নওগাঁর ধামইরহাট সীমান্ত দিয়ে ১০ জনকে বাংলাদেশে ঠেলে দিয়েছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। 

বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) ভোরে ধামইরহাট উপজেলার আগ্রাদ্বিগুন সীমান্ত পিলার ২৫৬/৭ এস কাছ দিয়ে বাংলাদেশে ঠেলে দেওয়া হলে বিজিবির সদস্যরা তাদেরকে আটক করেন। তাদের মধ্যে দুজন পুরুষ এবং আটজন নারী। 

বৃহস্পতিবার দুপুরে এসব তথ্য জানিয়েছেন পত্নীতলা ১৪ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ ইকবাল হোসেন।

আরো পড়ুন:

গাংনী সীমান্ত দিয়ে ১৮ জনকে ঠেলে পাঠিয়েছে বিএসএফ

বড়লেখা সীমান্ত দিয়ে ১০ রোহিঙ্গাকে ঠেলে দিয়েছে বিএসএফ

আটকরা হলেন—আছমা বেগম (৪০), খাদিজা বেগম (৩৪), পাখি বেগম (২৪), রুমা বেগম (২৫), কাকলি আক্তার (২৭), রুজিনা আক্তার (৩৩), কোহিনুর বেগম (২৬), নাসরিন বেগম (৩৩), মঞ্জুরুল ইসলাম (৩৬), সুমন হোসেন (২৭)। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, তারা প্রত্যেকেই বাংলাদেশের নাগরিক।

বিজিবি জানিয়েছে, আগ্রাদ্বিগুন বিওপির টহল কমান্ডার জেসিও সুবেদার মো.

জিহাদ আলীর নেতৃত্বে একটি টহল দল সীমান্তের শূন্য লাইন থেকে আনুমানিক এক কিলোমিটার বাংলাদেশের অভ্যন্তরে মহেষপুরে ওই ১০ জনকে ঘোরাঘুরি করতে দেখে আটক করে।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে, তারা বিভিন্ন সময়ে অবৈধভাবে ভারতে যান। মুম্বাই শহরে পুরুষ দুজন রাজমিস্ত্রি হিসেবে এবং নারী আটজন গৃহকর্মী হিসেবে কাজ করতেন। সেখানে তাদেরকে আটক করে ভারতীয় পুলিশ। গত ২৯ জুলাই ভারতের হরিবংশীপুর বিএসএফ ক্যাম্পে তাদেরকে হস্তান্তর করা হয়। বৃহস্পতিবার ভোর রাতে বিএসএফ ওই ১০ জনকে বাংলাদেশে ঠেলে দিলে বিজিবি টহল দল তাদের আটক করে। তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

ঢাকা/সাজু/রফিক

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব এসএফ ১০ জনক ব এসএফ

এছাড়াও পড়ুন:

চোরাচালানে গিয়ে বিএসএফের হাতে আটক, ফিরিয়ে এনে ব্যবস্থা নিচ্ছে বিজিবি

কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলা সীমান্ত দিয়ে ভারতে অনুপ্রবেশ করেছিলেন বাংলাদেশি তিন যুবক। তাঁদের মধ্যে দুজন পালিয়ে গেলেও একজনকে আটক করে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। বিষয়টি জানতে পেরে পতাকা বৈঠক করে বাংলাদেশি ওই যুবককে ফিরিয়ে আনে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। পরে পালিয়ে যাওয়া দুজনসহ আটক যুবকের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিচ্ছে বিজিবি।

মঙ্গলবার বিকেলে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিজিবির কুমিল্লা ব্যাটালিয়নের (১০ বিজিবি) অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মীর আলী এজাজ বিষয়টি জানিয়েছেন। আটক যুবকের নাম মো. নাদের মুন্সি (২৭)। তাঁর বাড়ি চৌদ্দগ্রাম উপজেলার বৈদ্দ্যেরখিল গ্রামে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৯টায় কুমিল্লা ব্যাটালিয়নের (১০ বিজিবি) অধীনে জেলার চৌদ্দগ্রাম বিওপির দায়িত্বপূর্ণ এলাকার সীমান্ত পিলার ২১০৯/১৪-এস থেকে আনুমানিক ১৫০ গজ ভারতের অভ্যন্তরে রাধানগর এলাকা দিয়ে তিনজন বাংলাদেশি নাগরিক চোরাচালানের উদ্দেশ্যে ভারতে যান। এ সময় বিএসএফের সদস্যরা বিষয়টি টের পেয়ে তাঁদের আটকের চেষ্টা করলে দুজন পালিয়ে বাংলাদেশে চলে আসেন। তবে মো. নাদের মুন্সিকে অনুপ্রবেশের দায়ে আটক করা হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, দুপুর ১২টার দিকে কোম্পানি কমান্ডার পর্যায়ে পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে সীমান্ত পিলার ২১০৯/১৪-এসের কাছে আনুমানিক ৫ গজ বাংলাদেশের অভ্যন্তরে বৈদ্দ্যেরখীল এলাকায় বাংলাদেশি নাগরিককে বিজিবির কাছে হস্তান্তর করা হয়।

লেফটেন্যান্ট কর্নেল মীর আলী এজাজ বলেন, পলাতক দুই আসামিসহ আটক বাংলাদেশি নাগরিকের বিরুদ্ধে অনুপ্রবেশের দায়ে চৌদ্দগ্রাম থানায় মামলা প্রক্রিয়াধীন। আটক যুবককে চৌদ্দগ্রাম থানায় হস্তান্তর করা হচ্ছে। সীমান্ত এলাকায় চোরাচালান ও আন্তসীমান্ত অপরাধ প্রতিরোধে বিজিবির অভিযান জোরদার করা হয়েছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • চুয়াডাঙ্গায় বিজিবি-বিএসএফের পতাকা বৈঠক, ১৫ বাংলাদেশিকে হস্তান্তর
  • দর্শনা চেকপোস্ট দিয়ে ১৫ বাংলাদেশিকে হস্তান্তর করেছে বিএসএফ 
  • নওগাঁর সীমান্ত দিয়ে ১০ জনকে ঠেলে পাঠাল বিএসএফ
  • পঞ্চগড়ের দুই সীমান্ত দিয়ে আরও ১৭ জনকে ঠেলে পাঠাল বিএসএফ
  • গাংনী সীমান্ত দিয়ে ১৮ জনকে ঠেলে পাঠিয়েছে বিএসএফ
  • চোরাচালানে গিয়ে বিএসএফের হাতে আটক, ফিরিয়ে এনে ব্যবস্থা নিচ্ছে বিজিবি
  • মেহেরপুর সীমান্ত দিয়ে ১৮ জনকে ঠেলে পাঠাল বিএসএফ