শিক্ষাব্যবস্থা ধ্বংসপ্রায়, ভার বইতে হবে ৪০ বছর
Published: 26th, July 2025 GMT
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. এ.এস.এম. আমানুল্লাহ বলেছেন, “বাংলাদেশের বর্তমান শিক্ষা ব্যবস্থা মোটামুটি ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে গেছে। শিক্ষা ব্যবস্থা আজ এমন জায়গায় এসে দাঁড়িয়েছে, এর ভার আগামী ৩০ থেকে ৪০ বছর বহন করতে হবে।’’
শনিবার (২৬ জুলাই) দুপুরে গাজীপুরের কালীগঞ্জ উপজেলার নাগরী ইউনিয়নের কালব রিসোর্টে কৃতী শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। বিএনপির কালীগঞ্জ উপজেলা ও পৌর শাখার উদ্যোগে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে চলতি বছরের এসএসসি পরীক্ষায় স্থানীয় ১৮টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের জিপিএ-৫ প্রাপ্ত ১৩২ জন শিক্ষার্থীকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়।
প্রফেসর আমানুল্লাহ বলেন, ‘‘অষ্টম থেকে ১০ম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের কারিগরি শিক্ষার প্রতি আগ্রহী করে তুলতে হবে। এই শিক্ষাকে আন্তর্জাতিক মানে উন্নীত করার লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়।”
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন- গাজীপুর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক ও সাবেক সংসদ সদস্য একেএম ফজলুল হক মিলন। তিনি শিক্ষার্থীদের মাদক ও ফেসবুকের ক্ষতিকর দিক থেকে দূরে থাকর পরামর্শ দেন। তিনি দেশপ্রেম, মানবিকতা ও নৈতিক শিক্ষার চর্চা করতে শিক্ষার্থীদের উৎসাহিত করেন।
কালীগঞ্জ উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক হুমায়ুন কবীর মাস্টারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন- পৌর বিএনপির আহ্বায়ক মোহাম্মদ হোসেন আরমান, বিএনপি নেতা আশরাফী হাবিবুল্লাহ, মনিরুজ্জামান খান লাবলু, শিক্ষক শাহাবুদ্দিন সিকদার, রেনুকা ইয়াসমিন, শিক্ষার্থী আপ্সরী ক্লারা গোমেজ, সাদিয়া আক্তার বর্ষা ও আহমেদ ওয়ালিদ রেজা।
অনুষ্ঠানে কালীগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, অভিভাবক এবং বিএনপির নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
আয়োজনের শুরুতে জুলাই আন্দোলন এবং মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজ প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় নিহতদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন এবং বিশেষ দোয়ার আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন সাবেক ছাত্রনেতা ইয়াসিন মোল্লা।
ঢাকা/রফিক/মাসুদ
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর অন ষ ঠ ন ব এনপ র
এছাড়াও পড়ুন:
‘বউ পেটানো’ অভিনেতার দ্বিতীয় সংসার ভাঙার গুঞ্জন
সৈয়দা আলিজা সুলতানের সঙ্গে ঘর বেঁধেছিলেন পাকিস্তানের জনপ্রিয় অভিনেতা ফিরোজ খান। তাদের এই সংসার ভেঙে গেছে। আলিজা অভিযোগ করেছিলেন, তাকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করতেন ফিরোজ। কেবল তাই নয়, শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের ছবিও প্রকাশ করেছিলেন। এরপর তোপের মুখে পড়েন ফিরোজ খান। নেটিজেনদের অনেকে তাকে ‘বউ পেটানো’ অভিনেতার তকমাও দেন।
