ইংল্যান্ডের বিপক্ষে চলমান সিরিজে চতুর্থ সেঞ্চুরি পেয়ে গেছেন গিল। অধিনায়ক হিসেবে টেস্টে এক সিরিজে যা রেকর্ড।

ভারতের টেস্ট অধিনায়ক হিসেবে প্রথম সিরিজটা ইংল্যান্ডেই খেলছেন শুবমান গিল। আর অধিনায়কত্বের অভিষেকেই বড় এক বিশ্ব রেকর্ড ছুঁয়ে ফেললেন ভারতীয় ব্যাটসম্যান। ওল্ড ট্রাফোর্ডে আজ ভারতের দ্বিতীয় ইনিংসে সেঞ্চুরি করেই রেকর্ডটা ছুঁয়েছেন গিল। এবারের সিরিজে চার ম্যাচে এটি গিলের চতুর্থ সেঞ্চুরি। টেস্টে অধিনায়ক হিসেবে এক সিরিজে সবচেয়ে বেশি সেঞ্চুরির রেকর্ড এটিই।

অধিনায়কদের এই রেকর্ডে গিল পাশে বসেছেন দুই কিংবদন্তির। তাঁদের একজন সর্বকালের সেরা ব্যাটসম্যান স্যার ডন ব্র্যাডম্যান। ১৯৪৭-৪৮ মৌসুমে ভারত সফরে পাঁচ ম্যাচের ছয় ইনিংসে চারটি সেঞ্চুরি করেছিলেন স্যার ডন।

পরের নামটা সুনীল গাভাস্কার। টেস্ট ইতিহাসে প্রথম ব্যাটসম্যান হিসেবে ১০ হাজার রান করার কীর্তি গড়া ব্যাটসম্যান ১৯৭৮-৭৯ মৌসুমে ঘরের মাঠে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ছয় ম্যাচে নয়বার ব্যাট করে চারটি সেঞ্চুরি করেছিলেন।

গাভাস্কারের ৪৭ বছর পর সেই কীর্তি ছোঁয়া গিলের সামনে ব্র্যাডম্যান-গাভাস্কারকে ছাড়িয়ে যাওয়া সুযোগ। ওভালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের শেষ টেস্টে আরেকটি সেঞ্চুরি পেলেই যে হয়ে যায়। সিরিজের প্রথম চার টেস্টের আটবার ব্যাট করা গিল তাহলে ছুঁয়ে ফেলবেন আরেকটি বিশ্ব রেকর্ডও।

টেস্টে এক সিরিজে সবচেয়ে বেশি সেঞ্চুরির রেকর্ডটায় ১৯৫৫ সাল থেকেই নিঃসঙ্গ ক্লাইড ওয়ালকট। ওয়েস্ট ইন্ডিজের কিংবদন্তি থ্রি ডব্লুর একজন ওয়ালকট ১৯৫৫ সালে ঘরের মাঠে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে পাঁচ ম্যাচে ১০ বার ব্যাট করে পেয়ে যান ৫টি সেঞ্চুরি।

গিলকে হাতছানি দিচ্ছে আরও বড় দুটি রেকর্ডও। টেস্টে এক সিরিজে অধিনায়ক হিসেবে সবচেয়ে বেশি রান ও এক সিরিজে ভারতের হয়ে সবচেয়ে বেশি রান করার রেকর্ড।

আরও পড়ুনভারত–পাকিস্তান দ্বিপক্ষীয় সিরিজে খেলে না, তাহলে টুর্নামেন্টে কেন—প্রশ্ন আজহারউদ্দিনের৫ ঘণ্টা আগে

ক্রিস ওকসের করা বলটাকে পয়েন্টের দিকে ঠেলে গিল যখন সেঞ্চুরির রেকর্ড গড়লেন সে সময়ে এই সিরিজে তাঁর রান ৭১৯। এরপর আরও ৩ রান যোগ করে আর্চারের বলে উইকেটকিপার জেমি স্মিথকে ক্যাচ দিয়েছেন গিল। এক সিরিজে অধিনায়ক হিসেবে সবচেয়ে বেশি রানের রেকর্ড থেকে তখন ৮৮ রানে পিছিয়ে ছিলেন গিল। ১৯৩৬-৩৭ মৌসুমে ঘরের মাঠে অ্যাশেজে অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক করেছিলেন ৮১০ রান।

