অয়ন মুখার্জি নির্মাণ করছেন ‘ওয়ার টু’ সিনেমা। এর প্রধান চরিত্রে অভিনয় করছেন হৃতিক রোশান, জুনিয়র এনটিআর ও কিয়ারা আদভানি। আগামী ১৪ আগস্ট প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাবে পাবে সিনেমাটি।
কয়েক দিন আগে মুক্তি পেয়েছে ‘ওয়ার টু’ সিনেমার ট্রেইলার। ২ মিনিট ৩৬ সেকেন্ড দৈর্ঘ্যের ট্রেইলারে ধুন্ধুমার অ্যাকশন লুকে ধরা দিয়েছেন হৃতিক-জুনিয়র এনটিআর। কিয়ারা আদভানিও মারমুখী ভূমিকায় হাজির হয়েছেন। তবে হৃতিকের সঙ্গে রোমান্সে মেতে উঠতেও দেখা গেছে এই নায়িকাকে। ট্রেইলারে হৃতিক-কিয়ারার একটি চুম্বন দৃশ্য বিশেষভাবে নজর কেড়েছে।
এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ইউটিউবে প্রকাশিত ট্রেইলারে প্রায় ৩৪ হাজার মন্তব্য পড়েছে। অ্যাকশন লুক দেখে নেটিজেনরা ভূয়সী প্রশংসা করছেন। আলোচনা চলছে হৃতিক-কিয়ারার চুম্বন দৃশ্য নিয়েও। হৃতিকের চেয়ে ১৮ বছরের ছোট কিয়ারা। ফলে, এ জুটির চুম্বন আলোচনার খোরাক হয়েছে।
আরো পড়ুন:
রাকেশ রোশান হাসপাতালে
কৃষ ফোর: হৃতিকের সঙ্গী প্রীতি, প্রিয়াঙ্কা, নোরা?
হৃতিক-কিয়ারার চুম্বন দৃশ্য ও বয়সের ব্যবধান নিয়ে দুটো শিবিরে বিভক্ত নেটিজেনরা। একজন লেখেন, “হৃতিক-কিয়ারার মধ্যে আক্ষরিক অর্থেই ১৮ বছর বয়সের ব্যবধান।” অন্য একজন লেখেন, “এটি অপ্রয়োজনীয় বিষয়। ৩৩ বছর বয়েসি একজন নারী কোনো বাচ্চা নয়। ২০ বছর বয়েসি একজন নারীর সঙ্গে ৫০-৬০ বছর বয়েসি একজন পুরুষের জুটি বাঁধাটা ভয়ংকর। তবে ৩০ বছর বয়েসিরা সম্পূর্ণ পরিণত নারী, ৩৩ বছর বয়েসি একজন নারী ও ৫১ বছর বয়েসি একজন মহিলার মধ্যে বাস্তবিক বয়েসের পার্থক্য নিয়ে মাথা ঘামানোটা বাড়াবাড়ি।” এমন অসংখ্য মন্তব্য ভেসে বেড়াচ্ছে কমেন্ট বক্সে।
২০১৯ সালে মুক্তি পায় ‘ওয়ার’ সিনেমা। এটি পরিচালনা করেন সিদ্ধার্থ আনন্দ। সিনেমাটি বক্স অফিসে দারুণ সাড়া ফেলেছিল। তারই ধারাবাহিকতায় নির্মিত হচ্ছে সিনেমাটির সিক্যুয়েল। এবার দ্বিতীয় পার্ট পরিচালনা করছেন অয়ন মুখার্জি। প্রথম পার্টে বাণী কাপুর অভিনয় করলেও তার স্থলাভিষিক্ত হয়েছেন কিয়ারা। প্রথম পার্টের বাজেট ১৭৫ কোটি রুপি ছিল, দ্বিতীয় পার্টে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪০০ কোটি রুপি।
ঢাকা/শান্ত
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর হ ত ক র শন চলচ চ ত র চ ম বন দ শ য র চ ম বন করছ ন
এছাড়াও পড়ুন:
লাইলীকে বিশ্ব দরবারে নিয়ে যেতে চান আনোয়ার
