ফেনীতে হত্যা মামলায় শেখ হাসিনা, কাদেরসহ ২২১ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল
Published: 31st, July 2025 GMT
ফেনীতে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে মাহবুবুল হাসান হত্যা মামলায় শেখ হাসিনা, ওবায়দুল কাদের, আসাদুজ্জামান খান কামাল, নিজাম উদ্দিন হাজারীসহ আওয়ামী লীগের ২২১ জন নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দিয়েছে পুলিশ। আজ বৃহস্পতিবার এই অভিযোগপত্র দেওয়া হয়েছে। দুপুর ১২টায় নিজ কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানিয়েছেন পুলিশ সুপার হাবিবুর রহমান।
গত বছর ৪ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে গিয়ে গুলিবিদ্ধ হন কলেজছাত্র মাহবুবুল হাসান। তিনি সোনাগাজী উপজেলার চরচান্দিয়া ইউনিয়নের তরাব পাটোয়ারি বাড়ির মৃত নোমান হাসানের ছেলে। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৭ আগস্ট তাঁর মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় ওই বছরের ৪ সেপ্টেম্বর মাহবুবুলের বড় ভাই মোহাম্মদ মাহমুদুল হাসান বাদী হয়ে ১৬২ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা করেন। অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয় আরও ৫০০ জনকে।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ফেনী মডেল থানা-পুলিশের উপপরিদর্শক আলমগীর হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, মামলায় ৩০ জুলাই পর্যন্ত এজাহারনামীয় ১২ জন ও সন্দেহভাজন ৩৯ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে তিন আসামি আদালতে ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় ঘটনার দায় স্বীকার করে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার হাবিবুর রহমান বলেন, মাহবুবুল হাসান হত্যা মামলায় অভিযুক্ত ২২১ আসামির মধ্যে এজাহারভুক্ত, ১৬৪ ধারায় জবানবন্দিতে উঠে আসা নাম ও তদন্তে ঘটনায় সম্পৃক্ত ব্যক্তিরা রয়েছেন।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি) মো.
অভিযোগপত্রে যাঁদের নাম আছে তাঁরা হলেন—ফেনী-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মাসুদ উদ্দিন চৌধুরী, ফেনী সদর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শুসেন চন্দ্র শীল, ফেনী পৌরসভার সাবেক মেয়র ও পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম স্বপন মিয়াজী, ছাগলনাইয়া উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মেজবাউল হায়দার চৌধুরী, দাগনভূঞা উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও জেলা যুবলীগের সভাপতি দিদারুল কবির, পরশুরাম পৌরসভার সাবেক মেয়র ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নিজাম উদ্দিন আহমেদ চৌধুরী, সোনাগাজী উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জহির উদ্দিন মাহমুদ, সোনাগাজী পৌরসভার সাবেক মেয়র ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম, ছাগলনাইয়া পৌরসভার সাবেক মেয়র ও পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ মোস্তফা প্রমুখ।
শহীদ মাহবুবুল হাসানউৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: প রসভ র স ব ক ম ম হব ব ল হ স ন ও উপজ ল ল ইসল ম আওয় ম
এছাড়াও পড়ুন:
রাজশাহীতে আবার চালু হলো নিউজ পোর্টাল ‘পদ্মাটাইমস’
রাজশাহীভিত্তিক অনলাইন নিউজ পোর্টাল ‘পদ্মাটাইমস টোয়েন্টিফোর ডটকম’-এর কার্যক্রম আবার চালু হয়েছে। আজ শুক্রবার সকাল থেকে পোর্টালটি সচল করা হয়।
গত ২১ জুলাই পোর্টালটি সাময়িকভাবে বন্ধ করে দেয় মালিকপক্ষ। তখন পদ্মাটাইমসের সম্পাদক এম বদরুল হাসান অভিযোগ করেছিলেন, জেলা বিএনপির কমিটি নিয়ে একটি সংবাদ প্রকাশের পর মালিকপক্ষের ওপর চাপ সৃষ্টি করা হয়েছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে নিউজ পোর্টালের কার্যক্রম বন্ধ করা হয়েছে। যদিও বিএনপির পক্ষ থেকে এ অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে।
আজ সকালে পোর্টালটির ফেসবুক পেজে সম্পাদক বদরুল হাসানের স্বাক্ষরিত এক বার্তায় জানানো হয়, ‘অত্যন্ত আনন্দের সঙ্গে জানাচ্ছি, অনিবার্য কারণে সাময়িকভাবে বন্ধ থাকা পদ্মাটাইমস টোয়েন্টিফোর ডটকম-এর কার্যক্রম পুনরায় চালুর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। দেশ-বিদেশের সম্মানিত পাঠক, শুভানুধ্যায়ী ও প্রশাসনের পরামর্শ ও সহযোগিতার ভিত্তিতে আমরা এই সিদ্ধান্ত নিয়েছি। সাময়িক বিরতিতে সৃষ্ট অসুবিধার জন্য দুঃখিত এবং সবার ভালোবাসা কামনা করছি।’
এম বদরুল হাসান আজ সকালে বলেন, জেলা বিএনপি-সংক্রান্ত একটি সংবাদের জেরে মালিকপক্ষের ওপর চাপ সৃষ্টি হয়। এমনকি প্রকাশকের বাড়িতে গিয়ে ‘মব’ তৈরি করে হামলার চেষ্টাও করা হয়। বিষয়টি সেনাবাহিনীকেও জানানো হয়েছিল। এরপর মালিকপক্ষ পোর্টালটি বন্ধ করে দেয়। গতকাল বৃহস্পতিবার তাঁরা রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। কমিশনার ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনা না ঘটার আশ্বাস দেন। এতে মালিকপক্ষ আশ্বস্ত হয়ে পোর্টালটি আবার চালু করেছে।
আরও পড়ুনরাজশাহীতে বন্ধ হলো নিউজ পোর্টাল পদ্মাটাইমস, চাপের কথা জানালেন সম্পাদক২১ জুলাই ২০২৫২০১৭ সালের ১ জানুয়ারি যাত্রা শুরু করে পদ্মাটাইমস। ২০২২ সালের ২১ জুলাই এটি সরকার থেকে নিবন্ধন পায়। পোর্টালটির প্রকাশক মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আজিজুল আলম (বেন্টু)। গত বছরের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের দিন তাঁর ওপর হামলা হয়। এর পর থেকে তিনি পলাতক। ২০২২ সালে মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন আজিজুল আলম। পরে তাঁকে সাংগঠনিক সম্পাদক করা হলেও রাজনীতিতে সক্রিয় ছিলেন না।