কুবি শিক্ষার্থীরা পাবেন ‘ভাইস-চ্যান্সেলর অ্যাওয়ার্ড’
Published: 29th, August 2025 GMT
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) মেধাবী শিক্ষার্থীদের অনুপ্রাণিত করার লক্ষ্যে স্নাতক (সম্মান) সম্পন্ন করা তিন শিক্ষাবর্ষের ৫৫ জন শিক্ষার্থী পাবেন ‘ভাইস-চ্যান্সেলর অ্যাওয়ার্ড’।
আগামী মঙ্গলবার (২ সেপ্টেম্বর) সকাল ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সম্মেলন কক্ষে এ অনুষ্ঠান হবে। অ্যাওয়ার্ড প্রাপ্তদের তালিকা আগামী রবিবার (৩১ আগস্ট) প্রকাশ করা হতে পারে বলে জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
আরো পড়ুন:
জাকসু নির্বাচন: ভিপি পদে লড়বেন ১০ জন, জিএস পদে ৯
ঢাবিতে ডিনস অ্যাওয়ার্ড পেলেন ৬৫ শিক্ষক-শিক্ষার্থী
বর্তমানে আনুষ্ঠানিকভাবে স্নাতক (সম্মান) শেষ করা বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৭-১৮, ২০১৮-১৯ এবং ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের ৫৫ জন শিক্ষার্থীকে দেওয়া হচ্ছে এই অ্যাওয়ার্ড। অ্যাওয়ার্ড হিসেবে থাকছে নগদ ১০ হাজার টাকা ও একটি সার্টিফিকেট।
যারা দেশ-বিদেশে উচ্চশিক্ষা ও গবেষণায় নিয়োজিত থাকবেন, তাদের প্রতিনিধিরা (পিতা/মাতা/ভাই/বোন) উপস্থিত থেকে শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে এই বৃত্তি সম্মাননা ও সার্টিফিকেট গ্রহণ করতে পারবেন।
এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (অতিরিক্ত দায়িত্ব) অধ্যাপক ড.
তালিকা প্রকাশ না করেই অনুষ্ঠান ঘোষণার বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. হায়দার আলী বলেন, “তালিকা অনেক আগেই তৈরি হয়েছে। আমি জানি না, কেন আপনাদের হাতে পৌঁছাইনি। ডিপার্টমেন্টগুলো থেকে যাদের নাম দেওয়া হয়েছে, সেটাই ফাইনাল। সেক্ষেত্রে তারা আগেই জানবে। এখানে অনুমোদনের কী আছে আমি জানি না।”
অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. রেজাউল করিম এবং শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ. এম. সরওয়ার উদ্দিন চৌধুরী।
ঢাকা/এমদাদুল/বকুল
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
অমর একুশে বইমেলা ফেব্রুয়ারিকে স্পর্শ করুক
অমর একুশে বইমেলা বাংলাদেশের মানুষের প্রাণের মেলা। মূলত প্রকাশকদের উদ্যোগে মুক্তিযুদ্ধ উত্তর বাংলাদেশে এই বইমেলার সূত্রপাত। সম্প্রতি এই বইমেলা নানা কারণে-অকারণে ডিসেম্বরে করার কথা শোনা যাচ্ছে। এ প্রেক্ষিতে সুস্পষ্টভাবে বলতেই হচ্ছে -ডিসেম্বরে কিছুতেই মেলা করা যাবে না। কারণ সেসময় সারাদেশে শিক্ষার্থীদের বার্ষিক পরীক্ষা চলবে।
বইমেলার প্রধান পাঠক আমাদের শিক্ষার্থী। তারা ডিসেম্বরে কিছুতেই মেলায় আসতে পারবে না। প্রধান পাঠকই যদি মেলায় আসতে না পারে তাহলে মেলা প্রাণহীন হয়ে পড়বে। বইমেলায় অংশগ্রহণকারি প্রকাশকরাও ভয়াবহ ক্ষতির মুখে পড়বে। তাছাড়া একুশের চেতনাকে ধারণ করে যে অমর একুশে বইমেলা, সেটা ফেব্রুয়ারিকে স্পর্শ করুক। ভাষা শহীদদরর প্রতি বইমেলার মাধ্যমে আমাদের যে শ্রদ্ধাঞ্জলি, তা অক্ষুন্ন থাকুক।
আরো পড়ুন:
রাজশাহীতে বইপড়ায় কৃতিত্বের পুরস্কার পেল ২৩০৩ শিক্ষার্থী
‘গল্পকারের পছন্দের ৫০ গল্প’ গ্রন্থ প্রকাশিত
সর্বোপরি ৫ জানুয়ারি থেকে ৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, এই সময়ে বইমেলা হতে কোন সমস্যা হওয়ার কথা নয়। অথবা তারিখ দুই একদিন এদিক-সেদিক করে নেয়া যেতে পারে। এ সময়ে রোজা নেই, নির্বাচনও নেই। নির্বাচনী ক্যাম্পেইন চলবে। এই মাঠে বইমেলা চলাকালীন সর্বদলীয় সিদ্ধান্তে কেউ সভা-সমাবেশ না করার সিদ্ধান্ত নিলে অনায়াসে এই সময়টাতে বইমেলা করা যেতে পারে। আমার বিশ্বাস- সব দলই অমর একুশে বইমেলার জন্য এই ছাড়টুকু দেবেন।
প্রায় পঞ্চাশ বছরের অধিক সময়ের প্রচেষ্টায় অমর একুশে বইমেলা মহিরুহ হয়ে আমাদের কাছে আবির্ভূত, হঠকারি কোন সিদ্ধান্তে তা যেনো ধ্বংস হওয়ার উপক্রম না হয়। জেনে শুনে বাঙালির এতো বড় একটি সাংস্কৃতিক উৎসবকে ভয়াবহভাবে ক্ষতিগ্রস্থ না করে বরং তা যে কোন মূল্যে আমাদের রক্ষা করা উচিত।
জানুয়ারিতে বাণিজ্যমেলায়ও হয়ে থাকে। এতে অমর একুশে বইমেলার ওপর কোনো বিরূপ প্রভাব পড়বে বলে আমি তা মনে করি না। বইমেলার প্রধান পাঠক শিক্ষার্থী। তারা বইমেলায় আসার জন্য মুখিয়ে থাকে। বাণিজ্য মেলায় যাওয়ার লোকজন বেশির ভাগই আলাদা। তবে অনেকেই বইমেলা এবং বাণিজ্যমেলা দুটোতেই যান। এটা তারা ম্যানেজ করে নিতে পারবেন বলে আমার বিশ্বাস।
আমি বলেছি শুধুমাত্র মেলার মাঠ প্রাঙ্গনে সভা-সমাবেশ না করার মাধ্যমে যদি সর্বদলীয় একটা সিদ্ধান্ত গৃহীত হয় তাহলে জানুয়ারি- ফেব্রুয়ারি মিলিয়ে বইমেলা করা সম্ভব।আমার মনে হয়, বইমেলা চলাকালীন এই মাঠ কোন দলকে সভা-সমাবেশের জন্য সরকার বরাদ্দ না দিলে, অথবা বইমেলা চলাকালীন দলগুলো নিজের থেকেই এই মাঠের বরাদ্দ না চাইলে সমস্যা আর থাকে না।
লেখক: প্রকাশক পাঞ্জেরী পাবলিকেশন্স লিমিটেড
ঢাকা/লিপি