ক্ষমা চাইলেন ধর্ষণের হুমকিদাতা সেই ঢাবি শিক্ষার্থী
Published: 1st, September 2025 GMT
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে রিটকারী নারী প্রার্থীকে ‘গণধর্ষণের’ হুমকি দিয়ে স্ট্যাটাস দেন ঢাবি শিক্ষার্থী আলী হুসেন।
সোমবার (১ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় পোস্টটি ভাইরাল হওয়ার পর তিনি ক্ষমা চেয়ে একটি ভিডিও বার্তা দিয়েছেন।
আরো পড়ুন:
সংঘর্ষের ঘটনায় চবি প্রশাসনের ১০ সিদ্ধান্ত
গকসু: মনোনয়নপত্র জমা দিলেন ৭৪ প্রার্থী
অভিযুক্ত আলী হুসেন ঢাবির সমাজবিজ্ঞান বিভাগের ২০২০-২১ সেশনের শিক্ষার্থী, থাকেন সার্জেন্ট জহুরুল হক হলে।
এর আগে, ডাকসু নির্বাচনে রিটকারী নারী প্রার্থীকে নিয়ে ‘গণধর্ষণের’ হুমকি দিয়ে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেন ঢাবি শিক্ষার্থী আলী হুসেন।
পরে ভাইরাল হলে ছাত্রদল ও বাম সংগঠনের নেতাকর্মীরা তাকে শিবির দাবি করে শাস্তি চেয়েছেন। এছাড়াও ঢাবি শাখা ছাত্রশিবিরের সভাপতি এস এম ফরহাদও ছাত্রশিবিরের সঙ্গে তার সংশ্লিষ্টতা নেই জানিয়ে প্রতিবাদও আইনি পদক্ষেপ নেবেন বলে জানান।
ক্ষমা চেয়ে দেওয়া ভিডিও বার্তায় আলী হুসেন বলেন, “আমার বিকালের পোস্টের জন্য সবার কাছে ক্ষমাপ্রার্থী। প্লিজ আমাকে ক্ষমা করে দেবেন। আমি আলী হুসেন, খারাপ ভাষা ব্যবহার করে বিকেলের দিকে একটি পোস্ট দিয়েছি। একজন মানুষের পক্ষে এ রকম ভাষা ব্যবহার করা সম্ভব না। সেটা করে, আমি একজনকে গালি দিয়েছি।”
তিনি বলেন, “শুধু আপুকে না, সবাইকে গালি দিয়েছি। আমি বলে দিয়েছি, যারা ওটা সাপোর্ট করবে সবাইকে দিয়েছি। আমার এ রকম করা উচিত হয়নি। সেজন্য আমি ক্ষমা প্রার্থী। বিষয়টি আমার পরিবারও জেনে গেছে, সাবাই আমাকে গালাগালি করছে। আমি হেনা আপুর সঙ্গে দেখা করে মাফ চাইব।”
তিনি আরো বলেন, “আমি কোনো দলের সঙ্গে যুক্ত নই, এমনকি ছাত্রশিবিরের সঙ্গেও যুক্ত নই। আমাকে শিবিরের সাথী বলে সবাই ফেসবুকে পোস্ট করছে। অথচ ছাত্রশিবিরের কোনো ধরনের প্রোগ্রাম বা ওদের কারো সঙ্গে আমার কোনো ছবি নেই। আমি ওদের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত নই। এছাড়াও আমি ছাত্রদল বা ছাত্রলীগও করি না। এমনিতে আমি ফেসবুকে অতিরিক্ত পোস্ট দিয়ে থাকি, যা মন চাই তাই ফেসবুকে পোস্ট করি।”
ঢাকা/সৌরভ/মেহেদী
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
ঢাকায় অটোমোবাইল ও কৃষি যন্ত্রপাতির প্রদর্শনী শুরু হচ্ছে শনিবার
