈরি তথ্যভান্ডার ব্যবহার করা হয়েছে।
অ্যাপলের তথ্যমতে, অ্যাপলের তৈরি এআই মডেল মূলত দুই ভাগে বিভক্ত। একটি অংশ কাজ করে সরাসরি ব্যবহারকারীদের যন্ত্রে, অন্যটি পরিচালিত হয় অ্যাপলের নিজস্ব ‘প্রাইভেট কম্পিউটিং’ অবকাঠামোর মাধ্যমে। আর তাই প্রতিটি পর্যায়েই ব্যবহারকারীদের তথ্য নিরাপদ থাকে।
অ্যাপলে দাবি, ব্যবহারকারীদের গোপনীয়তা রক্ষা অ্যাপলের দীর্ঘদিনের মূলনীতি। আর তাই অ্যাপলের এআই অবকাঠামোর প্রতিটি স্তরে গোপনীয়তা রক্ষার বিষয়টি মাথায় রেখে নকশা করা হয়েছে। তবে এই কড়াকড়ির কারণে এআই মডেলের প্রশিক্ষণে ব্যবহৃত তথ্যভান্ডার সীমিত হয়ে যাচ্ছে। এর ফলে গুগল বা ওপেনএআইয়ের মতো প্রতিদ্বন্দ্বী প্রতিষ্ঠানগুলোর তুলনায় পিছিয়ে পড়ছে অ্যাপল।
অ্যাপলের উন্নত চিপসেট ও সফটওয়্যার ইন্টিগ্রেশনের ফলে বেশির ভাগ এআই কার্যক্রম সরাসরি যন্ত্রেই সম্পন্ন করা হয়। এর ফলে আলাদা করে ক্লাউড প্রসেসিংয়ের প্রয়োজন হয় না, যা গোপনীয়তা রক্ষার দৃষ্টিকোণ থেকে অনেকটাই নিরাপদ। তবে যখন অ্যাপল পণ্য ব্যবহারকারীরা ওপেনএআই বা গুগলের মতো প্রতিষ্ঠানের তৈরি কোনো এআই টুল ব্যবহার করেন, তখন সেই তথ্য অ্যাপলের নিয়ন্ত্রণে থাকে না। ফলে ব্যবহারকারীদের তথ্য কীভাবে ব্যবহৃত হচ্ছে, সে বিষয়ে অনিশ্চয়তা থেকেই যায়।
সূত্র: নিউজ১৮
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ব যবহ র কর য ব যবহ র অ য পল র
এছাড়াও পড়ুন:
চাঁদার দাবিতে পিটিয়ে হত্যা, দুই ভাইয়ের যাবজ্জীবন
নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে চাঁদার দাবিতে সিরাজুল ইসলাম নামের এক ব্যক্তিকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগে দায়ের হওয়া মামলায় দুই ভাইকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। সেই সঙ্গে তাদের ১০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরো এক বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) দুপুরে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ প্রথম আদালতের বিচারক মোমিনুল ইসলাম এ রায় দেন। রায় ঘোষণার সময় আসামিরা অনুপস্থিত ছিলেন।
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- পাপ্পু (৪০) ও তার ভাই শুক্কুর (৩৭)। তারা উভয় সিদ্ধিরগঞ্জের মিজমিজি বাতানপাড়া এলাকার আফজাল হোসেনের ছেলে।
আরো পড়ুন:
ম্যাস র্যাপিড ট্রানজিটের ভূমি অধিগ্রহণে জালিয়াতি, মামলার অনুমোদন
ফেনীতে ছাত্র হত্যা: শেখ হাসিনাসহ ২২১ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট
কোর্ট পুলিশের পরিদর্শক কাইউম খান বলেন, ‘‘সৌদি প্রবাসী জাকির হোসেনের নির্মাণাধীন ভবনের কাজের তদারকি করতেন সিরাজুল ইসলাম। সে সময় শুক্কুর ও তার ভাই পাপ্পুসহ কয়েকজন সিরাজুলের কাছে চাঁদা দাবি করেন। চাঁদা না দেওয়ায় ২০১৫ সালের ২৩ জুলাই তাকে লাঠি দিয়ে পিটিয়ে আহত করা হয়। পরে তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় নিহতের ছেলে বাদী হয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। দীর্ঘ শুনানি ও সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আদালত আজ এ রায় ঘোষণা করেছেন।’’
ঢাকা/অনিক/রাজীব