লোকেশ রাহুলকে নিয়ে তৃতীয় উইকেটে ১৮৮ রান যোগ করেছেন শুবমান গিল.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ব য টসম য ন র র র কর ড এক স র জ প রথম সবচ য়

এছাড়াও পড়ুন:

দুই মিনিটের বিতর্কিত দৃশ্য দিয়ে আলোচনায়, পরে বলিউডকে বিদায় জানান সেই অভিনেত্রী

বলিউডের ইতিহাসে এমন অনেক অভিনেত্রী আছেন, যাঁরা শূন্য থেকে শুরু করে রাতারাতি পরিচিতি পেয়েছেন; পরে আবার হঠাৎই হারিয়ে গেছেন। কিমি কাতকার তেমনই একজন। ১৯৮০-এর দশকে বলিউডে তিনি ছিলেন আলোচিত ও সাহসী অভিনেত্রীদের একজন।

কিমির উত্থান
আশির দশকটি বলিউডে সৃজনশীল ও পরিবর্তনের সময় ছিল, যেখানে অনেক প্রতিভাবান অভিনেতা-অভিনেত্রী তাঁদের ছাপ ফেলেছেন। কিমি ছিলেন সেই সময়ের অন্যতম উদীয়মান নায়িকা। পর্দায় সাহসী দৃশ্যের জন্য তিনি ব্যাপক পরিচিতি পান। যদিও তাঁর চলচ্চিত্র ক্যারিয়ার ছিল খুবই সংক্ষিপ্ত; কিন্তু এর মধ্যেই ব্যাপক আলোচনার জন্ম দেন।

মুম্বাইতে জন্ম নেওয়া কিমি ক্যারিয়ার শুরু করেছিলেন মডেল হিসেবে, পরে তিনি চলচ্চিত্রে প্রবেশ করেন। ১৯৮৫ সালে ‘অ্যাডভেঞ্চার অব টারজান’ দিয়ে আলোচিত হন তিনি। সিনেমার সাফল্য তাঁকে রাতারাতি জনপ্রিয় করে তোলে। হেমন্ত বীরজের সঙ্গে জুটি বেঁধে তিনি দর্শকদের মন মাতিয়ে দেন। তবে এ ছবিতেই একটি নগ্ন দৃশ্যে অভিনয় করে রাতারাতি আলোচনায় আসেন। দৃশ্যটি নিয়ে এক সাক্ষাৎকারে অভিনেত্রী বলেছিলেন, ‘সেই সময় আমি জানতাম না এই দৃশ্য কতটা বিতর্কিত হবে। কিন্তু অভিনয় আমার জন্য সব সময় ছিল সত্যিই একটি চ্যালেঞ্জ।’ এরপর ১৯৮০-এর দশকের শেষের দিকে অমিতাভ বচ্চন, অনিল কাপুর, গোবিন্দ ও আদিত্য পঞ্চোলির সঙ্গেও সিনেমা করেন তিনি। তাঁর নাচ ও অভিনয়ের দক্ষতা দর্শকদের কাছে তাঁকে প্রিয় করে তোলে।

‘অ্যাডভেঞ্চার অব টারজান’-এ কিমি কাতকার। আইএমডিবি

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • দুই মিনিটের বিতর্কিত দৃশ্য দিয়ে আলোচনায়, পরে বলিউডকে বিদায় জানান সেই অভিনেত্রী
  • ‘সাংস্কৃতিক জাগরণেই মুক্তি’
  • যদি ঠিক পথে থাকো, সময় তোমার পক্ষে কাজ করবে: এফ আর খান
  • বিবাহবিচ্ছেদ ও খোরপোষ নিয়ে ক্ষুদ্ধ মাহি
  • ফতুল্লায় দুই ট্রাকের মাঝে পড়ে যুবকের মৃত্যু
  • ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় দুই পক্ষের সংঘর্ষে ২০ মামলার আসামি নিহত, গুলিবিদ্ধ ৩
  • নামতে গেলেই চালক বাস টান দিচ্ছিলেন, পরে লাফিয়ে নামেন
  • তানজানিয়ার বিতর্কিত প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ফের বিজয়ী সামিয়া
  • আমার স্ত্রী খ্রিষ্টধর্ম গ্রহণ করছেন না: জেডি ভ্যান্স
  • নির্বাচন সামনে রেখে সরকারের ৩১ বিভাগকে প্রস্তুতির নির্দেশ ইসির