চট্টগ্রামে ডেঙ্গুতে একজনের মৃত্যু, নতুন আক্রান্ত ১৮
Published: 27th, July 2025 GMT
চট্টগ্রামে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে শেষ ২৪ ঘণ্টায় আরও একজন মারা গেছেন। একই সময়ে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ১৮ জন। আজ রোববার সন্ধ্যায় সিভিল সার্জন কার্যালয় থেকে পাঠানো ২৪ ঘণ্টার প্রতিবেদনে এই তথ্য নিশ্চিত করা হয়।
মারা যাওয়া ব্যক্তির নাম শিবুচরণ ভৌমিক (৭৪)। তিনি হাটহাজারীর বাসিন্দা। ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হওয়ার পর তাঁকে গতকাল শনিবার এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে গতকাল চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়। এ নিয়ে মৃত্যু হলো আটজনের। এখন পর্যন্ত মোট আক্রান্ত হয়েছেন ৮১১ জন। চলতি মাসে মৃত্যু হয়েছে ছয়জনের।
সবশেষ ২৪ ঘণ্টায় চিকুনগুনিয়ায় আক্রান্ত হয়েছেন ২২ জন। এ নিয়ে এ বছর চিকুনগুনিয়ায় মোট আক্রান্ত হলেন ৭৬৪ জন। এদিকে ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়া পরীক্ষায় নির্ধারিত ফির বেশি নেওয়ার অভিযোগে নগরের ২০টি রোগ নির্ণয়কেন্দ্র ও হাসপাতালকে সিভিল সার্জন কার্যালয়ে তলব করা হয়েছে। আগামীকাল সোমবার তাদের সিভিল সার্জন কার্যালয়ে উপস্থিত হয়ে এ বিষয়ে ব্যাখ্যা দেওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়। সিভিল সার্জন জাহাঙ্গীর আলম স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: স ভ ল স র জন
এছাড়াও পড়ুন:
নিউ ইয়র্কে নিহত বাংলাদেশি পুলিশ কর্মকর্তা সম্পর্কে যা জানা গেলো
যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্কের সেন্ট্রাল ম্যানহাটনে একটি বহুতল অফিসে বন্দুক হামলায় নিহত হয়েছেন নিউ ইয়র্ক পুলিশের কর্মকর্তা দিদারুল ইসলাম (৩৬)। জানা গেছে, তিনি বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত অভিবাসী ছিলেন। খবর রয়টার্সের।
নিহত কর্মকর্তা দিদরুল ইসলামকে একজন ‘বীর বাংলাদেশি অভিবাসী’ হিসেবে উল্লেখ বর্ণনা করেছেন নিউ ইয়র্কের মেয়র এবং নিউ ইয়র্কের পুলিশ কমিশনার। তারা বলেছেন, ওই কর্মকর্তা নিজের জীবন ঝুঁকিতে ফেলে অন্যদের জীবন রক্ষা করেছিলেন।
সোমবার ম্যানহাটনের মিডটাউন অফিস টাওয়ারের ভেতরে এক বন্দুকধারী হামলা চালিয়ে পুলিশ কর্মকর্তা দিদারুল ইসলাম (৩৬) সহ চারজনকে হত্যা করে। হামলাকারী পরবর্তীতে আত্মহত্যা করেছে বলে পুলিশ কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
আরো পড়ুন:
পুতিনকে এবার ১২ দিনের আল্টিমেটাম দিলেন ট্রাম্প
নিউ ইয়র্কে বন্দুকধারীর গুলিতে নিহত ৪
নিউ ইয়র্কের মেয়র এরিক অ্যাডামস এক প্রেস ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের বলেন, “ভয়াবহ একটি বন্দুক সহিংসতার ঘটনায় আমরা চারটি প্রাণ হারিয়েছি, যার মধ্যে নিউ ইয়র্ক সিটি পুলিশ বিভাগের একজন সদস্য ‘অফিসার ইসলাম’ রয়েছেন।
অ্যাডামস জানান, নিহত অফিসার তিন বছরেরও বেশি সময় ধরে নিউ ইয়র্ক পুলিশে কর্মরত ছিলেন এবং তিনি বাংলাদেশ থেকে আসা একজন অভিবাসী।
মেয়র বলেন, “হামলার সময় অফিসার ইসলাম অন্যদের জীবন রক্ষা করছিলেন, তিনি নিউ ইয়র্কবাসীদের রক্ষা করছিলেন। তিনি এই শহরকে ভালোবাসতেন এবং আমরা যাদের সাথে কথা বলেছি তারা সবাই বলেছেন যে, তিনি একজন সৎ মানুষ ও ঈশ্বরে বিশ্বাসী ব্যক্তি ছিলেন।”
মেয়র আরো জানিয়েছেন, সোমবার রাতে তিনি অফিসর ইসলামের পরিবারের সঙ্গে দেখা করেছেন।
মেয়র আরো বলেন, “আমি তাদেরকে বলেছি, অফিসার ইসলাম একজন একজন বীর এবং আমরা তার ত্যাগের প্রশংসা করি।”
নিউ ইয়র্কের পুলিশ কমিশনার জেসিকা টিশ সংবাদ সম্মেলনে জানান, অফিসার ইসলাম বিবাহিত ছিলেন এবং তার দুটি সন্তান ছিল। তার স্ত্রী তৃতীয় সন্তানের মা হতে চলেছেন।
পুলিশ কমিশনার বলেন, “অফিসার ইসলাম নিজেকে ঝুঁকির মুখে ফেলেছিলেন। তিনি চূড়ান্ত ত্যাগ স্বীকার করেছিলেন, তাকে ঠান্ডা মাথায় গুলি করে হত্যা করা হয়েছিল।”
ঢাকা/ফিরোজ