কেন হাত কাঁপে
হাত কাঁপার অনেক কারণ আছে। এর মধ্যে রয়েছে শারীরিক বা ফিজিওলজিক্যাল, এসেনশিয়াল ট্রেমর, পারকিনসন, মস্তিষ্কে সেরিবেলামের রোগ, ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া, দুশ্চিন্তা বা আতঙ্ক ও হরমোনজনিত সমস্যা ইত্যাদি।
অনেক সময় মানসিক বা শারীরিক চাপ থেকেও হাত কাঁপতে পারে। ঘন ঘন চা ও কফি খাওয়ার কারণেও হতে পারে। এসেনশিয়াল ট্রেমর বংশগত কারণে হতে পারে। হাত দিয়ে কিছু ধরতে গেলে বা কাজ করতে গেলে বেড়ে যায়। এটি দুই হাতেই একসঙ্গে হতে পারে।
পারকিনসন একটি বয়সজনিত রোগ। এ রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিদের হাত কাঁপার পাশাপাশি চলাচল ধীরগতির হয়ে যায়। হাতে–পায়ে একটি আড়ষ্ট ভাব আসে। মস্তিষ্কে সেরিবেলাম নামে একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ আছে, যা আমাদের ভারসাম্য বজায় রাখতে সহায়তা করে। মস্তিষ্কে সেরিবেলামের সমস্যার একটি লক্ষণ হচ্ছে হাত কাঁপা। তবে কোনো কিছুকে লক্ষ্য করে এগোতে গেলে এ ধরনের হাত কাঁপা বেশি হয়ে থাকে। বিভিন্ন ওষুধ সেবনের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হিসেবে হাত কাঁপতে পারে।
আরও পড়ুনযে কারণে পেছনের পকেটে মানিব্যাগ রাখার অভ্যাস আজই ত্যাগ করবেন৮ ঘণ্টা আগেকোনো কিছু নিয়ে বেশি দুশ্চিন্তা করলে তাকে বলা হয় জেনারালাইজড অ্যাংজাইটি ডিজঅর্ডার। এ ধরনের সমস্যার ক্ষেত্রে হাত কাঁপতে পারে। প্যানিক ডিজঅর্ডারের ক্ষেত্রেও এমন হয়। হাইপারথাইরয়েডিজম রোগ হলে হাত কাঁপতে পারে। রক্তে থাইরয়েড হরমোনের মাত্রা বেড়ে এ রকম হয়। আবার হাইপোথাইরয়েড রোগে থাইরক্সিন হরমোন বড়ি সেবনের মাত্রা প্রয়োজনের তুলনায় বেশি হলেও হাত কাঁপা শুরু হতে পারে।
আরও পড়ুনদুই মিনিট রিকশায় ঘুরে গুনতে হলো আড়াই হাজার টাকা৩ ঘণ্টা আগেচিকিৎসা ও করণীয়হাত কাঁপার সমস্যার ক্ষেত্রে সবার আগে কেন হাত কাঁপছে, সেটা খুঁজে বের করা জরুরি। এরপর চিকিৎসক রোগের কারণ অনুযায়ী চিকিৎসা দিলে হাত কাঁপা ভালো হয়ে যেতে পারে। হাত কাঁপা নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য কিছু ওষুধ সেবনের প্রয়োজনও হতে পারে।
রোগীকে আশ্বস্ত করতে হবে। এটি নিয়ে আতঙ্কিত হলে হাত কাঁপা আরও বেড়ে যেতে পারে। রোগীকে একটি নিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন করতে হবে। পর্যাপ্ত পানি পান করতে হবে। ধূমপান ও মদ্যপানের অভ্যাস থাকলে তা পরিহার করুন। মানসিক চাপ এড়িয়ে চলতে হবে। রাতে পর্যাপ্ত ঘুম নিশ্চিত করতে হবে।
