বিএনপির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে জাকির খানের বর্নাঢ্য র্যালি
Published: 1st, September 2025 GMT
বিএনপির ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষ্যে বিশাল ও বর্ণাঢ্য র্যালী করেছেন নারায়ণগঞ্জ জেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি ও বিএনপির নেতা জাকির খান। সোমাবার (১ সেপ্টেম্বর) বিকেলে শহরের মণ্ডলপাড়া থেকে র্যালীটি শুরু হয়ে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিন করে চাষাড়া বিজয়স্তম্বে গিয়ে শেষ হয়।
র্যালীতে বিএনপি'র প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান, বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ফেস্টুন ও প্লেকার্ড শোভা পায়। র্যালীতে বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী ও বিএনপি সমর্থকরা অংশ নেয়।
এ সময় জেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি ও বিএনপির নেতা জাকির খান বলেন, বিএনপি চেয়ারপারসন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া অসুস্থ রয়েছেন, তার সুস্থ্যতা এবং ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের দীর্ঘায়ু কামনা করছি। তারেক রহমান আসবে বীরের বেশে।
দেশবাসীকে একটা মেসেজ দিতে চাই, এবার নির্বাচন হবেই হবে। তবে নির্বাচন নিয়ে ষড়যন্ত্র চলছে। সব ষড়যন্ত্র রুখে দিয়ে অবাদ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের ব্যবস্থা করতেই হবে। আর নারায়ণগঞ্জে সন্ত্রাসমুক্ত ও মাদকমুক্ত সমাজ গড়ে তুলবো ইনশাআল্লাহ।
কেন্দ্রীয় যুবদলের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ইসহাক সরকার বলেন, জাকির খানকে দীর্ঘদিন নির্যাতন করা হয়েছিল। তাকে হত্যা করার ষড়যন্ত্র করা হয়েছিল। আমি খুব ছোটবেলা থেকে তাকে চিনি। আমি যখন কারাগারে যাই তখন তাকে সেখানে দেখেছি।
জাকির খান কারগার থেকে মুক্তি পাওয়ার পরে তাকে সংবর্ধনা দিলে হাজার হাজার মানুষের ঢল নামে। ২৫ বছর পরে এসেও তার সেই একই জনপ্রিয়তা দেখতে পাচ্ছি। জাকির খানের হাত ধরে এই সন্ত্রাস কবলিত নারায়ণগঞ্জের মাটি মুক্ত হবে বলে আমি বিশ্বাস করি।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক মনিরুল ইসলাম রবি, মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আব্দুস সবুর খান সেন্টু, জেলা প্রজন্ম দলের আহ্বায়ক সলিমউল্লাহ করিম সেলিম, বিএনপি নেতা নাজিম আহমেদ, দিদার খন্দকার, পারভেজ মল্লিক সহ প্রমুখ।
.উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: ব এনপ ন র য়ণগঞ জ
এছাড়াও পড়ুন:
নির্বাচন আসলেই ধর্মকে ব্যবহারের চেষ্টা দেখা যায় : সালাহউদ্দিন আহমেদ
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, আমরা লক্ষ্য করি নির্বাচন এলেই একটি রাজনৈতিক দল তারা রাজনৈতিক স্বার্থে ইসলামকে ব্যবহার করে জাতির মধ্যে বিভক্তি সৃষ্টি করতে চায়।
যারা ফিৎনা তৈরি করে বাংলাদেশের মুসলমানদের মধ্যে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করতে চায় তাদের কাছ থেকে আমাদেরকে সাবধান হতে হবে। রাজনৈতিক কারণে কেউ বক্তব্য দিতেই পারে, সেটাকে স্বাগত জানাই।
তবে কেউ যেন আমাদের দ্বীনকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে না পারে। শনিবার বিকেলে নারায়ণগঞ্জ শহরে কেন্দ্রীয় ঈদগাহ মাঠে হেফাজতে ইসলামের উদ্যোগে আজমতে সাহাবা মহাসম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, এখানে বয়ান করার যোগ্যতা আমার নেই। আমি এখানে এসেছি বিশিষ্ট আলেম যারা এখানে এসেছেন তাদের বক্তব্য শোনার জন্য। যারা ইসলামকে নিয়ে রাজনীতি করেনা তারা এখানে আছে।
যারা দীনকে আগে এবং দুনিয়াকে পরে মনে করেন, তারাই এখানে আছেন। একারণে আমি এখানে এসেছি। বাংলাদেশের ৯২ শতাংশ মানুষ মুসলমান। আমরা মদিনার ইসলামকে বিশ্বাস করি। আমরা আমাদের নবীর (সাঃ) ইসলামকে বিশ্বাস করি। আমরা মওদুদির ইসলামে বিশ্বাস করি না।
তিনি বলেন, হাসিনার সরকার ইসলাম বিদ্বেষী ছিল, মুসলিম বিদ্বেষী ছিল। তারা আলেমদের নির্যাতন করেছে। আল্লাহর হুকুমে কীভাবে তাদের রাজনীতির অবসান হয়েছে আমরা তার সাক্ষী।
আমরা যেন এমন ভাবে রাজনীতি করি যার মাধ্যমে আওয়ামী অপরাজনীতি বিলুপ্ত হয়। বাংলাদেশে আদর্শিক রাজনীতি কয়েম করবো আমরা।
জমিয়তে ওলামায়ে ইসলামের যুগ্ম মহাসচিব মুফতি মনির হোসাইন কাসেমীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, হেফাজতে ইসলামের নায়েবে আমির জুনায়েদ আল হাবীব আল, জমিয়তে ওলামায়ে ইসলামের যুগ্ম মহাসচিব মঞ্জুরুল ইসলাম আফেন্দি, নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির আহবায়ক অধ্যাপক মামুন মাহমুদ, মহানগর বিএনপির আহবায়ক সাখাওয়াত হোসেন খানসহ হেফাজতে ইসলাম ও বিএনপির নেতৃবৃন্দ প্রমুখ।