অধিনায়ক হিসেবে প্রথম সিরিজেই ব্র্যাডম্যান-গাভাস্কারের রেকর্ড ছুঁলেন গিল
Published: 27th, July 2025 GMT
ইংল্যান্ডের বিপক্ষে চলমান সিরিজে চতুর্থ সেঞ্চুরি পেয়ে গেছেন গিল। অধিনায়ক হিসেবে টেস্টে এক সিরিজে যা রেকর্ড।
ভারতের টেস্ট অধিনায়ক হিসেবে প্রথম সিরিজটা ইংল্যান্ডেই খেলছেন শুবমান গিল। আর অধিনায়কত্বের অভিষেকেই বড় এক বিশ্ব রেকর্ড ছুঁয়ে ফেললেন ভারতীয় ব্যাটসম্যান। ওল্ড ট্রাফোর্ডে আজ ভারতের দ্বিতীয় ইনিংসে সেঞ্চুরি করেই রেকর্ডটা ছুঁয়েছেন গিল। এবারের সিরিজে চার ম্যাচে এটি গিলের চতুর্থ সেঞ্চুরি। টেস্টে অধিনায়ক হিসেবে এক সিরিজে সবচেয়ে বেশি সেঞ্চুরির রেকর্ড এটিই।
অধিনায়কদের এই রেকর্ডে গিল পাশে বসেছেন দুই কিংবদন্তির। তাঁদের একজন সর্বকালের সেরা ব্যাটসম্যান স্যার ডন ব্র্যাডম্যান। ১৯৪৭-৪৮ মৌসুমে ভারত সফরে পাঁচ ম্যাচের ছয় ইনিংসে চারটি সেঞ্চুরি করেছিলেন স্যার ডন।
পরের নামটা সুনীল গাভাস্কার। টেস্ট ইতিহাসে প্রথম ব্যাটসম্যান হিসেবে ১০ হাজার রান করার কীর্তি গড়া ব্যাটসম্যান ১৯৭৮-৭৯ মৌসুমে ঘরের মাঠে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ছয় ম্যাচে নয়বার ব্যাট করে চারটি সেঞ্চুরি করেছিলেন।
গাভাস্কারের ৪৭ বছর পর সেই কীর্তি ছোঁয়া গিলের সামনে ব্র্যাডম্যান-গাভাস্কারকে ছাড়িয়ে যাওয়া সুযোগ। ওভালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের শেষ টেস্টে আরেকটি সেঞ্চুরি পেলেই যে হয়ে যায়। সিরিজের প্রথম চার টেস্টের আটবার ব্যাট করা গিল তাহলে ছুঁয়ে ফেলবেন আরেকটি বিশ্ব রেকর্ডও।
টেস্টে এক সিরিজে সবচেয়ে বেশি সেঞ্চুরির রেকর্ডটায় ১৯৫৫ সাল থেকেই নিঃসঙ্গ ক্লাইড ওয়ালকট। ওয়েস্ট ইন্ডিজের কিংবদন্তি থ্রি ডব্লুর একজন ওয়ালকট ১৯৫৫ সালে ঘরের মাঠে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে পাঁচ ম্যাচে ১০ বার ব্যাট করে পেয়ে যান ৫টি সেঞ্চুরি।
গিলকে হাতছানি দিচ্ছে আরও বড় দুটি রেকর্ডও। টেস্টে এক সিরিজে অধিনায়ক হিসেবে সবচেয়ে বেশি রান ও এক সিরিজে ভারতের হয়ে সবচেয়ে বেশি রান করার রেকর্ড।
আরও পড়ুনভারত–পাকিস্তান দ্বিপক্ষীয় সিরিজে খেলে না, তাহলে টুর্নামেন্টে কেন—প্রশ্ন আজহারউদ্দিনের৫ ঘণ্টা আগেক্রিস ওকসের করা বলটাকে পয়েন্টের দিকে ঠেলে গিল যখন সেঞ্চুরির রেকর্ড গড়লেন সে সময়ে এই সিরিজে তাঁর রান ৭১৯। এরপর আরও ৩ রান যোগ করে আর্চারের বলে উইকেটকিপার জেমি স্মিথকে ক্যাচ দিয়েছেন গিল। এক সিরিজে অধিনায়ক হিসেবে সবচেয়ে বেশি রানের রেকর্ড থেকে তখন ৮৮ রানে পিছিয়ে ছিলেন গিল। ১৯৩৬-৩৭ মৌসুমে ঘরের মাঠে অ্যাশেজে অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক করেছিলেন ৮১০ রান।
লোকেশ রাহুলকে নিয়ে তৃতীয় উইকেটে ১৮৮ রান যোগ করেছেন শুবমান গিল.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ব য টসম য ন র র র কর ড এক স র জ প রথম সবচ য়
এছাড়াও পড়ুন:
সংগীতশিল্পী দীপ মারা গেছেন
রাস্টফ ব্যান্ডের ভোকাল আহরার মাসুদ মারা গেছেন। সেমাবার (১৫ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাতে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। ভক্তদের কাছে দীপ নামে পরিচিত ছিলেন আহরার মাসুদ।
মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) সকাল ৮টায় ব্যান্ডের অফিশিয়াল ফেসবুক পেজে এ তথ্য জানানো হয়। তবে এ শিল্পীর মৃত্যুর কারণ সম্পর্কে কিছু জানা যায়নি।
আরো পড়ুন:
৫০ শয্যার থানচি হাসপাতাল চলছে একজন চিকিৎসকে
সিজেএফবি পারফরম্যান্স অ্যাওয়ার্ড ঘোষণা
রাস্টফ ব্যান্ডের ফেসবুক পেজে দীপের মৃত্যুর খবর জানিয়ে লেখা হয়, “এমন এক বেদনাদায়ক মুহূর্তে সঠিক শব্দ খুঁজে পাওয়া বা কোনো শব্দ খুঁজে পাওয়া—প্রায় অসম্ভব। প্রিয় ভোকালিস্ট, বন্ধু ও সহযাত্রী আহারার ‘দীপ’ মাসুদের মৃত্যুসংবাদ আমাদের স্তম্ভিত করেছে। আমরা শোকে ভেঙে পড়েছি, এখনো অবিশ্বাসের ভেতর ডুবে আছি। গত রাতেই তিনি আমাদের ছেড়ে চিরবিদায় নিয়েছেন।”
দীপের শূন্যতা ব্যাখ্যা করে লেখা হয়, “তার পরিবার, বন্ধু ও প্রিয়জনদের প্রতি আমাদের অন্তরের সমবেদনা ও প্রার্থনা। আপনাদের মতো আমরাও এই অপূরণীয় ক্ষতি বোঝার চেষ্টা করছি, চেষ্টা করছি দীপের অসাধারণ প্রতিভাকে সম্মান জানাতে এবং তার চেয়েও বড় কথা—মানুষ হিসেবে তিনি আমাদের কাছে যে অমূল্য ছিলেন, তাকে স্মরণ করতে। এই কঠিন সময়ে সবার কাছে অনুরোধ, দয়া করে পরিবার ও কাছের মানুষদের ব্যক্তিগত পরিসরকে সম্মান করুন এবং তার আত্মার শান্তির জন্য প্রার্থনা করুন। শান্তিতে ঘুমাও, দীপ। তোমার শূন্যতা চিরকাল বেদনাময় হয়ে থাকবে।”
তরুণদের কাছে জনপ্রিয় আরেকটি ব্যান্ড পাওয়ারসার্চও দীপের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছে। ব্যান্ডের অফিশিয়াল ফেসবুক পেজে লেখা হয়েছে, “স্মরণ করছি আহরার মাসুদ দীপকে। কিছুক্ষণ আগে আমরা হারিয়েছি আমাদের প্রিয় ভাই, ঘনিষ্ঠ বন্ধু এবং এক সত্যিকারের শিল্পীকে। এক্লিপস, কার্ল, ক্যালিপসো ও সবশেষ রাস্টফ ব্যান্ডের অবিস্মরণীয় কণ্ঠ আহরার মাসুদ দীপ আমাদের মাঝে আর নেই। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন।”
পাওয়ারসার্চ আরো লেখেন, “আহরার মাসুদ দীপ শুধু একজন ভোকালিস্টই ছিলেন না, তিনি ছিলেন শক্তি, সৃজনশীলতা আর আবেগের প্রতীক, যিনি তার চারপাশের সবাইকে অনুপ্রাণিত করেছেন; একই সাথে তার অত্যন্ত নমনীয় ব্যবহার, যা সবাইকে তাঁর শুভাকাঙ্ক্ষীই করে ফেলত! শান্তিতে থাকো ভাই, তুমি সব সময় আমাদের গল্পের অংশ হয়ে থাকবে।”
ঢাকা/শান্ত