গংগাচড়ায় হিন্দু পাড়ায় হামলা: গ্রেপ্তার ৫ জন আদালতে
Published: 30th, July 2025 GMT
রংপুরের গংগাচড়ার আলদাদপুর বালাপাড়া গ্রামের হিন্দুদের বাড়িঘরে হামলার ঘটনায় গ্রেপ্তার ৫ জনকে আদালতে নেওয়া হয়েছে।
বুধবার (৩০ জুলাই) দুপুর ২টার দিকে তাদের রংপুরের আদালতে নেওয়া হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রংপুর আদালতের ইন্সপেক্টর আমিনুল ইসলাম।
মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) রাতে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করে যৌথবাহিনী।
আরো পড়ুন:
গংগাচড়ায় হিন্দু পাড়ায় হামলার ঘটনায় গ্রেপ্তার ৫
রাউজানে বিএনপি নেতা গোলাম আকবরের গাড়িবহরে হামলা, আহত ২০
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলার মাগুরা ইউনিয়নের সিংগেরগাড়ি মাঝাপাড়ার লাভলু মিয়ার ছেলে মো.
শনিবার বিকেলের দিকে হঠাৎ করেই এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে, গ্রামের ১৭ বছরের এক কিশোর ফেইসবুকে মহানবীকে নিয়ে কটূক্তি করেছেন। এরপর ওই গ্রামের হিন্দুদের বাড়িতে হামলা চালায় অজ্ঞাতনামারা।
হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত হয় কয়েকটি বাড়ি। এ ঘটনায় মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) বিকেলে শ্রী রবীন্দ্রনাথ রায় (৫৫) বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা ১০০০-১২০০ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। সেই মামলায় এই পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
ঢাকা/আমিরুল/মাসুদ
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
পুরুষ জলহস্তী কেন নিজের ছেলেশিশুকে মেরে ফেলে?
মানুষের মতো পশুদেরও সমাজ আছে। তাদেরও সামাজিক, পারিবারিক এবং দলগত আলাদা আলাদা রীতি আছে। দলে বা সমাজে সবচেয়ে ক্ষমতাধর হওয়ার জন্য পশুরাও রক্তক্ষয়ী যুদ্ধে অংশ নেয়। এমনকি ক্ষমতা টিকিয়ে রাখার জন্য নিজের সন্তানকে মেরে ফেলতেও দ্বিধা করে না। বিশেষ করে জলহস্তী সমাজে এই রীতি রয়েছে। জলহস্তীদের সমাজ পুরুষতান্ত্রিক। অর্থাৎ বাবার পরে ছেলে পরিবারে ক্ষমতাপ্রাপ্ত হয়। তবে পরম্পরায় নয় বরং একজন আরেকজনকে মেরে ক্ষমতা প্রতিষ্ঠা করে থাকে।
জলহস্তী মা যদি ছেলেশিশুকে অনেক কষ্টে লুকিয়ে বড় করে তবে এক সময় সেই সন্তান বড় হয়ে বাবার বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করে। এরপর বাবা আর ছেলের রক্তক্ষয়ী লড়াই শুরু হয়। যার শেষ হয় হয় বাবার মৃত্যু অথবা ছেলের মৃত্যুর মাধ্যমে।
অথবা যে পরাজিত হয় সে দল ত্যাগ করে, পরিবার ত্যাগ করে। পশু সমাজে জলহস্তীদের মধ্যে এই ছেলেশিশু হত্যার প্রবণতা সবচেয়ে প্রকট।
আরো পড়ুন:
বানরের সহযোগিতায় ধর্ষণের হাত থেকে বাঁচলো শিশু
জার্মানিতে বর্বরতার শিকার বাচ্চা মোরগ
ছেলে সন্তান জন্মের পরেই জলহস্তী পরিবারে নেমে আসে অজানা আতঙ্ক। বাবা জলহস্তী নিজ সন্তানকে প্রাণে মেরে ফেলার জন্য সুযোগ খুঁজে বেড়ায়।
জলহস্তীরা সাধারণত এক একটি দলে ভাগ হয়ে থাকে। তাদের প্রত্যেক দলে ৬-১০টি সদস্য থাকে। প্রত্যেক দলে মাত্র একজনই পুরুষ থাকে, বাকিরা নারী। পুরুষটি পুরো দলের ওপর শাসন ক্ষমতা বিস্তার করে। একক শাসক হিসেবে টিকে থাকার জন্যেই ছেলে সন্তানকে মেরে ফেলে।
একটি ছেলেশিশুকে বাঁচিয়ে রাখার জন্য মা জলহস্তীকে অনেক কষ্ট করতে হয়।
gorillatrailsafaris.com – এর তথ্য, ‘‘স্ত্রী জলহস্তীর গর্ভধারণ ৮ মাস স্থায়ী হয়। সন্তান প্রসবের সময় ঘনিয়ে এলেই মা জলহস্তী দল থেকে দূরে সরে যায়। সন্তান জন্ম না দেওয়া পর্যন্ত দূরে থাকে। যেকোনো ধরণের হুমকি থেকে নিজেকে বাঁচানোর জন্য শিশু জলহস্তী যখন দৌড়াতে শেখে, আত্মরক্ষা করতে শেখে তখন সেই সন্তানকে নিয়ে দলে ফেরে মা জলহস্তী। ’’
ঢাকা/লিপি