গাজীপুরের কালিয়াকৈরে শাহজাহান হোসেন (৪৭) নামের এক ব্যক্তির ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। সোমবার (৪ আগস্ট) সকালে পৌরসভার ছোট লতিফপুর এলাকার একটি বাসা থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।

নিহত শাহজাহান কাশিমপুর থানার এনায়েতপুর গ্রামের হাবিবুর রহমানের ছেলে। তিনি স্থানীয় একটি পোশাক কারখানায় প্রকৌশলী হিসেবে কাজ করতেন এবং স্ত্রী-সন্তানকে নিয়ে ছোট লতিফপুর এলাকার মশিউরের বাড়িতে ভাড়া থাকতেন।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শাহজাহান ও তার স্ত্রী সেলভিয়ার মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে কলহ চলে আসছিল। রবিবার রাতে দুজনের মধ্যে বাকবিতণ্ডা হয়। পরে তারা ঘুমিয়ে পড়েন।

আরো পড়ুন:

পুঠিয়ার ডাকবাংলো চত্বর থেকে মরদেহ উদ্ধার

সাগরে নিখোঁজ জেলের মরদেহ উদ্ধার

রবিবার ভোরে ঘুম ভাঙার পরে স্বামীর অনুপস্থিতি টের পান সেলভিয়া। পাশের কক্ষে গিয়ে দেখেন, শাহজাহান সিলিং ফ্যানে ঝুলছেন। এ সময় ডাক-চিৎকার করলে প্রতিবেশীরা ছুটে এসে থানায় খবর দেন। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে মরদেহটি উদ্ধার করে।

কালিয়াকৈর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আব্দুল মান্নান বলেন, “প্রাথমিকভাবে এটি আত্মহত্যা বলে মনে হচ্ছে। তবে, ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন হাতে পেলে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ নিশ্চিতভাবে বলা যাবে।”

ঢাকা/রফিক/রাজীব

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর মরদ হ শ হজ হ ন মরদ হ

এছাড়াও পড়ুন:

ডি ব্রুইনা-সিটির পুনর্মিলনীতে হলান্ডের দ্রুততম ‘ফিফটি’

ম্যানচেস্টার সিটি ২-০ নাপোলি

ইতিহাদ ছেড়ে গিয়েছিলেন গত জুনে। তারপর এবারই তাঁর প্রথম ফেরা বড় সাধের এই স্টেডিয়ামে। ম্যানচেস্টার সিটির দর্শকেরা তাঁকে নায়কের মর্যাদায় বরণও করে নিলেও কোথায় যেন একটা অতৃপ্তি থেকে গেল। কেভিন ডি ব্রুইনা এখন হতে পারেন প্রতিপক্ষ, তবু ম্যাচের মাত্র ২৬ মিনিটে তাঁর বদলি হয়ে মাঠ ছাড়ার সময় সিটির দু-একজন সমর্থকদের মুখটা শুকনো দেখা গেল। ক্লাব কিংবদন্তিকে উঠে দাঁড়িয়ে তাঁরা সম্মান দেখিয়েছেন, তবে মাঠে আরও কিছুক্ষণ দেখতে চেয়েছিলেন নিশ্চয়ই!

কৌশলগত কারণে মাঠ ছাড়তে হয় ডি ব্রুইনাকে। নাপোলি কোচ আন্তোনিও কন্তে অবশ্য তাতে হার এড়াতে পারেননি। বিরতির পর আর্লিং হলান্ড ও জেরেমি ডকুর গোল হজম করতে হয়। সিটির ২-০ গোলের এ জয়ে দারুণ এক রেকর্ডও গড়েন হলান্ড।

৫৬ মিনিটে তাঁর গোলটির উৎস সিটি মিডফিল্ডার ফিল ফোডেন। লব করে দারুণভাবে বলটা তুলে সামনে বাড়িয়ে দেন, হেডে চ্যাম্পিয়নস লিগে নিজের ৫০তম গোল তুলে নেন হলান্ড। সেটা আবার এই প্রতিযোগিতার ইতিহাসে দ্রুততম। ৪৯ ম্যাচে ‘ফিফটি’ পাওয়া হলান্ড পেছনে ফেললেন রুদ ফন নিষ্টলরয়কে (৬২ ম্যাচ)।

ডকুর গোলটি দেখার মতো। ৬৫ মিনিটে বক্সের বাইরে থেকে বল পেয়ে ভেতরে ঢুকে গোল করার পথে নাপোলির তিন খেলোয়াড় মিলেও তাঁকে থামাতে পারেননি। সিটির এই দুই গোলে এগিয়ে যাওয়া আসলে একটি সুবিধার ফল। ২১ মিনিটে বক্সে হলান্ডকে ফাউল করে লাল কার্ড দেখেন নাপোলি অধিনায়ক ও রাইট ব্যাক জিওভান্নি ডি লরেঞ্জো। এরপর ১০ জনে পরিণত হওয়া ইতালিয়ান ক্লাবটির ওপর চেপে বসে সিটির আক্রমণভাগ।

গোল করলেন জেরেমি ডকু

সম্পর্কিত নিবন্ধ