২০২৬ বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের শেষ দুই ম্যাচকে সামনে রেখে স্কোয়াড ঘোষণা করেছে আর্জেন্টিনা। কোচ লিওনেল স্কালোনির ঘোষিত দলে জায়গা পেয়েছেন লিওনেল মেসি, জুলিয়ান আলভারেজ, লাউতারো মার্তিনেজদের মতো তারকা খেলোয়াড়েরা। তবে বিস্ময়করভাবে দলে নেই মিডফিল্ডের অন্যতম ভরসা এনজো ফার্নান্দেজ।

লাতিন আমেরিকার বাছাইপর্বে ইতিমধ্যে নিশ্চিত হয়ে গেছে আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপ খেলার টিকিট। ১৬ ম্যাচে ৩৫ পয়েন্ট নিয়ে তারা রয়েছে একেবারে শীর্ষে। শেষ দুই লড়াইয়ের প্রথমটিতে ৫ সেপ্টেম্বর ভেনেজুয়েলার মুখোমুখি হবে আলবিসেলেস্তেরা, এরপর ১০ সেপ্টেম্বর খেলবে ইকুয়েডরের মাঠে।

এবারের দলে নতুন মুখও দেখা যাবে। ব্রাজিলের ক্লাব পালমেইরাসের স্ট্রাইকার হোসে ম্যানুয়েল লোপেজ অপেক্ষা করছেন অভিষেকের। পাশাপাশি প্রথমবার ডাক পেয়েছেন পর্তুগিজ ক্লাব পোর্তোর তরুণ মিডফিল্ডার অ্যালান ভারেলা এবং ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের বোর্নমাউথ ডিফেন্ডার জুলিও সোলার।

আরো পড়ুন:

সান্তোসের ভরাডুবি, অঝোরে কাঁদলেন নেইমার

ওল্ড ট্রাফোর্ডে ম্যানইউকে হারিয়ে মৌসুম শুরু আর্সেনালের

তবে বাদ পড়েছেন বেশ কয়েকজন পরিচিত মুখ। গত বাছাইপর্বে খেলা এনজো ফার্নান্দেজ ছাড়াও দলে নেই ডিফেন্ডার ভ্যালেন্টিন বারকো, কেভিন লোমোনাকো, মারিয়ানো ত্রইলো এবং মিডফিল্ডার এনজো বারেনেচিয়া। অন্যদিকে লিভারপুল মিডফিল্ডার ম্যাক আলিস্টার, গঞ্জালো মন্টিয়েল ও তরুণ প্রতিভা ক্লাদিও এচেভেরি ফিরেছেন দলে।

আর্জেন্টিনার প্রাথমিক স্কোয়াড:
গোলরক্ষক: এমিলিয়ানো মার্তিনেজ, হেরেনিমো রুলি ও ওয়াল্টার বেনিতেজ।
ডিফেন্ডার: ক্রিস্টিয়ান রোমেরো, নিকোলাস ওটামেন্ডি, নাহুয়েল মলিনা, হুয়ান ফয়েথ, লিওনার্দো বালের্দি, ফাকুন্দো মেদিনা, নিকোলাস তাগলিয়াফিকো, মার্কাস আকুনা, জুলিও সোলার ও গঞ্জালো মন্টিয়েল।

মিডফিল্ডার: লিয়ান্দ্রো পারেদেস, নিকোলাস পাজ, এজেকিয়েল পালাসিওস, রদ্রিগো দি পল, থিয়াগো আলমাদা, জিওভানি লো সেলসো, ক্লাদিও এচেভেরি, ফ্রাঙ্কো মাস্তানতুনো, ভ্যালেন্টাইন কার্বোনি, অ্যালান ভারেলা ও অ্যালিক্সেস ম্যাক আলিস্টার।

ফরোয়ার্ড: লিওনেল মেসি, জুলিয়ান আলভারেজ, লাউতারো মার্টিনেজ, নিকোলাস গঞ্জালেস, গিলিয়ানো সিমিওনে, অ্যাঞ্জেল কোরেয়া ও হোসে ম্যানুয়েল লোপেজ।

ঢাকা/আমিনুল

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ফ টবল আর জ ন ট ন আর জ ন ট ন ব ছ ইপর ব

এছাড়াও পড়ুন:

