ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় অটোরিকশা-মোটরসাইকেল সংঘর্ষে নিহত ৫
Published: 3rd, August 2025 GMT
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগরে সিএনজিচালিত অটোরিকশা ও মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে ৫ জন নিহত হয়েছেন।
রবিবার (৩ আগস্ট) বিকেল ৫টার দিকে উপজেলার রামপুর এলাকায় ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
তাৎক্ষণিক নিহতদের নাম-পরিচয় পাওয়া যায়নি।
আরো পড়ুন:
ছয় ঘণ্টা পর বাঘাইছড়িতে যান চলাচল স্বাভাবিক
পদ্মা সেতুর ঢালে বাসের ধাক্কায় দুজন নিহত
বিজয়নগর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শহীদুল ইসলাম রাইজিংবিডিকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
ঢাকা/পলাশ/রাজীব
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর সড়ক দ র ঘটন ন হত
এছাড়াও পড়ুন:
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ আসনের সীমানা পুনর্বিন্যাসের প্রতিবাদে মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ (সদর-বিজয়নগর) আসনের সীমানা পুনর্বিন্যাসের প্রতিবাদে জেলার বিজয়নগর উপজেলায় বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার বিকেলে উপজেলার চান্দুরা এলাকায় ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করা হয়।
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার দুটি আসনসহ দেশের মোট ৩৯টি সংসদীয় আসনের সীমানা পুনর্নির্ধারণের সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রাথমিক গেজেট প্রকাশ করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। সীমানা পুনর্বিন্যাসের আগে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ আসন সদর ও বিজয়নগর উপজেলার ১০টি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত ছিল। নতুন গেজেটে বিজয়নগরের তিনটি ইউনিয়ন—হরষপুর, চান্দুরা ও বুধন্তি ইউনিয়নকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল-আশুগঞ্জ) আসনের মধ্যে দেওয়া হয়েছে। ওই ইউনিয়ন তিনটিকে আগের মতো ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ আসনের মধ্যে রাখতে প্রধান নির্বাচন কমিশনের কাছে লিখিত আবেদন পাঠিয়েছেন বিজয়নগর উপজেলার চার বাসিন্দা।
আজ বিকেলে বিজয়নগর উপজেলার চান্দুরা এলাকায় মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করা হয়। উপজেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলামের নেতৃত্বে কর্মসূচিতে বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীদের পাশাপাশি স্থানীয় লোকজন অংশ নেন। এ সময় তাঁরা আধাঘণ্টার মতো সড়ক অবরোধ করে বিভিন্ন স্লোগান দেন।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, বিজয়নগর উপজেলার ১০টি ইউনিয়নের মধ্যে তিনটিতে প্রায় ৯৬ হাজার ভোটার আছেন, যা উপজেলার মোট ভোটারের প্রায় অর্ধেক। দুই লক্ষাধিক ভোটারবিশিষ্ট উপজেলা একক সংসদীয় আসনের উপযুক্ত হলেও বছরের পর বছর ধরে এটিকে একবার সদর, একবার সরাইল, আবার কখনো নাসিরনগরের সঙ্গে যুক্ত করে অবহেলার শিকারে পরিণত করা হচ্ছে। স্বাধীনতার ৫৪ বছর পরও বিজয়নগরে উন্নয়নের ছোঁয়া লাগেনি। এর পেছনে রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র রয়েছে। নতুন করে সরাইল আসনের সঙ্গে তিনটি ইউনিয়ন যুক্ত করায় মানুষ ক্ষোভে ফেটে পড়েছেন।
তিনটি ইউনিয়নকে আগের আসনে রাখার দাবিতে উপজেলার গোলাম মোস্তফা, এ কে এম গোলাম মুফতি ওসমানী, মো. জাহিদুজ্জামান চৌধুরী ও মো. বায়েজিদ মিয়া স্বাক্ষরিত একটি লিখিত আবেদন বৃহস্পতিবার দুপুরে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের কার্যালয়ে জমা দেওয়া হয়েছে।
আবেদনে উল্লেখ করা হয়, বিজয়নগর উপজেলার ১০টি ইউনিয়নকে দুই টুকরা করে তিনটি ইউনিয়নকে (বুধন্তি, হরষপুর ও চান্দুরা) ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনে এবং বাকি সাতটি ইউনিয়নকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ আসনে রেখে ভোটারদের মধ্যে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করে ভাগ করা হয়েছে, যা অনাকাঙ্ক্ষিত, হতাশাজনক ও বেআইনি। উপজেলার সব ইউনিয়নকে এক ও অভিন্ন সংসদীয় আসনে রাখা হলে এলাকার উন্নয়ন ও প্রশাসনিক কর্মকাণ্ড পরিচালনা সহজ হবে। আবেদনে তিনটি ইউনিয়নকে বিচ্ছিন্ন না করে আগের মতো ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ আসনে রাখা বা একটি একক সংসদীয় আসনে পরিণত করার দাবি জানানো হয়।
উপজেলার চান্দুরা এলাকার বাসিন্দা ও কাজী মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম কলেজের প্রভাষক মো. আল আমিন বলেন, বিজয়নগর উপজেলার ১০টি ইউনিয়নের মধ্যে চান্দুরা, বুধন্তি, হরষপুর ইউনিয়নকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২–এ যুক্ত করা হয়েছে, বিষয়টি খুবই হতাশাজনক। এতে উপজেলার উন্নয়ন এবং প্রশাসনিক কার্যক্রম ব্যাহত হবে এবং তাঁরা সুবিধাবঞ্চিত হবেন। তাঁদের দাবি, বিজয়নগরকে একক সংসদীয় আসন বা আগের আসনে রাখা হোক। কোনোভাবেই বিজয়নগরকে দ্বিখণ্ডিত করা যাবে না।