নেত্রকোণার সদর উপজেলার মৌগাতি ইউনিয়নের জামাটি গ্রামে পূর্বশত্রুতার জেরে সাবেক ইউপি সদস্য দৌজাহান মেম্বারসহ তিনজনকে কুপিয়ে হত্যা করেছে প্রতিপক্ষের লোকজন।
নিহতরা হলেন- দৌজাহান মেম্বার (৫৫), নূর মোহাম্মদ (২৮) ও রফিক মিয়া। এ ঘটনায় আরও তিনজন আহত হয়েছেন।
পুলিশ জানিয়েছে, শনিবার (৩০ আগস্ট) রাতে জেলা বিএনপির কাউন্সিলর থেকে ফেরার পথে প্রতিপক্ষ রফিক মিয়ার লোকজন সাবেক ইউপি সদস্য দৌজাহান মেম্বারকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে। খবর ছড়িয়ে পড়লে ক্ষুব্ধ দৌজাহানের লোকজন রফিকের বাড়িতে হামলা চালায়। এসময় উভয়পক্ষের সংঘর্ষে চারজন আহত হন। আহতদের মধ্যে নূর মোহাম্মদকে নেত্রকোণা আধুনিক সদর হাসপাতালে নেওয়া হলে তিনি মারা যান।
পরদিন রবিবার (৩১ আগস্ট) সকালে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রফিক মিয়াও মারা যান।
নিহতদের লাশ নেত্রকোণা আধুনিক সদর হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে। আহত অন্য তিন জনকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হয়েছে।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী শাহনেওয়াজ বলেন, “এটি পূর্বশত্রুতার জেরে সংঘটিত হত্যাকাণ্ড। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।”
ঢাকা/ইবাদ/এস
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
দিনে ঢাকায় মিছিল, রাতে বাড়িতে ফিরতেই নিষিদ্ধঘোষিত ছাত্রলীগের ৩ নেতা-কর্মী গ্রেপ্তার
রাজধানীর উত্তরায় নিষিদ্ধঘোষিত ছাত্রলীগের ময়মনসিংহ জেলা শাখার ব্যানারে মিছিলে অংশ নেওয়ার পর রাতে বাড়িতে ফিরতেই তিন নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল শুক্রবার দিবাগত রাতে ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ পৌর শহরের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার তিনজন হলেন ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহসভাপতি নূর হামীম রুশো (২০), ছাত্রলীগ কর্মী আলিফ জাহান ওরফে পার্থ (২০), মো. মারুফ মিয়া (২৫)। তাঁরা সবাই ঈশ্বরগঞ্জ পৌর শহরের বাসিন্দা।
আজ শনিবার বিকেলে গ্রেপ্তার তিনজনের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে মামলা করে আদালতে পাঠানো হয়। এর আগে গতকাল শুক্রবার সকালে ময়মনসিংহ জেলা ছাত্রলীগের ব্যানারে ঢাকায় মিছিলে অংশ নিয়েছিলেন তাঁরা।
ঈশ্বরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ওবায়দুর রহমান বলেন, বিশেষ অভিযান চালিয়ে ছাত্রলীগের তিন নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তাঁরা রাজধানীর উত্তরার মিছিলে অংশ নেওয়ার কথা স্বীকার করেন। তাঁদের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে মামলা দিয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে।