জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মচারীদের ১৬৭ সন্তানকে পোষ্য শিক্ষাবৃত্তি প্রদান
Published: 27th, July 2025 GMT
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মচারীদের সন্তানদের শিক্ষাসহায়তা প্রদানের অংশ হিসেবে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবছর পোষ্য শিক্ষাবৃত্তি প্রদান করে। ২০২৪–২৫ অর্থবছরে এ শিক্ষাবৃত্তির জন্য ১১তম থেকে ২০তম গ্রেডের কর্মচারীদের ২৩০ জন আবেদন করেন। প্রয়োজনীয় শর্ত পূরণ করায় তাঁদের মধ্য থেকে ১৬৭ জনকে শিক্ষাবৃত্তি প্রদান করা হয়।
আজ রোববার দুপুর ১২টায় জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে উপাচার্যের সভাকক্ষে পোষ্য শিক্ষাবৃত্তির জন্য মনোনীত শিক্ষার্থীদের হাতে বৃত্তির অর্থের চেক হস্তান্তর করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য এ এস এম আমানুল্লাহ। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ–উপাচার্য মো.
বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানায়, এ বছর চার ক্যাটাগরিতে ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণিতে অধ্যয়নরত ১১৫ শিক্ষার্থী ৯ হাজার টাকা। একাদশ থেকে দ্বাদশ শ্রেণি ও সমমানের ৩০ শিক্ষার্থী ১২ হাজার টাকা, ডিগ্রি, স্নাতক (সম্মান), স্নাতকোত্তর, মেডিকেল ও প্রকৌশল সমমানের ২১ শিক্ষার্থী ১৫ হাজার টাকা এবং বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন ১ জনকে বাৎসরিক ২০ হাজার টাকা প্রদান করা হয়েছে।
উপাচার্য এ এস এম আমানুল্লাহ বলেন, দৈনন্দিন জীবনযাপনের খরচ বাড়ায় আগামী অর্থবছর থেকে পোষ্য শিক্ষাবৃত্তির অর্থের পরিমাণ বাড়ানো হবে।
আরও পড়ুনজার্মানিতে ফুল ফান্ডেড স্কলারশিপ: বিশ্বসেরা গবেষণাপ্রতিষ্ঠানে কাজের সুযোগ১২ ঘণ্টা আগেউৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: উপ চ র য
এছাড়াও পড়ুন:
সরকারি কর্মসম্পাদন পরিবীক্ষণ পদ্ধতি বাস্তবায়নে কমিটি
সরকারি কর্মসম্পাদন পরিবীক্ষণ পদ্ধতি (গভর্নেন্স পারফরমেন্স মনিটরিং সিস্টেম- জিপিএমএস)’ বাস্তবায়নে অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদকে সভাপতি করে তিন সদস্যের উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি’ গঠন করেছে সরকার।
সম্প্রতি এই কমিটি গঠন করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
কমিটিতে বাকি দুই সদস্য হলেন, পরিকল্পনা উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ ও খাদ্য উপদেষ্টা আলী ইমাম মজুমদার।
অন্তর্বর্তী সরকারের সংস্কার কার্যক্রমের অংশ হিসেবে সরকারি কাজের জবাবদিহিতা, দক্ষতা ও জনকল্যাণ নিশ্চিতে প্রশাসনের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কাজের মূল্যায়নের নতুন পদ্ধতি চালু হয়েছে। বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তির (এপিএ) পরিবর্তে নতুন সরকারি কর্মসম্পাদন পরিবীক্ষণ পদ্ধতি (জিপিএমএস) চালু করা হয়েছে। এই জিপিএমএস বাস্তবায়নে উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি’ গঠন করা হয়েছে।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব, প্রধান উপদেষ্টার মুখ্য সচিব বা প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের সচিব, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সচিব, অর্থ সচিব, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব (সমন্বয় ও সংস্কার), বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগের সচিব, সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় বা বিভাগের সচিব কমিটিকে সহায়তা করবেন। তাছাড়া, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ এ কমিটিকে সাচিবিক সহায়তা দেবে।
এ কমিটি জিপিএমএস বাস্তবায়নের বিষয়ে সার্বিক দিক-নির্দেশনা দেবে। মন্ত্রণালয় বা বিভাগের জিপিএমএসে সেকশন ১-এর আওতায় প্রস্তুত করা পরিকল্পনা অনুমোদন দেবে এবং অর্থবছর শুরুর আগে মন্ত্রণালয় বা বিভাগের জিপিএমএস পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে চূড়ান্ত করবে এ কমিটি।
এছাড়া, প্রতি অর্থবছর শেষে মন্ত্রণালয় বা বিভাগের জিপিএমএসের সার্বিক মূল্যায়ন পর্যালোচনা করে সুপারিশ দেবে। জিপিএমএস বিষয়ে সরকারের দেওয়া অন্য যেকোনো দায়িত্ব পালন করবে বলে প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়েছে।
ঢাকা/নঈমুদ্দীন/ইভা