Prothomalo:
2025-11-03@00:07:15 GMT

নিষিদ্ধ হলেন মেসি ও আলবা

Published: 26th, July 2025 GMT

এমএলএস অল-স্টার গেমে না খেলার শাস্তি হিসেবে এক ম্যাচ নিষিদ্ধ হয়েছেন ইন্টার মায়ামি তারকা লিওনেল মেসি ও জর্দি আলবা। মেজর লিগ সকারে (এমএলএস) আগামীকাল বাংলাদেশ সময় ভোর ৫টা ১৫ মিনিটে সিনসিনাটির মুখোমুখি হবে মায়ামি। স্থানীয় সময় শুক্রবার বিকেলে এই ম্যাচে মেসি ও আলবাকে নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছে এমএলএস কর্তৃপক্ষ।

এমএলএসের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘এ সপ্তাহে মেজর লিগ সকার অল-স্টার গেমে অনুপস্থিত থাকার কারণে শনিবার সিনসিনাটির বিপক্ষে ম্যাচে খেলতে পারবেন না ইন্টার মায়ামির জর্দি আলবা এবং লিওনেল মেসি। নিয়ম অনুযায়ী, লিগের কাছ থেকে আগেই অনুমতি না নিয়ে কোনো খেলোয়াড় যদি অল-স্টার গেমে অনুপস্থিত থাকেন তাহলে তিনি তার ক্লাবের পরের ম্যাচটি খেলতে পারবেন না।’

ফোনে সংবাদমাধ্যম ‘দ্য অ্যাথলেটিক’কে এমএলএস কমিশনার ডন গারবার বলেছেন, মেসিকে নিষিদ্ধ করাটা ছিল ‘খুব খুব কঠিন।’

গারবার বলেছেন, ‘সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, আমি জানি মেসি এমএলএসকে ভালোবাসেন। এমএলএস একদমই আলাদা লিগ। এমএলএস কী, কী করতে সক্ষম, সেসব বিশ্বকে দেখাতে মেসি বছরজুড়ে সাহায্য করছেন। আমার মনে হয় এটা গুরুত্বপূর্ণ বিশেষ করে আমার কাছে—মেজর লিগ সকারের জন্য লিওনেল মেসির চেয়ে কেউ বেশি করেনি। সেটা শুধু মাঠের বাইরে নয়, মাঠের ভেতরেও। দর্শকেরা (তাঁর) সব ম্যাচই দেখেন। ইন্টার মায়ামির প্রতি তার অঙ্গীকারকে আমি সম্মান ও প্রশংসা করি।’

আরও পড়ুনট্রফি জয়ে শীর্ষ ১০ ফুটবল ক্লাব কারা১ ঘণ্টা আগে

গারবার এরপর বলেছেন, ‘তার (এমএলএস অল-স্টার গেমে) না খেলার বিষয়টি আমি বুঝি। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে অল-স্টার গেমে কোনো খেলোয়াড়ের অংশ নেওয়ার বিষয়ে আমাদের দীর্ঘদিনের প্রচলিত নিয়ম আছে এবং সেটা কার্যকর করতে হয়েছে। এটা ছিল খুব খুব কঠিন সিদ্ধান্ত, কিন্তু আশা করি এটা মেসি এবং বাকিরা বুঝবেন এবং সম্মান করবেন। সে তার ক্লাব, সতীর্থ ও লিগের জন্য দিনের পর দিন (মাঠে) নেমেছে এবং তার সিদ্ধান্তকে আমি সম্মান করি।’

গত ৩০ এপ্রিল থেকে মায়ামির প্রতিটি ম্যাচেই ৯০ মিনিট করে খেলেছেন ৩৮ বছর বয়সী মেসি। গত ১৪ জুন থেকে খেলেছেন ৯ ম্যাচ, এর মধ্যে ৪ ম্যাচ খেলেছেন ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপে। সর্বশেষ গত ২৭ এপ্রিল মায়ামির ম্যাচে মেসিকে দেখা যায়নি। কিন্তু তারপর থেকে মায়ামির কোনো ম্যাচ মিস করেননি আর্জেন্টাইন কিংবদন্তি। আরেকটু পিছিয়ে হিসাব করলে গত ২ এপ্রিল থেকে মায়ামির খেলা ২৩টি ম্যাচের মধ্যে ২২ ম্যাচেই প্রতিটি মিনিট মাঠে ছিলেন মেসি। এর মধ্যে ৩৫ দিনের ব্যবধানে খেলেছেন ৯ ম্যাচ।