আরও পড়ুনযে ৯ কারণে ‘ইয়াং শেল্ডন’ শিশু–কিশোরদের জন্য শিক্ষণীয়১ ঘণ্টা আগে.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: সমস য
এছাড়াও পড়ুন:
অস্কারের জন্য জমা পড়েছে ৫ বাংলাদেশি সিনেমা
বাংলাদেশ থেকে অস্কারের বেস্ট ইন্টারন্যাশনাল ফিচার ফিল্ম বিভাগে পাঠানোর জন্য জমা পড়েছে পাঁচটি সিনেমা। এর মধ্য থেকে একটি সিনেমাকে চূড়ান্ত করে অস্কারে পাঠাবে অস্কার বাংলাদেশ কমিটি।
৯৮তম অস্কারে সেরা আন্তর্জাতিক ভাষার সিনেমা বিভাগে পাঠানোর জন্য এ মাসের শুরুর দিকে ছবি আহ্বান করে বাংলাদেশের অস্কার কমিটি। ১৬ সেপ্টেম্বর ছিল সিনেমা জমা দেওয়ার শেষ তারিখ। নির্ধারিত সময়ে জমা পড়ে ৫টি সিনেমা: ‘সাবা’, ‘বাড়ির নাম শাহানা’, ‘নকশিকাঁথার জমিন’, ‘প্রিয় মালতী ও ‘ময়না’। এর মধ্যে বাড়ির নাম ‘শাহানা’ ছবিটি বাংলাদেশে আজ মুক্তি পাবে। ‘সাবা’ মুক্তি পাবে ২৬ সেপ্টেম্বর। অন্য ছবিগুলো আগেই মুক্তি পেয়েছে।
অস্কার কমিটি বাংলাদেশের সভাপতি বাংলাদেশ ফেডারেশন অব ফিল্ম সোসাইটিজের (বিএফএফএস) সভাপতি জহিরুল ইসলাম। তিনি জানান, বিএফএফএস কর্তৃক গঠিত হয়েছে নির্বাচক কমিটি। এই কমিটি জমা পড়া চলচ্চিত্র পর্যালোচনা করে বাংলাদেশ থেকে প্রতিযোগিতার জন্য মনোনয়ন দেবে। তিনি বলেন, ‘যেসব নির্মাতা ও প্রযোজক তাদের কাজ দিয়ে যোগ্যতার মানদণ্ড পূরণ করবে, তার চলচ্চিত্র জমা দেওয়া হবে।’
এই কমিটি গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে জমা পড়া সিনেমাগুলো বুঝে পেয়েছে। জহিরুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, ‘খুব শিগগির সিনেমাগুলো আমরা ব্যক্তিপর্যায়ে দেখা শুরু করব। সিনেমাগুলো একসঙ্গেও দেখা হবে। আগামী শনিবার থেকে সিনেমাগুলো দেখা ও পর্যালোচনা শুরু হবে। আগামী ২৬ তারিখের মধ্যে আমরা চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে চাই। চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার দু-এক দিন পরেই সিনেমাটি আমরা বাংলাদেশ থেকে সাবমি করব।’
আরও পড়ুনবিদেশ ঘুরে এবার দেশে আসছে মেহজাবীনের ‘সাবা’০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫অস্কার কর্তৃপক্ষের কাছে সিনেমা পাঠানোর শেষ সময় ৩১ সেপ্টেম্বর। জহিরুল ইসলাম জানান, অনেক সময় টেকনিক্যাল জটিলতা থাকে। যে কারণে সময় হাতে রেখেই অস্কারে সিনেমা জমা দিতে চান তাঁরা। আগামী ১৬ ডিসেম্বর জানা যাবে, শর্টলিস্টের তালিকা। পরে ঘোষণা করা হবে অস্কারে মনোনীত ৫টি সিনেমার নাম। এর মধ্যে একটি সিনেমা সেরা আন্তর্জাতিক ছবির অস্কার জয় করবে।
আগামী ১৫ মার্চ বসবে ৯৮তম অস্কারের আসর।