ঢাকায় দুই দিনব্যাপী অটোমোবাইল ও কৃষি যন্ত্রপাতির প্রদর্শনী শুরু হচ্ছে আগামী শনিবার। এতে অটোমোবাইল, কৃষি যন্ত্রপাতিসহ হালকা প্রকৌশল খাতের ২৬টি স্টল থাকবে। পাশাপাশি শিল্পের সহায়ক প্রতিষ্ঠানের স্টল থাকবে আরও ১২টি। প্রদর্শনীর উদ্বোধন করবেন শিল্প উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান।
বাংলাদেশ অটোমোবাইলস অ্যাসেম্বলার্স অ্যান্ড ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন ও অ্যাগ্রিকালচার মেশিনারি ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশের সহযোগিতায় এই প্রদর্শনীর আয়োজন করছে বাংলাদেশ চেম্বার অব ইন্ডাস্ট্রিজ (বিসিআই)। ঢাকার তেজগাঁও শিল্প এলাকায় এডিসন প্রাইম ভবনের ছাদে এই প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হবে। এই ভবনেই বিসিআইয়ের কার্যালয় অবস্থিত।
আজ বৃহস্পতিবার বিসিআই কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে দুই দিনব্যাপী এই প্রদর্শনী নিয়ে বিস্তারিত জানান চেম্বারটির সভাপতি আনোয়ার-উল আলম চৌধুরী। আরও উপস্থিত ছিলেন অ্যাগ্রিকালচার মেশিনারি ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশের সভাপতি আলিমুল আহসান চৌধুরী, বিসিআইয়ের পরিচালক মো. শাহেদ আলম, এস এম শাহ আলম, জিয়া হায়দার প্রমুখ।
বিসিআইয়ের সভাপতি বলেন, হালকা প্রকৌশল খাতে বাংলাদেশে বর্তমানে ছোটবড় প্রায় ৫০ হাজার প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এই খাতে কাজ করেন ১০ লাখ মানুষ। হালকা প্রকৌশল খাতে স্থানীয় বাজার ১২ বিলিয়ন ডলারের হলেও দেশীয় উৎপাদকেরা অর্ধেক পূরণ করতে পারছেন। তা ছাড়া হালকা প্রকৌশল খাতের বৈশ্বিক বাজারের আকার প্রায় ৮ ট্রিলিয়ন ডলার। তিনি আরও বলেন, তৈরি পোশাক খাত আর বেশি মূল্য সংযোজন করতে পারবে না। ফলে আমাদের অর্থনীতিকে টেকসই করতে হলে আমাদের অন্য খাতে যেতে হবে। সে ক্ষেত্রে হালকা প্রকৌশল খাত পারে বড় সম্ভাবনার।
অ্যাগ্রিকালচার মেশিনারি ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশের সভাপতি আলিমুল আহসান চৌধুরী বলেন, প্রতিবছর কৃষিজমি কমছে। কৃষকের বয়স বাড়ছে, তার কারণ তরুণেরা খুব কম কৃষিকাজে আসছেন। বিশ্বের অনেক দেশেই মোট জনগোষ্ঠীর ১০ শতাংশের কম কৃষিকাজে নিয়োজিত। ১০ শতাংশ মানুষ বাকি ৯০ শতাংশের জন্য খাদ্য জোগান দিচ্ছে। সে কারণে যন্ত্রের ব্যবহার বাড়ছে। বাংলাদেশেও কৃষিকাজে যন্ত্রের ব্যবহার বাড়ছে। তবে বড় অংশই আমদানি করতে হচ্ছে।
আলিমুল আহসান চৌধুরী বলেন, বাংলাদেশে ১২০০ থেকে ১৫০০ কোটি টাকার কৃষি যন্ত্রপাতির বাজার আছে। তার মধ্যে দেশীয় কোম্পানিগুলো সরবরাহ করছে মাত্র ৪০০ থেকে ৪৫০ কোটি টাকার যন্ত্রাংশ। নীতিসহায়তা পেলে দেশীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর সক্ষমতা বাড়বে বলে মন্তব্য করেন তিনি।