পাকিস্তানে চলমান বর্ষা মৌসুমে বৃষ্টিপাতজনিত ঘটনায় এখন পর্যন্ত ২৯৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। মৃতদের মধ্যে ১৪০ জন শিশু, ১০২ জন পুরুষ এবং ৫৭ জন নারী রয়েছে। রবিবার (৩ আগস্ট) পাকিস্তানের জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ (এনডিএমএ) এ তথ্য জানিয়েছে। খবর আনাদোলুর। 

এনডিএমএ-এর তথ্যানুযায়ী, ২৬ জুন থেকে শুরু হওয়া প্রবল বৃষ্টিপাতের ফলে সৃষ্ট আকস্মিক বন্যা ও ভূমিধসে ৭০০ জনেরও বেশি মানুষ আহত হয়েছেন।

মোট মৃত্যুর প্রায় অর্ধেকই পূর্ব পাঞ্জাব প্রদেশে, তার পরে উত্তর-পশ্চিম খাইবার পাখতুনখোয়ায় (কেপি)।

আরো পড়ুন:

শেষ বলে জিতে সিরিজে সমতা ফেরালো ওয়েস্ট ইন্ডিজ

ওয়েস্ট ইন্ডিজকে আবারও হতাশায় ডুবিয়ে এগিয়ে গেল পাকিস্তান

আহত ৭১৫ জনের মধ্যে ২৩৯ জন শিশু, ২০৪ জন মহিলা এবং ২৭২ জন পুরুষ।

বন্যার ফলে বিপুল পরিমাণ সম্পত্তিরও ক্ষতি হয়েছে। এনডিএমএ-এর মতে, ১ হাজার ৬৭৬টি বাড়িঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, যার মধ্যে ৫৬২টি সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়ে গেছে। প্রায় ৪২৮টি পশুর ক্ষতি হয়েছে।

আবহাওয়া বিভাগ সোমবার (৪ আগস্ট) থেকে পাঞ্জাব, কেপি এবং পাকিস্তান-শাসিত কাশ্মীরে নতুন করে বৃষ্টিপাত এবং বজ্রপাতের পূর্বাভাস দিয়েছে, যার ফলে উদ্ধারকারী সংস্থাগুলোকে সম্ভাব্য জরুরি অবস্থার জন্য প্রস্তুতি নিতে বলা হয়েছে।

মৌসুমি বৃষ্টিপাত প্রায়শই পাকিস্তানসহ দক্ষিণ এশিয়া জুড়ে ধ্বংসযজ্ঞ ঘটায়, তবে জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে এর অপ্রত্যাশিততা এবং তীব্রতা বৃদ্ধি পেয়েছে। পাকিস্তান সাধারণত জুন থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বর্ষাকাল থাকে।

ঢাকা/ফিরোজ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

দুই মিনিটের বিতর্কিত দৃশ্য দিয়ে আলোচনায়, পরে বলিউডকে বিদায় জানান সেই অভিনেত্রী

বলিউডের ইতিহাসে এমন অনেক অভিনেত্রী আছেন, যাঁরা শূন্য থেকে শুরু করে রাতারাতি পরিচিতি পেয়েছেন; পরে আবার হঠাৎই হারিয়ে গেছেন। কিমি কাতকার তেমনই একজন। ১৯৮০-এর দশকে বলিউডে তিনি ছিলেন আলোচিত ও সাহসী অভিনেত্রীদের একজন।

কিমির উত্থান
আশির দশকটি বলিউডে সৃজনশীল ও পরিবর্তনের সময় ছিল, যেখানে অনেক প্রতিভাবান অভিনেতা-অভিনেত্রী তাঁদের ছাপ ফেলেছেন। কিমি ছিলেন সেই সময়ের অন্যতম উদীয়মান নায়িকা। পর্দায় সাহসী দৃশ্যের জন্য তিনি ব্যাপক পরিচিতি পান। যদিও তাঁর চলচ্চিত্র ক্যারিয়ার ছিল খুবই সংক্ষিপ্ত; কিন্তু এর মধ্যেই ব্যাপক আলোচনার জন্ম দেন।

মুম্বাইতে জন্ম নেওয়া কিমি ক্যারিয়ার শুরু করেছিলেন মডেল হিসেবে, পরে তিনি চলচ্চিত্রে প্রবেশ করেন। ১৯৮৫ সালে ‘অ্যাডভেঞ্চার অব টারজান’ দিয়ে আলোচিত হন তিনি। সিনেমার সাফল্য তাঁকে রাতারাতি জনপ্রিয় করে তোলে। হেমন্ত বীরজের সঙ্গে জুটি বেঁধে তিনি দর্শকদের মন মাতিয়ে দেন। তবে এ ছবিতেই একটি নগ্ন দৃশ্যে অভিনয় করে রাতারাতি আলোচনায় আসেন। দৃশ্যটি নিয়ে এক সাক্ষাৎকারে অভিনেত্রী বলেছিলেন, ‘সেই সময় আমি জানতাম না এই দৃশ্য কতটা বিতর্কিত হবে। কিন্তু অভিনয় আমার জন্য সব সময় ছিল সত্যিই একটি চ্যালেঞ্জ।’ এরপর ১৯৮০-এর দশকের শেষের দিকে অমিতাভ বচ্চন, অনিল কাপুর, গোবিন্দ ও আদিত্য পঞ্চোলির সঙ্গেও সিনেমা করেন তিনি। তাঁর নাচ ও অভিনয়ের দক্ষতা দর্শকদের কাছে তাঁকে প্রিয় করে তোলে।

‘অ্যাডভেঞ্চার অব টারজান’-এ কিমি কাতকার। আইএমডিবি

সম্পর্কিত নিবন্ধ