জুলাই গণ-অভ্যুত্থান ও আমার প্রত্যাশা
Published: 19th, August 2025 GMT
সেদিন আমরা রাস্তায় দাঁড়িয়েছিলাম প্রিয় মাতৃভূমিকে বাঁচাতে। তপ্ত রোদে রাজপথের মিছিলে আমার প্রথম স্লোগান দেওয়ার দিনটার কথা ভাবলে আজও শিহরণ জাগে। আমার হাতে কোনো অস্ত্র ছিল না, ছিল কেবল সাহস আর দৃঢ়চেতা মনোবল। মিছিলে সহযাত্রী হিসেবে থাকা ভাইবোনের চোখে ছিল না ভয়। তাদের ক্ষিপ্র চোখে ছিল আগুন! আমাদের প্রতিটি স্লোগান, প্রতিটি পদক্ষেপ জানান দিচ্ছিল—‘বাংলাদেশ ঘুমিয়ে নেই’।
নিরাপত্তা বাহিনীর লাঠির আঘাত, জলকামান, কাঁদানে গ্যাস কিছুই থামাতে পারেনি আমাদের সেই অগ্নিযুগের পদচারণ। আমাদের আন্দোলন শুধু সরকারের বিরুদ্ধেই ছিল না, এটা ছিল অন্যায়ের বিরুদ্ধে ন্যায়ের বিদ্রোহ। আমরা চাইছিলাম এমন একটা দেশ, যেখানে সত্যিকার অর্থেই থাকবে ভোটের অধিকার, মত প্রকাশের অধিকার। যেখানে শিক্ষার্থীরা পড়ালেখার পাশাপাশি সোনালি ভবিষ্যৎ গড়বে। আমার প্রত্যাশা খুব বড় কিছু নয়—আমি শুধু চাই, বাংলাদেশ সত্যিকার অর্থে গণতান্ত্রিক হোক।
৫ আগস্টের পর অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত হওয়ার পর অন্যদের মতো আমার প্রত্যাশাও বেড়েছে। আমি চাই নতুন মুক্ত রাজনৈতিক পরিবেশ, যেখানে ভয়ের ঊর্ধ্বে থেকে সরকারের সমালোচনা করা যাবে। যেখানে শ্রেণিহীন সমাজ প্রতিষ্ঠা পাবে এবং সবাই ন্যায়বিচার পাবে। রাষ্ট্র যেন তার প্রতিটা নাগরিকের কথা গুরুত্বের সঙ্গে শোনে। আমি চাই, বাংলাদেশের মানুষ মাথা উঁচু করে বাঁচুক। যার যে বিশ্বাস, তা নিয়েই বেঁচে থাকুক।
আমি চাই আগামীর বাংলাদেশ হোক মানবিক, দুর্নীতিমুক্ত, সন্ত্রাসমুক্ত ও পরমতসহিষ্ণু। বিভেদের বদলে হোক ঐক্য। আমরা যারা জুলাইয়ের যোদ্ধা হয়ে রাজপথে দাঁড়িয়েছিলাম, তারা শুধু সরকারের পতন নয়, একটি নতুন বাংলাদেশকে স্বাগত জানিয়েছি। আমরা যে স্বপ্ন দেখেছিলাম, তার বাস্তবায়ন দেখতে চাই। সবশেষে বলি, আমাদের প্রত্যাশা হলো—যে দল ভবিষ্যতে ক্ষমতায় যাবে, তারা যেন নতুন করে ফ্যাসিস্ট ও রক্তপিপাসু না হয়। তারা যেন অতীত থেকে শিক্ষা নিয়ে সবার বাংলাদেশ গড়ে তোলে।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: আম দ র আম র প সরক র
এছাড়াও পড়ুন:
দুই মিনিটের বিতর্কিত দৃশ্য দিয়ে আলোচনায়, পরে বলিউডকে বিদায় জানান সেই অভিনেত্রী
বলিউডের ইতিহাসে এমন অনেক অভিনেত্রী আছেন, যাঁরা শূন্য থেকে শুরু করে রাতারাতি পরিচিতি পেয়েছেন; পরে আবার হঠাৎই হারিয়ে গেছেন। কিমি কাতকার তেমনই একজন। ১৯৮০-এর দশকে বলিউডে তিনি ছিলেন আলোচিত ও সাহসী অভিনেত্রীদের একজন।
কিমির উত্থান
আশির দশকটি বলিউডে সৃজনশীল ও পরিবর্তনের সময় ছিল, যেখানে অনেক প্রতিভাবান অভিনেতা-অভিনেত্রী তাঁদের ছাপ ফেলেছেন। কিমি ছিলেন সেই সময়ের অন্যতম উদীয়মান নায়িকা। পর্দায় সাহসী দৃশ্যের জন্য তিনি ব্যাপক পরিচিতি পান। যদিও তাঁর চলচ্চিত্র ক্যারিয়ার ছিল খুবই সংক্ষিপ্ত; কিন্তু এর মধ্যেই ব্যাপক আলোচনার জন্ম দেন।
মুম্বাইতে জন্ম নেওয়া কিমি ক্যারিয়ার শুরু করেছিলেন মডেল হিসেবে, পরে তিনি চলচ্চিত্রে প্রবেশ করেন। ১৯৮৫ সালে ‘অ্যাডভেঞ্চার অব টারজান’ দিয়ে আলোচিত হন তিনি। সিনেমার সাফল্য তাঁকে রাতারাতি জনপ্রিয় করে তোলে। হেমন্ত বীরজের সঙ্গে জুটি বেঁধে তিনি দর্শকদের মন মাতিয়ে দেন। তবে এ ছবিতেই একটি নগ্ন দৃশ্যে অভিনয় করে রাতারাতি আলোচনায় আসেন। দৃশ্যটি নিয়ে এক সাক্ষাৎকারে অভিনেত্রী বলেছিলেন, ‘সেই সময় আমি জানতাম না এই দৃশ্য কতটা বিতর্কিত হবে। কিন্তু অভিনয় আমার জন্য সব সময় ছিল সত্যিই একটি চ্যালেঞ্জ।’ এরপর ১৯৮০-এর দশকের শেষের দিকে অমিতাভ বচ্চন, অনিল কাপুর, গোবিন্দ ও আদিত্য পঞ্চোলির সঙ্গেও সিনেমা করেন তিনি। তাঁর নাচ ও অভিনয়ের দক্ষতা দর্শকদের কাছে তাঁকে প্রিয় করে তোলে।
‘অ্যাডভেঞ্চার অব টারজান’-এ কিমি কাতকার। আইএমডিবি