টানা ম্যাচ খেলায় ক্লান্ত মেসি.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: অল স ট র গ ম

এছাড়াও পড়ুন:

মেসি গোল করেছেন, তবে জেতেনি মায়ামি

ইন্টার মায়ামি কখনো মেজর লিগ সকারের (এমএলএস) প্লে–অফ কনফারেন্স সেমিফাইনালে ওঠেনি। আজ লিওনেল মেসিদের সামনে ছিল সেই সুযোগ। কিন্তু নাশভিলের মাঠ জিওডিস পার্কে সুযোগটা কাজে লাগাতে পারেনি মায়ামি। ম্যাচের ৯০ মিনিটে মেসি গোল করলেও তার আগে দুই গোল হজম করে ইন্টার মায়ামি হেরেছে ২-১ ব্যবধানে।

এই হারের পরও অবশ্য মায়ামির কনফারেন্স সেমিফাইনালে খেলার সম্ভাবনা শেষ হয়ে যায়নি। ৮ নভেম্বর আবারও মুখোমুখি হবে মায়ামি-নাশভিল। সে ম্যাচের জয়ী দল পরের ধাপে উঠবে।

জিওডিস পার্কের ম্যাচটিতে মায়ামি গোল হজম করেছে ৯ ও ৪৫ মিনিটে। এর মধ্যে ৯ মিনিটে স্যাম সারিজের গোলটি ছিল পেনাল্টি থেকে। মায়ামি গোলকিপার রোকো রিওস ফাউল করলে পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি।

তবে ম্যাচ শেষে এ নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেন মায়ামি কোচ হাভিয়ের মাচেরানো, ‘পেনাল্টিটা আমাদের একটা ধাক্কা দিয়েছে। কারণ, ততক্ষণ পর্যন্ত আমরা ভালো খেলছিলাম। আমার মনে হয় সিদ্ধান্তটা বিতর্কিত। রেফারিং নিয়ে কথা বলা আমার পছন্দ নয়। কিন্তু এখন বলতে হচ্ছে পেনাল্টির সিদ্ধান্তের বিষয়টি ভিএআরে না যাওয়াটা অদ্ভুত লেগেছে।’ প্রথমার্ধের শেষ দিনে নাশভিলের দ্বিতীয় গোলটি করেন জশ বাউয়ের।

ম্যাচের শেষ দিকে গোলের জন্য মরিয়া হয়ে ওঠে মায়ামি। আর তাতেই ৯০ মিনিটে বক্সে ঢুকেই কোনাকুনি শটে বল জালে পাঠান মেসি। যোগ করা সময়ে দ্বিতীয় গোলের চেষ্টা চালিয়ে গেলেও নাশভিলের জমাট রক্ষণের বিপক্ষে সেটা আর সম্ভব হয়নি। মায়ামিকে মাঠ ছাড়তে হয় হার নিয়ে।

এমএলএস প্লে-অফে প্রথম রাউন্ডের খেলা হয় ‘বেস্ট অব থ্রি–সিরিজ’ হিসেবে। এর মধ্যে প্রথম দুটি ম্যাচ একই দল জিতে গেলে তৃতীয় ম্যাচ খেলার দরকার পড়ে না। ইন্টার মায়ামি প্রথম ম্যাচ ৩-১ গোলে জেতায় আজই কনফারেন্স সেমিফাইনাল নিশ্চিত করার সুযোগ ছিল। কিন্তু নাশভিল জেতায় প্রথম রাউন্ডের মীমাংসা গড়াল তৃতীয় ম্যাচে। যে ম্যাচটি হবে ৮ নভেম্বর চেজ স্টেডিয়ামে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • মেসি গোল করেছেন, তবে জেতেনি মায়ামি