৮ বছরেও শুরু হয়নি কুবির ২ বিভাগের কার্যক্রম

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুবি) দীর্ঘ ৮ বছর আগে অনুমোদন পাওয়া দুটি বিভাগ এখনো চালু হয়নি। অনুমোদন সত্ত্বেও প্রয়োজনীয় শিক্ষক নিয়োগ, অবকাঠামোগত প্রস্তুতি এবং প্রশাসনিক কার্যক্রমের ধীরগতির কারণে বিভাগ দুটি কার্যক্রম শুরু করতে পারেনি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

জানা গেছে, ২০১৭ সালের সেপ্টেম্বর মাসে বিজ্ঞান অনুষদের অধীনে ‘বন ও পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগ’ এবং ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদের অধীনে ‘মানব সম্পদ ব্যবস্থাপনা বিভাগ’ চালুর অনুমোদন দেওয়া হয়। ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষ থেকেই বিভাগ দুটি চালু হওয়ার কথা থাকলেও, তখন বিশ্ববিদ্যালয়ে অবকাঠামোগত ও শ্রেণিকক্ষ সংকটের কারণে তা সম্ভব হয়নি। পরবর্তীতে নতুন অ্যাকাডেমিক ভবন নির্মাণের পরে বিভাগ দুটি চালুর পরিকল্পনা করা হয়। কিন্তু এই সময়ের মধ্যে নতুন ভবন নির্মাণ হয়নি।

আরো পড়ুন:

শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তায় কুবি প্রক্টরের জরুরি নির্দেশনা 

সিএনজি চালকের বিরুদ্ধে কুবি শিক্ষার্থীকে মারধরের অভিযোগ

এছাড়া, তৎকালীন অর্গানোগ্রামে ৩১টি বিভাগের মধ্যে এই দুইটি বিভাগ অন্তর্ভুক্ত ছিল না, যা পরবর্তীতে চালু করা নিয়ে জটিলতা তৈরি করে।

সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন প্রশাসন বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) সঙ্গে বৈঠক করে এই বিষয়ে পুনরায় আলোচনা করে। ইউজিসি নির্দেশনা অনুযায়ী, নতুন অর্গানোগ্রামে বিভাগের অন্তর্ভুক্তি ও নতুন বিভাগের প্রস্তাব রাখা হয়েছে।

সে অনুযায়ি ১৫ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত কুবির ৮৯তম অ্যাকাডেমিক কাউন্সিল মিটিংয়ে পূর্বের ‘মানব সম্পদ ব্যবস্থাপনা বিভাগ’ এর পরিবর্তে ‘লজিস্টিক্স ও মার্চেন্ডাইজিং বিভাগ’ এবং ‘বন ও পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগ’-এর পরিবর্তে ‘পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগ’ নামে অন্তর্ভুক্তির সুপারিশ করা হয়। এছাড়াও অর্গানোগ্রামে নতুন আরও ১৮টি বিভাগের নাম অন্তর্ভুক্ত করার প্রস্তাব রাখা হয়েছে।

তৎকালীন বন ও পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের প্রস্তাবক রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ সৈয়দুর রহমান বলেন, “২০১৭ সালে অনুমোদন থাকলেও জায়গা সংকটের কারণে বিভাগ চালু করা সম্ভব হয়নি। পরে প্রশাসন পাল্টালেও কেউ উদ্যোগ নেয়নি।”

এ নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (অতিরিক্ত) অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন বলেন, “অর্গানোগ্রামে অন্তর্ভুক্তি মানে এখনই চালু হবে না। অনুমোদন থাকলেও তৎকালীন সময়ে চালু করা সম্ভব হয়নি। এখন ইউজিসি নির্দেশনায় নতুন করে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।”

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. হায়দার আলী বলেন, “তৎকালীন প্রশাসন বলতে পারবে কেন বিভাগ চালু হয়নি। আমরা সবার সঙ্গে আলোচনা মাধ্যমে নতুন করে উদ্যোগ নিয়েছি। আগামী ২ বছরের মধ্যে আশা করি বিভাগ চালু করা সম্ভব হবে, তখন নতুন ক্যাম্পাসও প্রস্তুত থাকবে।”

ঢাকা/এমদাদুল/মেহেদী

সম্পর্কিত নিবন্ধ