প্রথম সংসার ভাঙার প্রায় দুই বছর পর ডা. জয়নবের সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন ফিরোজ খান। এদিকে, সোশ্যাল মিডিয়ায় দ্বিতীয় সংসার ভাঙার গুঞ্জন ছড়িয়েছে। মূলত, বিনোদনভিত্তিক একটি ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টে ডা. জয়নবের ইনস্টাগ্রাম পোস্টের স্ক্রিনশট শেয়ার করা হয়। তারপরই শুরু হয় ফিরোজ খানের সঙ্গে তার বিবাহবিচ্ছেদের গুঞ্জন। দ্রুত সময়ের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে জয়নবের অভিযোগের স্ক্রিনশট।
ডা. জয়নব কথিত এই নোটে বলেন, “আমি আমার সহনসীমার শেষ পর্যায়ে পৌঁছে গেছি। অবিরাম মানসিক চাপ ও উদ্বেগে ক্লান্ত। এমন একজন মানুষের সঙ্গে সম্পর্কে আছি, যে আমাকে বিশ্বাস করে না। আমি সম্পর্ক টিকিয়ে রাখার চেষ্টা করেছি। কিন্তু আমি এখন ক্লান্ত। প্রতিটি কথোপকথন একটা লড়াইয়ের মতো লাগে, প্রতিটি মতবিরোধ যেন যুদ্ধ। এমন আচরণের শিকার হয়ে আমি ক্লান্ত। আমি যখন তাকে কিছু বলি, সে আমার উপর রাগ ঝাড়ে।”
স্ত্রী জয়নবের সঙ্গে ফিরোজ খান
সুখ স্মৃতিগুলো কষ্টে ঢাকা পড়ে গিয়েছে। এমন মন্তব্য করে জয়নব বলেন, “সত্যি বলতে, আমরা একসঙ্গে যে স্মৃতিগুলো তৈরি করেছিলাম, তা এখন কষ্ট ও আঘাতে ঢাকা পড়ে গেছে। আমি অসংখ্যবার তাকে ক্ষমা করেছি। কিন্তু সেই ক্ষতগুলো কখনো পুরোপুরি সারেনি। বুঝতে পারছি, আমি এক ধরণের মানসিক অস্থিরতার মধ্যে বাস করছি, একটা সম্পর্কে আটকে আছি, যা আমার জীবনের শক্তি শুষে নিচ্ছে। আমি জানি, আমি এর চেয়ে ভালো কিছু পাওয়ার যোগ্য। আমি ভালোবাসা, শ্রদ্ধা ও কোমলতার যোগ্য। সবকিছু ঠিক আছে—আমি আর এই ভান করতে চাই না।”
ডিভোর্সের সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে জয়নব বলেন “এমন বিষাক্ত একটা সম্পর্কের জন্য আমি আমার সুখ ত্যাগ করেছি। আমি এখন নিজের জন্য, নিজের মানসিক সুস্থতার জন্য দাঁড়াচ্ছি। বেদনা ও কষ্ট থেকে মুক্তি পেতে, আমি আমার জীবনের এই অধ্যায় (বিবাহিত জীবন) শেষ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমি ডিভোর্স নিচ্ছি। কারণ আমি জানি, এর চেয়ে ভালো কিছু পাওয়ার যোগ্য। জীবনের নতুন অধ্যায় শুরুর জন্য আমি প্রস্তুত, যেখানে আমাকে মূল্য দেওয়া হবে, সম্মান করা হবে, ভালোবাসা হবে।”
জয়নবের এই ‘ডিভোর্স নোট’ নিয়ে যখন জোর চর্চা চলছে, তখন মুখে কুলুপ এঁটেছেন ফিরোজ খান। তবে এর আগে ফিরোজ খানের অফিশিয়াল ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টে দেওয়া একটি পোস্টে দেখা যায়। তাতে জয়নবের বিরুদ্ধে ‘ব্ল্যাকমেইল’ ও ‘মানসিক চাপের’ অভিযোগ তোলেন। যদিও পরবর্তীতে পোস্টটি মুছে ফেলা হয়। পাশাপাশি এই অভিনেতা জানান, তার ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্ট হ্যাক হয়েছিল।
ডা. জয়নব
তবে সংসার ভাঙার গুঞ্জনে সরাসরি কোনো বক্তব্য দেননি ফিরোজ খান কিংবা তার স্ত্রী ডা. জয়নব। তবে বিনোদনভিত্তিক যে পেজ থেকে জয়নবের ‘ডিভোস নোট’ ছড়ানো হয়েছে, সেই পোস্টে মন্তব্য করেছেন তিনি। তাতে জয়নব লেখেন, “এই ধরনের পেজগুলো আনফলো করুন অথবা রিপোর্ট করুন। এই ধরনের পেজ থেকে ভুয়া খবর ছড়িয়ে মানুষকে বিরক্ত করা হচ্ছে। সত্যি বলছি, আমি জানি না কীভাবে তারা আমার স্টোরিতে পোস্টটি করার অ্যাকসেস পেয়েছে। এই পোস্ট আমি কখনো করিনি।”
২০২২ সালের সেপ্টেম্বরে প্রথম স্ত্রী সৈয়দ আলিজা সুলতানের সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদ হয় ফিরোজ খানের। এ সংসারে সুলতান খান ও ফাতিমা খান নামে দুই সন্তান রয়েছে। বর্তমানে দুই সন্তানের দায়িত্ব নিয়ে আদালতে মামলা লড়ছেন এই প্রাক্তন দম্পতি। ২০২৪ সালে ডা. জয়নবকে বিয়ে করেন ফিরোজ খান।
ঢাকা/শান্ত