বরগুনার বিষখালী নদীর পাড়ে বেড়ে উঠেছেন লাইলী বেগম। বাবার মৃত্যুর পর ভাইয়েরা অসুস্থ মায়ের দায়িত্ব নিতে অস্বীকৃতি জানান, তখন কন্যা হয়েও লাইলী সেই দায়িত্ব কাঁধে তুলে নেন। অভাব, ক্ষুধা আর সমাজের অবহেলা তার নিত্যসঙ্গী হয়। তারপরও থেমে যাননি লাইলী।
জীবনের চাকা ঘুরাতে, মাছ ধরা থেকে বর্গাচাষ—সবই করেছেন লাইলী। গত ২১ বছর ধরে নদী ও সাগরে মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করছেন। বরগুনা জেলার সরকারিভাবে নিবন্ধিত একমাত্র নারী জেলে তিনি। এই লাইলীকে নিয়ে নির্মিত হয়েছে প্রামাণ্যচিত্র ‘উত্তরের বৈঠা’। এটি নির্মাণ করেছেন আনোয়ার হোসেন।
পরিচালক আনোয়ার হোসেন
আরো পড়ুন:
জসীমের কবরে রাতুলকে সমাহিত করে দুই ভাইয়ের আবেগঘন পোস্ট
নীনার অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার খবরে কী বলেছিলেন ক্রিকেটার ভিভ?
এ নিয়ে রাইজিংবিডির সঙ্গে কথা বলেন পরিচালক আনোয়ার হোসেন। তরুণ এই নির্মাতা বলেন, “এই চলচ্চিত্র শুধু একজন নারী জেলের গল্প নয়, এটি একজন মানুষের বেঁচে থাকার অদম্য চেষ্টা, একাকিত্বে গড়ে ওঠা সাহসিকতার প্রতিচ্ছবি। লাইলী বেগম যখন নদীতে জাল ছুঁড়ে দেন, সেই মুহূর্তে তিনি শুধু মাছ খোঁজেন না—তিনি খুঁজে ফেরেন নিজের অবস্থান, নিজের সম্মান, আর অস্তিত্বের উত্তর।”
লাইলীর চোখ দিয়ে বাস্তবতা দেখাতে চেয়েছেন নির্মাতা। তার ভাষায়, “এই ফিল্মে আমি কোনো কৃত্রিম কণ্ঠ বা নাটকীয় ভাষা ব্যবহার করিনি। কারণ আমি চেয়েছি দর্শক যেন লাইলীর চোখ দিয়েই এই বাস্তবতা দেখেন। তার নীরবতা, তার কথাবার্তা, তার দৃষ্টি—সবই যেন একেকটি দৃশ্যপট হয়ে ওঠে। একজন নির্মাতা হিসেবে আমার দায়িত্ব ছিল শুধু একটি ফ্রেম তৈরি করে দেওয়া, বাকিটা বলে গেছেন লাইলী নিজেই—তার জীবনযাত্রা, নদী এবং অব্যক্ত যন্ত্রণা দিয়ে।”
‘লাইলী’-কে বিশ্ব দরবারে নিয়ে যেতে চান পরিচালক। তা জানিয়ে আনোয়ার হোসেন বলেন, “এই ফিল্মটি তাদের জন্য, যারা নিঃশব্দে লড়াই করেন এবং যারা কখনো আলোয় আসেন না। এখানে আমি সংক্ষিপ্ত আকারে প্রামাণ্য চিত্রটি তৈরি করেছি, পূর্ণদৈর্ঘ্য আকারে তৈরি করার প্রস্তুতি চলছে। আপনাদের সহযোগিতা ও আগ্রহ আমাকে অনুপ্রাণিত করবে। এই জীবন সংগ্রামের কথা বিশ্ব দরবারে নিয়ে যেতে চাই।”
সমাজের বাঁকা চোখ উপেক্ষা করে লাইলী প্রমাণ করেছেন, নারীর স্থান কেবল ঘরে নয়, সাহস আর সংগ্রামেও। লাইলী কেবল একজন নারী জেলে নন, এক অনুপ্রেরণার নাম। নারী চাইলে সব পারে—লাইলী তা নিঃশব্দে প্রমাণ করেছেন বলেও মনে করেন নির্মাতা।
ঢাকা/শান্ত