ডিসেম্বরে বিপিএল আয়োজনে আইএমজি, হবে ছয় দল নিয়ে
Published: 28th, August 2025 GMT
বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) আগামী আসরে মার্কেটিং ও ব্র্যান্ডিংয়ের দায়িত্ব নিতে আগ্রহ প্রকাশ করেছিল পাঁচটি প্রতিষ্ঠান। গত ১০ই জুলাই বিপিএল আয়োজনে আগ্রহী প্রতিষ্ঠানের কাছে আগ্রহ জানতে চেয়ে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে বিসিবি।
অ্যাপেক্স স্পোর্টস কনসাল্টিং, আইএমজি, রিয়েল ইম্প্যাক্ট অ্যান্ড অ্যাবসলুট লিজেন্ডস স্পোর্টস, দ্য আইপিজি গ্রুপ ও মাইন্ড ট্রি লিমিটেড এবং ট্রান্সপোর্ট গ্রুপ বিপিএলে যুক্ত হতে আগ্রহী। প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে থেকে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক স্পোর্টস ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট প্রতিষ্ঠান ‘আইএমজি’ আগামী তিন বছরের জন্য বিপিএলের সব দায়িত্ব পেতে যাচ্ছে। বিসিবি থেকে এখন পর্যন্ত আনুষ্ঠানিক ঘোষণা না এলেও বোর্ডের সর্বোচ্চ পর্যায়ের দায়িত্বশীল সূত্র নিশ্চিত করেছে আইপিএলের ইভেন্ট ম্যানেজমেন্টের দায়িত্ব পালন করা আইএমজি’ই পেতে যাচ্ছে আগামী বিপিএল আয়োজনের দায়িত্ব।
আরো পড়ুন:
‘হাজার কোটি টাকা থাকলে বিপিএলে আসা উচিত’
বিপিএল আয়োজনে ৫ প্রতিষ্ঠান কারা?
১ সেপ্টেম্বর সিলেটে বিসিবির বোর্ড সভায় এই অনুমোদন আসতে যাচ্ছে। বিসিবির এক পরিচালক বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় রাইজিংবিডিকে এ খবর নিশ্চিত করেছেন, ‘‘আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি আইএমজিকে দায়িত্ব দেব। তারা পেশাদার এবং সফলভাবে অনেক প্রতযোগিতাকে নতুন মাত্রা দিয়েছে। চুক্তি নিয়ে কাজ হচ্ছে। বোর্ড সভাতেই এটা পাশ হয়ে যেতে পারে।’’
এবারের আসরের বিপিএল নিয়ে পরিকল্পনা অনেক আগের থেকেই শুরু করেছে বিসিবি। ছয় দলের বেশি এবারের আসরে নেবে না। ভবিষ্যতে একটি দল বাড়াতে পারে। তবে এবার ছয় দল নিয়েই করবে। কেননা ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে অন্তত এক মাস আগে বিপিএল শেষ করার নির্দেশনা পেয়েছে বিসিবি।
বিসিবির ওই পরিচালক বললেন, ‘‘আমরা ডিসেম্বরের শুরুর দিকে বিপিএল শুরু করবো। সেভাবেই পরিকল্পনা হচ্ছে। শেষ করার পরিকল্পনা ১৫ জানুয়ারির ভেতরেই। একমাস বা দুই-তিন দিন বেশি হয়তো টুর্নামেন্ট চলতে পারে। এজন্য ছয় দল নিয়ে আয়োজন করতে যাচ্ছি।’’
এর পেছনে কারণও আছে। দল বাড়ালে বিপিএল লম্বা হবে। আবার ভেন্যু বাড়ালেও লম্বা হবে। বিপিএল ছয় দলের হলে শেষ করতে ৩৫ দিন লাগবে। সাত দলের হলে ৪৬-৪৯ দিন। এছাড়া ভেন্যু বাড়াতে বিসিবি দুইটি ভেন্যু বাড়াতে তৎপর ছিল। আপাতত একটি ভেন্যু বাাড়তে ইচ্ছুক বোর্ড পরিচালকরা। রাজশাহীকে বাদ দিয়ে আপাতত বগুড়াকেই বেছে নেওয়ার সিদ্ধান্ত আসতে যাচ্ছে। দুই ভেন্যু বাড়ালে মাঝে অন্তত দুই দিন বেশি সময় লাগবে। এজন্য ঢাকা, চট্টগ্রাম ও সিলেটের সঙ্গে নতুন করে যুক্ত হবে বগুড়া।
ছয় বছরের জন্য দেওয়া হতে পারে ফ্র্যাঞ্চাইজি। জাতীয় ও আন্তর্জাতিক বিনিয়োগও থাকতে পারে দলগুলোতে। ফ্র্যাঞ্চাইজি চূড়ান্ত করা হবে ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট প্রতিষ্ঠান চূড়ান্ত নিয়োগ দেওয়ার পর। কারণ, বিপিএলে বিদেশি বিনিয়োগ থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। আইএমজি নিয়োগ পেলে বিদেশি স্পন্সর ও আন্তর্জাতিক টিভি চ্যানেল দেখা যেতে পারে বিপিএলে।
ঢাকা/ইয়াসিন/আমিনুল
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
অমর একুশে বইমেলা ফেব্রুয়ারিকে স্পর্শ করুক
অমর একুশে বইমেলা বাংলাদেশের মানুষের প্রাণের মেলা। মূলত প্রকাশকদের উদ্যোগে মুক্তিযুদ্ধ উত্তর বাংলাদেশে এই বইমেলার সূত্রপাত। সম্প্রতি এই বইমেলা নানা কারণে-অকারণে ডিসেম্বরে করার কথা শোনা যাচ্ছে। এ প্রেক্ষিতে সুস্পষ্টভাবে বলতেই হচ্ছে -ডিসেম্বরে কিছুতেই মেলা করা যাবে না। কারণ সেসময় সারাদেশে শিক্ষার্থীদের বার্ষিক পরীক্ষা চলবে।
বইমেলার প্রধান পাঠক আমাদের শিক্ষার্থী। তারা ডিসেম্বরে কিছুতেই মেলায় আসতে পারবে না। প্রধান পাঠকই যদি মেলায় আসতে না পারে তাহলে মেলা প্রাণহীন হয়ে পড়বে। বইমেলায় অংশগ্রহণকারি প্রকাশকরাও ভয়াবহ ক্ষতির মুখে পড়বে। তাছাড়া একুশের চেতনাকে ধারণ করে যে অমর একুশে বইমেলা, সেটা ফেব্রুয়ারিকে স্পর্শ করুক। ভাষা শহীদদরর প্রতি বইমেলার মাধ্যমে আমাদের যে শ্রদ্ধাঞ্জলি, তা অক্ষুন্ন থাকুক।
আরো পড়ুন:
রাজশাহীতে বইপড়ায় কৃতিত্বের পুরস্কার পেল ২৩০৩ শিক্ষার্থী
‘গল্পকারের পছন্দের ৫০ গল্প’ গ্রন্থ প্রকাশিত
সর্বোপরি ৫ জানুয়ারি থেকে ৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, এই সময়ে বইমেলা হতে কোন সমস্যা হওয়ার কথা নয়। অথবা তারিখ দুই একদিন এদিক-সেদিক করে নেয়া যেতে পারে। এ সময়ে রোজা নেই, নির্বাচনও নেই। নির্বাচনী ক্যাম্পেইন চলবে। এই মাঠে বইমেলা চলাকালীন সর্বদলীয় সিদ্ধান্তে কেউ সভা-সমাবেশ না করার সিদ্ধান্ত নিলে অনায়াসে এই সময়টাতে বইমেলা করা যেতে পারে। আমার বিশ্বাস- সব দলই অমর একুশে বইমেলার জন্য এই ছাড়টুকু দেবেন।
প্রায় পঞ্চাশ বছরের অধিক সময়ের প্রচেষ্টায় অমর একুশে বইমেলা মহিরুহ হয়ে আমাদের কাছে আবির্ভূত, হঠকারি কোন সিদ্ধান্তে তা যেনো ধ্বংস হওয়ার উপক্রম না হয়। জেনে শুনে বাঙালির এতো বড় একটি সাংস্কৃতিক উৎসবকে ভয়াবহভাবে ক্ষতিগ্রস্থ না করে বরং তা যে কোন মূল্যে আমাদের রক্ষা করা উচিত।
জানুয়ারিতে বাণিজ্যমেলায়ও হয়ে থাকে। এতে অমর একুশে বইমেলার ওপর কোনো বিরূপ প্রভাব পড়বে বলে আমি তা মনে করি না। বইমেলার প্রধান পাঠক শিক্ষার্থী। তারা বইমেলায় আসার জন্য মুখিয়ে থাকে। বাণিজ্য মেলায় যাওয়ার লোকজন বেশির ভাগই আলাদা। তবে অনেকেই বইমেলা এবং বাণিজ্যমেলা দুটোতেই যান। এটা তারা ম্যানেজ করে নিতে পারবেন বলে আমার বিশ্বাস।
আমি বলেছি শুধুমাত্র মেলার মাঠ প্রাঙ্গনে সভা-সমাবেশ না করার মাধ্যমে যদি সর্বদলীয় একটা সিদ্ধান্ত গৃহীত হয় তাহলে জানুয়ারি- ফেব্রুয়ারি মিলিয়ে বইমেলা করা সম্ভব।আমার মনে হয়, বইমেলা চলাকালীন এই মাঠ কোন দলকে সভা-সমাবেশের জন্য সরকার বরাদ্দ না দিলে, অথবা বইমেলা চলাকালীন দলগুলো নিজের থেকেই এই মাঠের বরাদ্দ না চাইলে সমস্যা আর থাকে না।
লেখক: প্রকাশক পাঞ্জেরী পাবলিকেশন্স লিমিটেড
ঢাকা/লিপি